আমি হয়ত মানুষ নই, মানুষ হলে তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখা আর হতনা ,তোমাকে ছাড়া সারাটা রাত বেঁচে থাকাটা আর হতনা ,মনুষগুলো সাপে কাটলে দোঁড়ে পালায় ,অথচ আমি সাপ দেখলে এগিয়ে যাই, অবহেলায় মানুষ ভেবে ঝাপটে ধরি। । একটু আগে ' যে কারণে সুখররঞ্জকে গুম করা হল ' শীর্ষক একটি ভিডিও দেখলাম। ভিডিওটি দেখে আমার কিছু খটকা লাগলো। ভিডিওতে আমার যে জিনিসগুলো খটকা লেগেছে, শুধু সেটাই বলছি।
১) প্রথমে ওনাকে ধমক দিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাস করা হয়েছে, কেন ধমক দেওয়া হল সেটা বুঝতে পারলাম না। সাধারনত ইন্টারভিউ তে ধমক দেওয়া হয় না। জেরা বা শিখানো কিছু বলানোর ক্ষেত্রে ধমক দেওয়া হয়।
২) ডান দিকে না তাকানোর জন্য আদেশ করা হয়েছে ওনাকে। কেন? ডানদিকে কি ওনার আপন কোন লোককে আটকে রাখা হয়েছে? নাকি কেউ অস্ত্র তাক করে আছে ?
৩) রাজাকারদের নাম বলার সময় পুরো মুখস্ত বলেছেন ।
এক নিঃশ্বাসে । সাধারনত একটা শব্দের পর অন্য শব্দ বলতে যে সময় লাগে তা এখানে অনুপস্থিত ছিল। অনেকে বলতে পারেন নামগুলো অনেক বার বলায় এমন তাড়াতাড়ি হয়েছে। এই ঘটনাও তো তিনি অনেক বার বলেছেন। তারপরেও স্মৃতি হাতড়ে মনে করে বলার মত বলছেন কেন? নাকি এই মনে করে বলার ধরন টা একটা অভিনয়?
৪) তিনি বলেছেন ‘সাইদি সাব ছিলেন না, তার নাম শুনি ও নাই।
‘ সাইদির নাম শুনেন নি এইটা সত্য কথা কারন আজকে আমরা যাকে চিনি সেই সাঈদী দাখিল এবং আলিম পরীক্ষার সার্টিফিকেটে নাম দেয় আবু নাঈম মোঃ দেলোয়ার হোসাইন। উল্লেখ্য যে সাঈদী দাখিল পাশ করে ১৯৫৭ সালে দারুস সুন্নাত শর্শীনা মাদ্রাসা থেকে এবং আলীম পাশ করে ১৯৬০ সালে বরই পাড়া মাদ্রাসা থেকে। সাঈদী তার আলিম ও দাখিল পরীক্ষার উল্লেখিত ওই নামটি পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হয় ২০০৮ সালের ৫ ই নভেম্বর। যার মানে দাঁড়ায় দাখিল পাশ করবার প্রায় ৫১ বছর পর এবং আলিম পাশ করবার ৪৮ বছর পর সাঈদী তার নাম পরিবর্তন করে রাখে দেলোয়ার হোসেইন সাঈদী।
৫) আমরা জানি ' রগ কাটা ' কাদের সাথে বেশী মানানসই।
তাহলে কি সুখরঞ্জন্স বালি সাহেব 'রগ কাটা' শব্দ দুটো ব্যাবহার করে, কারা এর পিছনে আছে , কারা তাকে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলাচ্ছে এর একটা ইঙ্গিত দিলেন?
সব শেষে একটি প্রশ্ন, কয়েকদিন আগে শুনলাম সুখরঞ্জন বালি নাকি ইন্ডিয়ার জেলে আটক আছেন। কেঊ কেঊ বলছেন সরকার তাকে গুম করেছে। তাহলে এই ভিডিও আসলো কোথা থেকে। আর এখন এই ভিডিও প্রকাশ না করে সাইদি এর রায়ের আগে কেন প্রকাশ করা হল না? সাইদির পক্ষের উকিল রা কেন এটা আদলতে পেশ করলো না?
নিচে ভিডিওটির লিংক দেওয়া হলঃ Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।