আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূফী সম্রাট বাবা দেওয়ানবাগীর ভাড়াটে গুন্ডাদের হাতে নির্মম প্রহারের শিকার সাধারণ মুসুল্লীরা



গতকাল শুক্রবার ছিল আরামবাগে বসবাসকারী দেওয়ানবাগী পীর কতৃক আহুত বিশ্ব আশেকে রাসূল (সা) সম্মেলন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, আমরা ঢাকা বাসীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন দেওয়ানবাগীর বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচী হিসেবে সম্মেলন অভিমুখে মিছিল আহবান করে। পুলিশের বাধায় সে মিছিল বায়তুল মোকাররম পার হতে পারেনি। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই ছিল কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক। আরামবাগ এলাকা থেকে উক্ত মিছিলে সাধারণ লোকজনের অংশগ্রহণ ছিল শূন্যের কোটায়।

এদিকে দেওয়ানবাগীর অনুসারীরা আরামবাগ এলাকায় সাধারণ মুসল্লীদের মধ্যে বয়সে যুবক এমন প্রায় ১৫-২০ জনকে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে এই মিথ্যা অজুহাতে ধরে নিয়ে দেওয়ানবাগীর আস্তানার চতুর্থ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত আটকে রেখে বেদম মারপিট করে। তাদের সারা শরীরের বিভিন্ন অংশে ও লজ্জাস্থানে ব্যাপক প্রহার করে। মাথা দেয়ালে ঠুকে, ঘুষি-লাথি দিয়ে মারাত্মক যখম করে। নির্যাতন থেকে ছাড়া পেয়ে প্রহারের শিকার একজনের কাছ থেকে এসব জানা যায়।

আল-আমীন নামে উক্ত ছেলে রামবাগস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামায পড়েন। সে তার ছোটভাইকে নটরডেম কলেজে ভর্তির ব্যাপারে তথ্য জানতে কলেজের আশেপাশের মেসে ছাত্রদের সাথে কথা বলে। জুমার নামাযের সময় হলে উক্ত মসজিদে নামায পড়া শেষ করে বের হওয়ার পর কিছুক্ষণ পর দু'জন লোক তার সাথে কথা আছে বলে তাদের সাথে যেতে বলে। সে তখন 'কি কথা, এখানেই বলেন' বলে যেতে অস্বীকার করলে লোক দু'জন তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পর সে সেখানে তারমত আরও ১৫-২০ জনকে প্রহৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

একটু পর তুই মিছিলে গিয়েছিস এই অজুহাতে তারও মাথায়, নাকে-মুখে, বুকে-পিঠে ও লজ্জাস্থানে বেদম কিল-ঘুষি ও লাথি শুরু করে। একপর্যায়ে তার মাথা দেয়ালে ঠুকে দেয়া হয় কয়েকবার। এভাবে তাদেরকে দুই-তিন ঘন্টা যাবত আটকে রেখে থেমে থেমে প্রহার করার পর বিকালের দিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তখন সে বায়তুল আমান মসজিদের খতীব সাহেবের কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বিস্তারিত এসব জানায়। খতীব সাহেব বাদ মাগরিব তাফসীর সমাপান্তে মসজিদ কমিটি ও মুসুল্লীদেরকে এই অমানুষিক ঘটনা বর্ণনা করেন এবং এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নিতে বলেন।

কেউ কেউ মিডিয়ায় ব্যাপারটি জানানোরও পরামর্শ দেন। কিন্তু এতবড় একটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও মিডিয়ার এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন কিছুই প্রচার করা হয়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.