গুণীজন
তখন ভাষা আন্দোলনের সময়। মুস্তাফা মনোয়ার ছিলেন নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। থাকতেন নারায়ণগঞ্জে মেজ বোনের বাড়িতে। নারায়ণগঞ্জ থেকেই তিনি শুনতে পেলেন ঢাকায় গুলি হয়েছে, কিছু বাঙালি শহীদ হয়েছে। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষা বন্ধ করে দিতে চায়।
সেই প্রেক্ষাপটে মুস্তাফা মনোয়ার ছবি আঁকতে শুরু করলেন এবং সেই ছবি বন্ধুদের সঙ্গে সারা নারায়ণগঞ্জ শহরের দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দিতে লাগলেন। ফলশ্রুতিতে পুলিশ এসে তাঁকে এবং তাঁর দুলাভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে বন্দি করে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দিলেন। দীর্ঘ একমাস কারাবাসের পর তিনি মুক্তি পেলেন।
ছবি আঁকার কারণে কিশোর বয়সে কারাবরণ করা এই শিল্পী কারাগার থেকে মুক্তির পর ছবি আঁকা থেকে কিন্তু পিছপা হননি। বরং তিনি ছবি আঁকায় আরও বেশি মনযোগী হয়েছিলেন।
আর তাইতো পরবর্তীতে চিত্রশিল্পে তাঁর স্বতঃস্ফুর্ত পদচারণা, বাংলাদেশে নতুন শিল্প আঙ্গিক পাপেটের বিকাশ, টেলিভিশন নাটকে তাঁর অতুলনীয় কৃতিত্ব আমরা দেখতে পাই। তিনি শিল্পকলার উদার ও মহৎ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। দ্বিতীয় সাফ গেমসের মিশুক নির্মাণ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনের লালরঙের সূর্যের প্রতিরূপ স্থাপনাসহ শিল্পের নানা পরিকল্পনায় তিনি বরাবর তাঁর সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বাকী অংশ দেখুন-- http://www.gunijan.org.bd
বিপ্লবীদের জীবনী জানতে দেখুন http://www.biplobiderkotha.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।