চির সবুজের দৃশ্যে মোড়ানো
চায়ের বাগান যেন বুক উঁচানো।
সিলেটের প্রকৃতির শ্রীমঙ্গলে
রাস্তার দু’ধারে পাহাড় ঘেসে।
চোখ ঝলসানো চা বাগানে ঘেরা
যেনো চিরায়ত দৃশ্যে নজর কাড়া।
মন ভোলানো দৃশ্য সবুজ আর সবুজ
মন মাতোয়ারা বুঝেনা, যেনো অবুঝ।
বাংলাদেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চল জুড়ে
সব মোড়ানো সবুজ বিছানার চাদরে।
ট্রেনে বা গাড়িতে করে যেতে
নজর কাড়া দৃশ্য পড়বে চোখে।
সার ধরে মহিলা শ্রমিক কুলি
সকলেই মাথায় বেঁধে ঝুড়ি।
এরা তুলছে চা’র সবুজ কুঁড়ি
তুলছে-ফেলছে ঝুড়ি ভরি।
কাঁধে ঝুড়ি নিয়ে সারে সারে
আঁকাবাঁকা পাহাড়ের পথ ধরে।
প্রকৃতি পাখির কলতানে মুখরিত
প্রাণ ওঠে আন্দোলিত-হিল্লোলিত।
প্রকৃতির পার্থিব স্তব্ধতা ছাপিয়ে
কুলিরা এখানে ওখানে থেকে।
রাতে আগুনের ফুলকিগুলোকে
মনোরম করে সাজিয়ে রাখে।
মনে হয় লাখো জোনাকির নাচন
যেনো আলোয় জোনাকির সাজন।
গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে ঘুরে
নানা বর্ণের পখ-পাখালির ডাকে।
প্রকৃতি বৈচিত্র্যময় ওঠে নানা বর্ণে মেতে
লক্ষ লক্ষ গাছের-ঝোপের আড়াল থেকে।
গুঁই সাপ-বেঁজিগুলো উঁকি দিয়ে দেখে
আরো ছোট্ট ছোট্ট ঝর্ণা পড়ে চোখে।
ঝর্ণার বারিধারা দেয় প্রাণ জুড়িয়ে
উঁচু-নীচু টিলার কোল ঘেষে ঘেষে।
প্রাকৃতিক লেকগুলোর অনতি উপরে
পাখি বেড়ায় দলে দল বেঁধে ভেসে।
চিলগুলো সহসা বেগে ছোঁ মেরে
সাঁই করে নেমে এসে মাছ ধরে।
পাহাড়ে যাবার আগে মনে করে
খাবার অবশ্যই রাখবেন সাথে থাকে।
নইলে অবধারিত খাবার নিয়ে
সমস্যার সম্মুখীন হবেন শেষে।
রাতে তথায় থাকতে ইচ্ছে হলে
কটেজগুলোতে বুকিং দিন আগে ভাগে।
মাধবকুন্ডের জলপ্রপাতে বা লেকে
প্রাকৃতিক অঢেল পানিতে গোসল করে
মনটা যাবে অনাবিল শান্তিতে ভরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।