আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতা নিয়া চুলকানি

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

আমার কবিতা বিষয়ে তেমন এলার্জি নেই, বাংলাদেশে কবি আর কাকের সংখ্যা সমান হয়ে গেলেও সেটা নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই। মাঝে মাঝে কবিতা লিখি হয়তো, তবে সেটা নির্দিষ্ট একটা ধাঁচের কবিতা, সুতরাং বড় কোনো কবি হয়ে উঠবার সম্ভবনাও নেই ভবিষ্যতে। অগা মগা বগাদের কবিতা বিষয়ক এলার্জি দেখে বরং আশ্চর্য লাগে, ব্যর্থ কবিরা অনেক সময়ই কবিতাবিমুখ হয়ে উঠে, তবে বাংলাদেশের মানুষের মেজাজমর্জি বুঝা কঠিন, ব্যক্তিগত দিনলিপির সাহিত্যমান নিয়ে উৎকণ্ঠায় বাংলাদেশ শীর্ষে। যদিও এখানে তথাকথিত শূন্য দশকের কবিরা শূন্য দশকের কবিতা লিখছে, তবে অনেকেই কবিতা লিখছে নিজের আনন্দ প্রকাশে। যারা কবিতা লিখে উপার্জন করে এবং যারা কবিতা লিখে জীবিকা নির্বাহ করে না, তাদের সবারই কবিতা লিখবার সমান অধিকার।

সাহিত্যমান নিয়ে অহেতুক ভাবনা করতে হবে কেনো? এখানে সবাই সবার লেখা পড়তে পারে, সবার লেখাই প্রথম পাতায় আসে, এটা এই সাইটের চরিত্র, এখানে প্রথম পাতায় যদি ১০টা কবিতা থাকে কবিতা থাকুক না, সমস্যা কোথায়? এটা সাহিত্যম্যাগাজিন না, এখানে সম্পাদক কাঁচি আর চশমা ঝুলিয়ে বসে থাকে না, মানুষ আসবে, লিখবে নিজের আনন্দে, সেখানে কতিপয় উৎকট মানুষ এসে যখন হাহাকার করে ব্লগের প্রথম পাতায় কবিতা কবিতা তখন সেইসব আবালের হাহাকার শুনে মুখে মুতে দিতে ইচ্ছা করে। মানুষ মানুষের নিজের ইচ্ছা এবং নিজের চাহিদা জোরপূর্বক কি অন্য মানুষের উপরে চাপিয়ে দিতে পারে? চাপিয়ে দেওয়াটা শোভন আচরণ কি না এটাও বিবেচনা করা প্রয়োজন। আমার ভালো লাগা এবং ভালো না লাগা নিয়ে আমি উচ্চকিত হয়ে উঠতে পারি, তবে অলিখিত সীমানাটা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা এখনও আছে। এখনও নিজের স্বাধীনতার সীমানা যখন অন্য কারো স্বাধীনতার সীমাকে সংকীর্ণ করে তখন ভিন্নভাবে বিবেচনার প্রয়োজন আছে। আধিপত্যবাদীতা, অসহনশীলতার চর্চা এখানে থাকবেই, বাংলাদেশের মানুষের সহনশীলতা নেই, অশালীন ভাবেই কিছু কিছু মানুষ অহেতুক একটা উচ্শৃঙ্খলতা শুরু করেছে, হাতে মাউস আছে, নীচে বাটন আছে, ইচ্ছা করলেই অশূচি কবিতার ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলা সম্ভব, যা তার নিজের পক্ষে সম্ভব সেটা না করে প্রতি দিন একবার করে মনে করিয়ে দেওয়া আমরা মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারবোধকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবি না, আমার মনে হয়েছে এটা খারাপ তাই সার্বজনীন ভাবেই এটা খারাপ, বোকাচোদার দল এইটা নিয়ে একটা হাঙ্গামা শুরু করে দিচ্ছে, তুমি চুৎমারানি কি ভাবো সেটা দিয়া আমার কি? তোমার কথা বিবেচনা করে আমি ডায়েরি লিখবো না কি? আমার কি মনে হওয়া উচিত সেইটা কোথাকার কোন বাল এসে বলে দিবে আমাকে? খানকির ছেলেদের বলি, যাও এখানে প্রতিদিন প্রথম পাতায় কত কবিতা আসে, কতগুলো লেখার সাহিত্যমান ভালো কতগুলোর খারাপ এইসব বেহুদা হিসাব বাদ দিয়ে বরং নিজের দালালির পয়সা গুনো, সেইটা উপকারী হবে।

এক বোকাচোদা স্বাধীনতা সংকলন বাহির করে বিশাল সুশীল হয়ে গেছে, এখন নিজের বড় বড় বাল না ছেঁটে সবার বাল ছাঁটতে কাঁচি চালাতে চায়, তোমার নিজের কাজটা করছো সেইটার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই, কিন্তু যখন তুমি অন্যের বাল ছাঁটবার কাজ করতে চাইবা, তখন এইটা বুইঝা নিয়াই কইরো যে সে আসলে তোমাকে তার বাল ফেলানোর দায়িত্ব দিছে কি না? যদি আঙ্গুলে চুলকানি উঠে, সেই চুলকানি কমানোর জন্য অন্যের হোগায় আঙ্গুল না দিয়া নিজের হোগায় আঙ্গুল দিয়া বইয়া থাকো, একটা আঙ্গুল হোগায় ভইরা রাখবা অন্যটা মুখে ঢুকায়া চুষবা, যখন অন্য হাতের আঙ্গুল কি বোর্ডে যাওয়ার জন্য নিশপিশ করবো তখন ঐ আঙ্গুল হোগার ভিতরে ঢুকায়া আগের আঙ্গুল মুখে ঢুকায়া চুষবা, আখেরে কাজে দিবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.