ভাতের মজা কিছুতেই পাই না।
আমাদের মেসের এক সংগ্রামী শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, কামাল ভাই! বহুত সংগ্রামী পাবলিক! সারাক্ষন শুধু একমনে ছবি আঁকেন আর চিঁড়া খান। ভাত খেতে সময় বেশি সময় লাগে তাই চিঁড়া খেয়ে সময় বাচাঁন (ভিতরের কথা হল চিঁড়া খেয়ে মিলের টাকা বাঁচাঁন )। এই জন্য আমরা তার নাম দিয়েছি চিত্রশিল্পী কামাল ওরফে চিঁড়া ভাই। তবে ছবি গুলো আঁকেন অনেক যত্ন সহকারে।
আমি মাঝে মাঝে ছবি গুলোর সমালোচনা করি কিন্তু এতে কোন কাজ হয় বলে মনে হয় না। একরোখা পাবলিক বললেও ভুল হবে না! প্রথম ঢাকা এসেছিলেন খালি হাতে কিন্তু একবুক আশা আর মেধা নিয়ে। মেধা আর পরিশ্রমের মূল্য বুঝি এবার পেতে শুরু করেছেন। অনেক গুলো প্রাইভেট টিউশনি জুটে গেছে। জুটেছে একটি সেমি-ইংলিশ স্কুলে আর্ট টিচারের চাকরি আর খন্ডকালীন গার্মেন্টসে ডিজাইনারের কাজ।
মুটামূটি ভালই দিন চলে যাচ্ছে। আর এইসব দিন বদলের পালা শুরু হয়েছে তার প্রথম সন্তান পৃথীবিতে আসার পর থেকেই (উনি আর উনার স্ত্রীর তা-ই ধারনা)। বড় আদরের মেয়ে তার, নাম রেখেছেন আফিফা। সপ্তাহে দুই দিন তার বাড়ী যাওয়া চাই ই চাই। নয়ত হা হুতাশ করতে করতে আমাদের কান ঝালা পালা হয়ে যায়।
পুরুষরা সাংসারিক হলে কেমন জানি বদলে যায়। সারাক্ষণ শুধু আমার মেয়ে এই করেছে, সেই করেছ, আমার বউ এই করেনি, সেই করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাচেলরদের কি আর এইসব সালতালামি ভাল লাগে। তবুও উপায় নেই, চিত্রশিল্পী কামাল ওরফে চিঁড়া ভাই বলে কথা! হা হা হা... উনার আনন্দ দেখলে আসলে ভালই লাগে। আপনারা উনার জন্য দোয়া করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।