বাংলাদেশের তারুণ্য নিয়ে হতাশায় ভোগার কিছুই নেই। কারও কারও ধারণা একালের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল তরুণদের বিষয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। এ জরিপ থেকে যেসব তথ্য জানা গেছে, তা আমাদের বাস্তবিকই তরুণদের ভবিষ্যত বিষয়ে আশাবাদী করে তোলে। এ কালের তরুণদের বিষয়ে অনেকের মনে যে হতাশার সঞ্চার হয়েছিল তাকে একেবারে অমূলক বলা যায় না।
১৯৭৫ সালের পর এ দেশ বেশ কিছুকাল সামরিক শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। সে সময় দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বলে কিছুই ছিল না। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। এর ফলে সে সময় শৈশব-কৈশোর থেকেই তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারত না। স্বাধীনতাবিরোধীরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' নামে একটি বিভ্রান্তিকর মতবাদের সৃষ্টি করেছিল।
তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অপচেষ্টা তেমন একটা সফল হয়নি। দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু ও বাঙালী সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার চেষ্টা সফল হয়নি। উল্লেখিত জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের বেশিরভাগ তরুণের আদর্শ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার প্রতীক ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রতিবাদের প্রতীক।
একালে এদেশের তরম্নণদের চেতনায় স্বাধীনতার চেতনা ও প্রতিবাদ গভীর উজ্জ্বল হয়ে আছে। দেশের সর্বস্তরের শতকরা ৮৮ ভাগ তরুণ নিজেদের সুখী মনে করে। জরিপ থেকে পাওয়া তথ্যসমূহের মধ্যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে সুখী ভাবার বিষয়টি একটি জাতির জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। শতকরা ৭০ ভাগ তরুণ মনে করে, দেশ সঠিক পথে রয়েছে।
অর্থাৎ দেশের ভবিষ্যত বিষয়ে যুবশক্তি আশাবাদী। তারা হতাশায় নিমজ্জিত নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।