এখানেই রাত শেষ যাবতীয় স্বপ্নেরা ফিরে যাও ঘরে
একটা কবিতা শোনাবে বলে
প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগেই
আব্বা ছুটে যান কেঁওড়ার ঝোপে
সাদা ভ্রু চোখে কি যেন খুজতে থাকেন তন্ন তন্ন করে
তারপর দুচোখ মেলে তাকিয়ে থাকেন আকশের দিকে
আমি আঠারো বছরের কিশোর তখন
কেঁওড়ার পাতা থেকে সবুজ
আকাশের শরীর থেকে নীল
আব্বার দৃষ্টি থেকে শূন্যতা
আর মাটির সোঁদা গন্ধ নিয়ে আঁকি
একটি গ্রামের চিত্র কল্প।
আমাকে কবিতা শোনাবে বলে
বরই গাছে বসে আছে একটি দোয়েল
তার গায়ে অন্ধকারের ছোপ ছোপ দাগ
ঠোঁটে রোদের আনাগোনা
আর চোখের গভীরে সাগরের উপমা
আমি বরইয়ের পাতা ঝরার শব্দ
দোয়েলের শিশ
আর সাগরের ডাক নিয়ে লিখি
একটি গানের স্বরলিপি
আমাকে কবিতা শোনাবে বলে
রাত দশটায়
মুঠোফোনে রাহাত আরার কল আসে
তার চোখে টিএসসির স্বপ্ন
চেহারায় কমলার রঙ
আর কন্ঠে করুন রাগ
আমার হাত কাঁপে
ছবি আঁকার কোন রঙ আমি খুঁজে পাইনা
গানের স্বরলিপি কিংবা নাটকের দৃশ্যও পাইনা
দ্দধু মুঠোফোনটা কানের কাছে আর্তনাদ করে-
যৌতুক।
যৌতুকের কোন সংজ্ঞা আমি জানি না
শুধু জানি
আমার বোন আত্মহত্যা করেছিল কেঁওড়ার ঝোপে
দোয়েলের মত তার গয়েও ছিল কালো কালো দাগ
রাহাত আরার মত একদিন সেও
আর্তনাদ করেছিল মুঠোফোনে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।