রায়ে আদালত তাহেরের মৃত্যুদণ্ড ‘ঠান্ডা মাথার খুন’ বলে চিত্রিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। ....এইটার মানে কি? আওয়ামী বামপন্হী আর বামরা আদালতের উপর বন্দুক রেখে জিয়া কে তাহেরের খুনী প্রমান করতে চায়? বোকার স্বর্গে বাস করে তারা !
তাহের কি খুব ভাল লোক ছিলেন??
বংগবন্ধু ভক্ত বীরবিক্রম শাফায়াত জামিল তার ষড়য্ন্ত্রময় নভেম্বর বইতে কি বলেছেন দেখুন..
"আসলে তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দ জিয়াকে সামনে রেখে , জিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে সুচতুরভাবে ক্ষমতা দখলের প্রয়াস নেন ৭ ই নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে.......কিন্তু এত কিছুর পরও চেইন অফ কমান্ড এবং সেনাপ্রধান পদের অন্তর্নিহিত শক্তি ও আনুগত্যের কাছে তারা পরাজিত হন....... তাহেরকে এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হয়......... "(পাতা ১৪৯)
কি বুঝলেন? তাহের দুধে ধোয়া তুলসীপাতা ছিলেন না।
তাহেরের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইনু কি বলেন শুনবেন?
"৭৬ সালের জুলাইয়ে সামরিক আদালতে ট্রায়াল শুরু হলে জিয়া একদিন মিলিটারি ফরমেশন কমান্ডারদের বৈঠক ডাকলেন । বৈঠকে মতামত এলো জলিল , রব , ইউসুফ , জিয়াউদ্দিন , ইনু ও তাহের বিপদজনক লোক । এদের ফাঁসিতে ঝুলানো যায়......এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত এলো তাহেরের ফাঁসি , জলিলের যাবজ্জীবন , বাকিদের ১২ বছর করে কারাদণ্ড......."
৭ / ২০১০ এ আমাদের সময়ে পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইনু স্বীকার করছেন যে জিয়া একা তাহের এবং তার সহযোগীদের বিচার চূড়ান্ত করেননি।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মতে এই মিটিং এ মোট ৪৯ জন সেনা অফিসার অংশ গ্রহণ করেন এবং সে সময়কার অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মঈনুল হোসেন বীরবিক্রম জানান তিনিই জিয়াকে ৭/৮ নভেম্বরের খুনোখুনির বিচারের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
মুলত সামরিক আদালতের বিচারে নিজেকে দোষী বলে স্বীকার করলে অনুকম্পা বা লঘু শাস্তির একটি সুযোগ থাকে যেটি হালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অনেক অভিযুক্তও পাচ্ছেন। সে সুযোগ তাহেরের ও ছিলো..........
কিন্তু তাহের সে সুযোগ নেবেনা বলে একরোখা আচরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বয়ং লুৎফা তাহের : দৈনিক ইত্তেফাক / আগস্ট ২৭ , ২০১০
কর্নেল তাহের নভেম্বর ২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউস টিউটরের বাসা থেকে গ্রেফতার হবার পর তাহেরের ২ ভাই নভেম্বর ২৬ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেনকে অপহরণের চেষ্টা চালায় এবং দুতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষিদের গুলিতে ৪ জন মারা যায়। বেলাল আর বাহার সমর সেনকে অপহরণ করতে চাইছিল তাহেরের মুক্তিপন হিসেবে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে যারা ব্ল্যাকমেইল করে নিজেদের নেতা মুক্তির স্বার্থে তাদের মুখে কি 'স্বদেশ দীর্ঘজীবি হোক' স্লোগান মানায়?
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ দাসত্ব শেকল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।