অভ্র বিজয় বিতর্ক মীমাংস হল সমঝোতায়। আমার ধারণা অভ্রকে চাপ দিয়ে সমাধান করান হইছে। অইখানে যারা ছিল মোটামুটি সবাই জব্বারের কাছের লোক। সবাই ব্যবসায়ী। তবে বিষয়টি আদালতে মিমাংসা হলে ভাল হত।
ভবিষ্যতে কোনো বিতর্ক হতনা। আর অভ্র থেকে ইউনিজয় সরিয়ে নেয়ওয়ার পর অখন সে ব্লগ গুলো থেকেও সরানোর দাবি তুলতে পারে।
কারণ জব্বার সাহেব মামলা করসিলেন ইউনিজয়ের বিপক্ষে। তার দাবি ছিল অভ্রতে যে ইউনিজয় কীবোর্ড আছে তার সাথে বিজয়ের মিল আছে।
View this link
5 নং পয়েন্টটা পড়লেই আপনারা বুঝতে পারবেন সে কিভাবে 2টা ভিন্ন কীবোর্ডকে এক বানাইসে।
আবার ইউনিজয় হইতেশে একুশের। সো মামলা করলে করতে হত একুশের বিরুদ্ধে । কিন্তু মামলা হইসে অভ্রর বিরুদ্ধে। কারণ অভ্র তার ভাত মারতেছে। লিংকের ১০ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য ।
এখন সমুতেও ইউনিজয় আছে। সে অভ্রকে বাধ্য করসে ইউনিজয় বাদ দিতে। এখন সামুকেও যে বাধ্য করবে না তার নিশ্চয়তা নাই।
এইবার আসি অভ্রর নৈতিক ভিত্তি নিয়ে। আপনারা যখন আপনার কম্পিউটারে ইংরেজি লিখেন তখন যে কোনও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে কোনো রয়ালিটি দিতে হয় না। কিন্তু জব্বারের কথা মোতাবেক তার কীবোর্ডের সাথে মিল আসে এমন যে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করলেই তাকে রয়ালিটি দিতে হবে। অন্য সকল দেশে ঐ রয়ালিটি হার্ডওয়্যারের সাথে জড়িত। সুতরাং আপনি কম্পিউটারে কোনো ফিক্সড লেআউট কীবোর্ড ব্যবহার করলেই আপনাকে রয়ালিটি দিতে হবে। কারণ বিজয়ে যে লেআউট ব্যবহৃত হইছে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইনকৃত এবং সবচে বৈজ্ঞানিক ।
সে অইটা নিজে পেটেন্ট কইরা নিসে। এখন সে বলতেসে ন্যাশন্যাল কীবোর্ডও নাকি তারটার নকল। সো এখন বাংলা জব্বারের সম্পত্তি। তাই নৈতিক দিক থেকে অভ্র ঠিক।
আর বাংলাদেশের কপিরাইট আইন কে লেখসে আল্লাহ মালুম।
অইটা সাহিত্যের জন্য চললেও কম্পিউটারের জন্য না। এই আইন মোতাবেক দুইটা সফটওয়্যার একই কাজ করলে নতুনটা পাইরেটেড । এই আইন থাকলে সব সফ্টওয়্যার ফার্ম বন্ধ কইরা দিতে হবে।
আর শেষ কথা উক্ত লিংকের ৭ ও ৮ পড়লেই বুঝবেন অভ্রর নৈতিক ভিত্তি ছিল কিনা। আরও অনেক কিছু লিখার ছিল কিন্তু আলসেমী লাগতেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।