আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের সব দেশে লোক পাঠানোর নামে ইন্টারনেটে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দলিলুর রহমান ওরফে হাজী দুলাল নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতারক দলিলুরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত আবদুল মালেক।
ইন্টারনেটের বাহারী বিজ্ঞাপনে সন্দেহের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের এসি সাদিরা খাতুন মঙ্গলবার রাত নয়টায় ডিওএইচএস চার নম্বর লেনের ৩০২ বাসা থেকে দুলালকে গ্রেফতার করে। এরপর প্রতারিত দুইজন বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেন।
দুলাল জানিয়েছে, অনলাইনে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ‘বিডি জবস ডট কম’ ও ‘প্রথম আলো জবস ডট কম’-এর সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে উচ্চ বেতনে বিদেশ গমনেচ্ছুকদের আকৃষ্ট করত দলিলুর। বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ভিসা প্রসেসের জন্য একমাত্র বিশ্ব¯Í প্রতিষ্ঠান ‘ভিসা ইন্টারন্যাশনাল’। আনুমানিক পাঁচশত মানুষের কাছ থেকে দুই হাজার ৫০ টাকা করে নিবন্ধন ফি বাবদ ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দলিলুর। শুরুতে এক হাজার জনকে নিবন্ধনের টার্গেট করেন তিনি। ইন্টারনেটে প্রদত্ত ঠিকানা অনুযায়ী আগ্রহীরা নিবন্ধনের টাকা অফিসে এসে অথবা ইসলামী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিত।
এরপর ভিসা দেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া হত লাখ লাখ টাকা। প্রতারিতদের মধ্যে ছিলেন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকও।
বিভিন্ন দেশের বড় বড় কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট, টুরিস্ট, স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসের আকর্ষণীয় অফারসহ দেশগুলোতে ভুয়া শাখা অফিসের ঠিকানাও ব্যবহার করা হয় বিজ্ঞাপনে। এইচএসসি পাস করে হোটেল ম্যানেজমেন্টে শর্ট কোর্সের ডিপ্লোমা করা দলিলুর নিজেকে স্টুডেন্ট কাউন্সিলর হিসেবে পরিচয় দিতেন বিদেশ যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছে।
পুলিশ দাবি করেছে, দলিলুর ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
তিনি জনশক্তি বুরোর অনুমোদন না নিয়ে একটি ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমেই খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় ‘লিংক লাইন সার্ভিস’ লিমিটেড নামে জনশক্তি রফতানির অফিস খোলেন। সেখান থেকে বনানীর রূপসা টাওয়ার ও সবশেষ গত দুই মাস আগে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় ‘ভিসা ইন্টারন্যাশনাল’ নামে নতুন অফিস খুলে প্রতারণা শুরু করেন। অফিস পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তন করে তার নাম ও মোবাইল নম্বর।
আমেরিকা, কানাডাসহ উন্নত দেশের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই স্বীকার করে দলিলুর সাংবাদিকদের বলেন, সে দুবাইয়ের দি আরমানী হোটেলে শ্রমিক নিয়োগের জন্য বৈধ এজেন্ট। তার অপর দুই সহযোগী মিস্টার ও রাসেল।
বিস্তারিত Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।