জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅরডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আশঙ্কার চেয়ে দুর্বল হয়ে উপকূলে পৌঁছায়। সঙ্গে সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা থাকায় হাজার হাজার জীবন বাঁচানো গেছে।
বৃহস্পতিবার মহাসেন উপকূল অতিক্রম করার আগেই ১৩টি উপকূলীয় জেলা থেকে প্রায় দশ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির আওতায় সরকার হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠিত করা, ঝুঁকির মুখে থাকা জনগোষ্ঠীর কাছে সতর্ক সংকেত ও তথ্য পাঠানো এবং নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়ার মতো উদ্যোগ নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের হিসেব অনুযায়ী মহাসেনে ১৩ জন নিহত হয় এবং ১২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক প্যাসকেল ভিলেনিউভ বলেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু প্রাণহানি হলেও সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল।"
ওসিএইচএ জানিয়েছে তারা মহাসেন আক্রান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে মহাসেন। উপকূল অতিক্রম করার আগে বন্দরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।