থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
চারদলীয় জোট ও মহাজোট দুই সরকারের আমলেই প্রথম হরতাল পালন করে বামফ্রন্ট ও তাদের সমর্থিত সংগঠন। দুই হরতালই ছিল প্রায় একই দাবিতে অর্ধদিবস এবং শুধু রাজধানীতে।
বর্তমান সরকারের আমলে প্রথম হরতাল পালিত হয় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর। সরকার গঠনের ৮ মাসের মাথায় এই হরতাল ডাকে বাম ঘরানার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বাধীন তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
আইরিশ কোম্পানি তাল্লো ও যুক্তরাষ্ট্রের কনকো ফিলিপস্কে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন ব্লক ইজারা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় এই হরতাল আহ্বান করা হয়।
একইভাবে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়েও প্রথম হরতাল পালন করে বামফ্রন্ট। ক্ষমতা গ্রহণের ৩৫ দিনের মাথায় তেল-গ্যাস রফতানির উদ্যোগের প্রতিবাদে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর বামফ্রন্ট হরতাল পালন করে।
মনে হতে পারি তারা তো দেশের ভালর জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল হরতাল কি দেশের জন্য ভাল? যেই ক্ষমতায় যায়, তার চোখে হরতাল খুব খারাপ, আর যারা ক্ষমতার বাইরে, তাদের একমাত্র প্রতিবাদের উপায় হলো হরতাল।
কেন আমাদের প্রতিভান রাজনিতীবিদরা প্রতিবাদের জন্য বা জনগনের অধিক অংশগ্রহন করতে পারে এমন কোন কর্মসূচী দিতে পারেন না? 'বদলে যাও, বদলে দাও' যেমন প্রচুর লোক সমাগম করেছিল, তেমন কোন কর্মসূচী দেওয়া কি খুব কঠিন?
হরতালে তো কোন নেতাই আসবে না। সরকারী দল রাস্তা থেকে হরতালকারীদের খেদিয়ে দিবে। পুলিশ থাকবে দর্শক। পরদিন এক দল বলবে হরতাল পালনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ; আরেক দল বলবে হরতালকে গ্রহন না করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ।
কে যে সত্যি বললো, বোঝা দায়।
এর পরেও আমরা রাজনিতীকদের সব কথাকে সত্যি বলে মেনে নেবো। হায় বাংলাদেশী (থুক্কু বাংগালী -- জামানা বদলাইছে যে খেয়াল ছিল না!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।