স্বপনপারের ডাক শুনেছি...
অবশেষে এক দল বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর হাত ধরে উন্মোচিত হয়েছে পাটের ড্রাফট জিনোম। জিনোমকে সহজ ভাষায় বলা হয় জীবনের নীলনকশা। বাংলা বর্নমালায় যেমন আছে পঞ্চাশটি বর্ন তেমনি জিনোমের আছে চারটি মাত্র বর্ন। এদের বিভিন্ন বিন্যাস নির্ধারন করে জীবের ভিন্নতা। তাই সহজ ভাষায় জিনোম সিকোয়েন্সিংকে আরা বলতে পারি এই বিন্যাসের পাঠোদ্ধার করা।
পাটের জিনোমে কী কী ধরনের জিন আছে তা জানা থাকলে এই জিনগুলোকে সনাক্ত করে সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমেই উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন করা যাবে। পাটের আঁশ হবে আরো মজবুত; উচ্চফলনশীল, রোগপ্রতিরোধক ও লবণসহনশীল। নতুন জাতের পাটের উদ্ভাবন বাড়িয়ে দিবে বাংলাদেশের বার্ষিক নীট পাট উৎপাদন মাত্রা। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট আবার ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য। তাই পাটের জিনোম সিকোয়েন্স করে ফেলাটা আমাদের জন্য গুরূত্বপূর্ণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ডাটাসফট কোম্পানীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে স্বপ্নযাত্রা নামের এই দলটি। তারা বাংলাদেশী বিজ্ঞানী প্রফেসর মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে, আন্তর্জাতিক সহায়তায় এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক আর্থিক সহযোগিতায় এই অসম্ভবটি সম্ভব করেছে। ১৬ই জুন সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে খুলে গেছে অপার সম্ভাবনার দুয়ার।
অভিনন্দন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের এই দলটিকে। বাংলাদেশে বসে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েও জিনোম সিকোয়েন্সিং এর মত একটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক ফলাফল তারা দেশকে উপহার দিতে পেরেছে।
প্রমাণ করে দিয়েছে আর্থিক সহযোগিতা থাকলে এবং যথার্থ নিদের্শনা পেলে এদেশের মানুষ কারো থেকেই পিছিয়ে থাকবার নয়। বাংলাদেশ একটি বিজ্ঞান মনস্ক দেশ হিসেবে নতুন আঙ্গিকে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছে বিশ্বের দরবারে। বাংলাদেশী হিসেবে আজ আমরা গর্বিত। পাটের জিনোম সিকোয়েন্সিং একটি প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। উন্নত জাতের পাট উৎপাদন করতে হলে প্রয়োজন হবে এই গবেষণা লব্ধ জ্ঞানকে ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়া যার জন্য প্রয়োজন আরো আর্থিক সহযোগতিার।
আশা করছি সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে আসবে পাটের এই সোনালী স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে।
সংগৃহীত from
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।