আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েকে জিনে মেরেছে।

আপনার সন্তানকে সুশিক্ষা দিন

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে গত বুধবার এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আবদুর রশিদ ও বশির আহমেদ নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে গতকাল শনিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে পাশের গ্রামের ওয়াহেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আকতার নিখোঁজ হয়। ওই দিন দুপুরে বাড়ির কাছের একটি ঝোপে মুখে তোয়ালে পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রামের দুই মাদকাসক্ত বখাটে রশিদ ও বশিরকে গ্রেপ্তার করে। ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ফারজানার লাশ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিহত ফারজানার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রশিদ ও বশিরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। গতকাল আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দি রেকর্ড করার পর বিচারক আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, রশিদের ঘরের পাশেই ফারজানার লাশ পাওয়া গেছে। শিশুটির দেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বেশ কয়েকটি নারীসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

আসামি রশিদ পুলিশকে জানায়, ‘ঘটনার সময় বশির ও আমি একসঙ্গে ঘরে ছিলাম। টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারজানাকে ডেকে আনি। ধর্ষণ করার সময় ফারজানার চিৎকার বন্ধ করতে মুখে তোয়ালে চাপা দিই। এতে ফারজানার মৃত্যু হয়। ’ আরেক আসামি বশির জানায়, ‘ফারজানার চিৎকার এবং নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেলে আমরা ভয় পেয়ে যাই।

তাকে ঝোপে ফেলে আমরাও খুঁজতে থাকি। জিনে মেরে ফেলেছে বলে প্রচার করি এবং এ কথা ছড়িয়ে দিতে ৭০০ টাকা খরচ করি। ’ ফারজানার বাবা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মেয়েকে জিনে মেরেছে। যখন শুনলাম বশির ও রশিদ স্বীকার করেছে তারাই এ কাজটি করেছে, তখন আমাদের ধারণা পাল্টায়। ’


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.