ভুতুড়ে বাড়ি বলে অনেকে মুখরোচক কথা ছড়িয়েছে ব্র্যান ক্যাসেলকে নিয়ে। কেউ কেউ বলে বেড়ায় এটিই নাকি সেই কুখ্যাত ড্রাকুলা হাউস। রক্তচোষা ড্রাকুলা নামের এই বাড়িটি কিন্তু পৃথিবীর দামি বাড়িগুলোর একটি।
রোমানিয়ায় অবস্থিত এই বাড়িটির দাম প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ড্রাকুলা নামের বদনাম জড়ানো বাড়িটি পরিচিত রোমানিয়ান ক্যাসেল নামেও।
এই আলোচিত ক্যাসেলটি ১৯৮০ সালে মিউজিয়াম করে দেওয়া হয়। আর্কডিউক ডোমিনিক ক্যাসেলটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন মাত্র ৮০ মিলিয়ন ডলারে। তখন সে অর্থে কেউ ক্যাসেলটি কেনেনি।
৫৭টি রুম এবং ১৬টি বেডরুম সঙ্গে আছে ইউনিক এন্টিক ফার্নিচার। ১২১২ খ্রিস্টাব্দে টিউটনিক নাইটসরা কাঠ দিয়ে এটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ করেছিল।
পরে মঙ্গোলরা এটি ধ্বংস করে ফেলে। এর পর ১৩৭৭ সালে এটি আবারও পুনঃনির্মাণ করে স্যাঙ্নরা। পুরো প্রাসাদটি নানা রকম চ্যাপেল, গুহা, ভুগর্ভস্থ ঘর প্রাসাদটির রহস্যময়তায় পূর্ণ বলে বাড়িটি নিয়ে এত গুঞ্জন। এই বাড়িকে ঘিরে হলিউডে নির্মিত হয়েছে হরর মুভি। তার পর থেকেই বাড়িটি ভয়ঙ্কর ভ্যাম্পায়ার ড্রাকুলার দুর্গ যা ব্রান ক্যাসেল নামে পরিচিত।
কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, ড্রাকুলা কাহিনীর স্রষ্টা স্টোকার এই দুর্গটির ব্যাপারে কিছু জানতেন। এটি রোমানিয়ার ন্যাশনাল মনুমেন্ট এবং ব্রান এ অবস্থিত। এটি এখন জাদুঘর হিসেবে জনসাধারণ এবং ট্যুরিস্টদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ সত্যিকারের ড্রাকুলা দেখতে এখানে যান তাহলে অবশ্যই তাকে হতাশ হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।