আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প’র উন্নয়নে বানিজ্যিক উদ্যোগে

thanks all over

দেশ ও বিদেশী পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত পর্যটন এলাকা খ্যাত চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের জন্য বেসরকারী ভাবে নির্মিত হচ্ছে লাক্সারী রিসোর্ট ও ফাইভ স্টার হোটেল। বাংলাদেশ পর্যটন ও রিসোর্ট-এর চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় “গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট ও গল্ফ” নামের রিসোর্টে থাকছে অত্যাধুনিক সব ধরণের ব্যবস্থা। বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে লাক্সারী ফাইভ স্টার হোটেলের তথ্যে জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশীদের সিলেট ও আশপাশের এলাকা ভ্রমণ করানোর ল্য নিয়ে একটি দেশিয় কোম্পানী শ্রীমঙ্গলের গ্রীন পয়েন্ট এলাকায় প্রায় ৪৫ বিঘা জমির ওপর দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল নির্মানের কাজ শুরু করেছে। এর পাশেই রয়েছে দেশের একমাত্র টি রিসোর্ট ও টি মিউজিয়াম। লাক্সারী ফাইভস্টার হোটেলে ১টি প্রেসিডেন্টসিয়্যাল স্যুট, ২০টি স্যুটসহ ১৬৭টি ক থাকবে।

প্রাথমিকভাবে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ক্রয় করে হোটেল করা হচ্ছে। অথচ হোটেল এলাকায় চা বাগান ও পাহাড়ী ভুমি সবই সরকারী খাস জমি। লিজ নিয়ে ভোগ দখল করা হচ্ছে। সারা বছর প্রবাসীরা বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসীরা এদেশ ভ্রমণ করতে আসেন এবং তাদের কাছে অনেক ‘ফরেন কারেন্সি’ থাকে।

তাদের জন্য এই হোটেল ও রিসোর্ট সেন্টারটিতে সব ধরনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও রাখা হবে বিলাসীতার ব্যবস্থা তাছাড়া থাকবে গলফ খেলার স্থান। প্রতি বছর আয়োজন করা হবে আন্তর্জাতিক গলফ টুর্ণামেন্টের। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠিত হোটেলের ভাড়া অনুসরন করে এ রিসোর্টের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলে সুত্রমতে জানা গেছে। সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিতব্য এ হোটেল ও রিসোর্ট সেন্টারটি চলতি বছরের শেষের দিকে উদ্বোধন হতে পারে ধারনা করা হচ্ছে। শ্রীমঙ্গল পর্যটন এলাকার হওয়ার কারণে দেশি বিদেশী পর্যটকরা বছরের সব সময় আসেন কিন্তু উন্নত মানের হোটেল বা রেষ্ট হাউস না থাকায় ভিআইপি পর্যটকরা অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন।

যদিও শ্রীমঙ্গলে প্রায় অর্ধ শতাধিক হোটেল ও রেষ্ট হাউস রয়েছে। রয়েছে টি রিসোর্ট আর ভিআইপি গেষ্ট হাউস। শ্রীমঙ্গলে যে পরিমান পর্যটকদের আগমন ঘটে, তার তুলনায় ভাল হোটেলের সংখ্যা অপ্রতুল বলাই বাহুল্য। নির্মাধিন “গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট ও গল্ফ” এর কাজ সম্পন্ন হলেও পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না। তবে সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে এমন ধারনাই করছেন অভিজ্ঞমহল।

লাক্সারী রিসোর্ট ও ফাইভ স্টার হোটেলের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে মালিক পরে কাউকে পাওয়া যায়নি। কর্তৃপরে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মোবাইল বা ফোন নম্বর না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে তদারিকর দায়িত্বে থাকা রিপন নামের এক যুবকের সাথে মোবাইলে কথা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নির্মাধিন হোটেল ছবি তুলতে চাইলে বাঁধা দেওয়া হয়। তার কথায়, এটি একটি প্রাইভেট প্রপার্টি, মালিকের অনুমতি ছাড়া ছবি বা কোন তথ্য দেওয়া যাবে না।

মালিকের ফোন অথবা মোবাইল নম্বর দেওয়ার জন্য বললে, সে জানায় তার কাছে তাদের কোন নম্বরই নেই। স্থানীয় লোকজনদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, হোটেলের নির্ধারিত জায়গা বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে, এখানে কিভাবে কি, হচ্ছে, তা জানার কোন ব্যবস্থা নেই। তাদের মতে এখানে ভাল হোটেল হলে এলাকার সুনাম হবে, কিন্তু হোটেলের অন্তরালে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হলেও তা জানার উপায় থাকবে না। সহজ সরল স্থানীয় লোকজন তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে জানায়, এদেশে গরীবদের জন্য বেঁচে থাকা কঠিন। গরীবরা কোন অন্যায় না করলেও সে অন্যায়কারী হয়ে যায়, কিন্তু বিত্তশালীরা অর্থের বিনিময়ে সব ধরণের কুকর্ম করলেও তা নিয়ে কেউ কিছু বলে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.