নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
এটুআই প্রোগ্রামের সাথে জড়িত হওয়ার পরপরই আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় সরকারী মন্ত্রনালয়সমূহে ইউনিকোড ব্যবহার শুরু করানোর জন্য। এর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে আমরা যাই এবং সবার সাথে কথা বলি। মনে হয়েছিল সরকারি অফিসসমূহে নতুন কিছু বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা আসবে, কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা নতুন ও আধুনিক পদ্ধতিতে বাংলা ব্যবহারের জন্য ব্যাপক সাড়া পাই। যার ফলে দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করে এই প্রচেষ্টাকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা ও সাহস পাই।
সরকারী অফিসসমূহে আগের পদ্ধতিতে বাংলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে, তা হলো:
*
দীর্ঘমেয়াদি তথ্য সংরক্ষণে অসুবিধা
*
একই বাংলা লেখা বিভিন্ন কম্পিউটারে দেখা যায় না
*
বাংলা ও ইংরেজী একই সাথে লেখায় অসুবিধা
*
ফন্ট না থাকলে বাংলা দেখা যায় না
*
বাংলায় ক্রমানুসারে সাজানো (সর্টিং) যায় না
*
বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে ( উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক এবং মোবাইলের বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে) বাংলা দেখা যায় না।
*
ইন্টারনেটে তথ্য প্রকাশে অসুবিধা
*
ইন্টারনেট, ডকুমেন্ট ইত্যাদিতে শব্দ অনুসন্ধান (search) কষ্টকর
*
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে Auto correct চালু থাকলে বাংলা লেখায় অসুবিধা
এ সকল সমস্যার সমাধান যে ‘ইউনিকোড’ তা জানতে পেরে সকল অফিস খুবই আগ্রহের সাথে এই নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে। শুরু থেকেই আমাদের দল ( ফিরোজ, মুর্তজা, নীলা, এবং পরবর্তীতে আরাফাত) গাইড লাইনের কাজ করছিল।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্যারের তাগিদে এবং নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবির স্যারের আন্তরিক সহায়তায় আমরা খুবই অল্প সময়ে এই কাজ শুরু করি। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে ইউনিকোড ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় সরকারি অফিসে ইউনিকোডের ব্যবহার। এর পরপরই আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও এটুআই-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করি ‘বাংলায় ইউনিকোড বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ’।
এতে অংশগ্রহণ করে বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো), বিসিসি (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল), পিএসিসি (লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র), পিএটিসি, ব্যানবেইস, বিয়াম, বাংলাদেশ অ্যাডমিন একাডেমী থেকে মোট ৪৮ জন প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষণের সময় সকল অংশগ্রহণকারী খুবই আগ্রহের সাথে ইউনিকোড ব্যবহার করা শুরু করে। আগের পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে ইউনিকোড বাংলার প্রচলনে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এমনটাই আমরা আশা করি।
সুত্র: Click This Link
এই লেখাটি পড়লে মোস্তাফা জব্বার সম্ভবত হার্টফেইল করেই মরে যাবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।