প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাইয়ে দ্বিতীয় এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।
"পানি ও মানবাধিকার এখন আন্তসম্পর্কিত এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও সামাজিক স্বার্থের জন্য টেকসই পানিসম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যে বিশ্বজুড়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনকে জাতিসংঘের ২০১৫ সাল-উত্তর উন্নয়নের মূল এজেন্ডায় পরিণত করতে হবে এবং তা হতে হবে বৈষম্যহীন ও সমতার ভিত্তিতে। "
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের ৭শ’ কোটি জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বাস এশিয়ায়। কিন্তু ২০৩০ সাল নাগাদ এশিয়া প্রশান্তসাগরীয় অঞ্চলে পানির চাহিদা ও সরবাহের ব্যবধান দাঁড়াবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষিসেচ ও শিল্পখাতে পানির চাহিদা একটি সমন্বিত উপায়ে মেটানোর উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
আর্সেনিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা আর পানি পরিশোধনে একযোগে দেশগুলোর কাজ করার উপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
ভূগর্ভস্থ পানির পুনরায় ব্যবহার ও মিতব্যায়ী ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করা উচিত বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঘনঘন বন্যা, সাইক্লোন, লবণাক্ততা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সমান্বিত ব্যবস্থা নেওয়ার উপরও জোর দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।