আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতির আয়নায় ভাস্বর সেই পাবনা

h

স্মৃতির আয়নায় ভাস্বর সেই পাবনা আজকের এ ডিজিটাল বাংলাদেশের সময়ে সবকিছুই যেন ডিজিটাল হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে চিন্তা ধারার দিক দিয়েও অগ্রসর হয়েছে অনেকখানি এ বাঙ্গালী জাতি। কিছুদিন আগে বাসে যেতে যেতে পরিচিত হয়েছিলাম এক ভদ্রলোকের সাথে। আমরা দুজনে শ্যামলী বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফিরছিলাম। আমি হাতে একটি বই নিয়ে যেন ডুব দিয়েছিলাম আমাদের সাধারন জীবনের কিছু অসাধারন ব্যাপার জানার নেশায়।

বার বার মনে পড়ছিল অতীতের একটি বিশেষ সময়ের কথা। পাশের সিটের ভদ্রলোক মনে হয় অবাক হয়েছিলেন এত দীর্ঘ সময় একটানা একটি বইয়ে মনোযোগ রাখাতে। তারপর দীর্ঘ নিরবতা ভঙ্গ করে ভদ্রলোক সহাস্যে আমাকে বলেছিলেন, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমরা কি নিজেরা পরিচিত হতে পারি? আমি প্রথমে কিছুটা বিরক্তই হয়েছিলাম মনে হয়েছিল কোন কঠিন ধ্যানে মগ্নœ ছিলাম আর সেই ধ্যান ভাঙ্গানো হয়েছে। কিন্তু তখন কে জানে অন্তরীক্ষ থেকে কেউ হয়তো মুচঁকি হেসেছিল। আমার জন্যে যে কি মধুর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছিল তা আমি নিজেও আঁচ করতে পারিনি।

তবুও স্বাভাবিক ভদ্রতার খাতিরে আমি বললাম, অবশ্যই আমি রিন্টু, শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিলেট) পড়াশুনি করছি। আমার দেশের বাড়ি চট্টগ্রামে। ঢাকা এসেছিলাম একটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করতে। মনে হয় বার বার ঐ রকম ছন্দময় জগত থেকে যাতে আর এরকম পানসে জগতে নেমে আসতে হয় সেজন্য সম্ভাব্য সব উত্তর এক সাথেই দিয়েছিলাম। উনিও উত্তরে বললেন, আমি কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেভিতে আছি।

ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনার দেশের বাড়ি কোথায়? উনি বললেন, পাবনা। শব্দটি হতে পারে তিন শব্দের কিন্তু শব্দটি স্পুিন্দত হয়ে আমার কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র যেন বিদ্যুৎ তরঙ্গের ঢেউ খেলে গেল। আমার মনে হল গিগাবাইট, টেরাবাইট কিংবা ন্যানো , পিকোর মতো কোন অনুভূতি সেটা।

আমি আসলে ঠিক বুঝাতে পারবনা। তাই এই অতি বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শব্দগুলো ব্যবহার করলাম। মনে হয়েছির যেন স্বর্গলোকের হাতছানি দেখতে পেলাম। বুঝলাম ধ্যান ভঙ্গ হওয়া নিরর্থক হয়নি। বরংচ ধন্য হলাম, পূর্ণ হলাম।

আমি সোৎসাহে বললাম, পাবনা! পাবনা হেমায়েতপুর চেনেন? কামাল সাহেব বললেন, হ্যাঁ চিনি। আমি আবার বললাম, পাবনা! শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাম শুনেছেন? কিছু জানি তবে তা বেশি কিছু না। তবে শ্রীশ্রীঠাকরকে নিয়ে একটা মজার ঘটনা আছে আমার জীবনে। আমি বললাম যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে যে মজার ঘটনাটি বলার সময় আমার পুরো মুখে আনন্দের রেখা দেখা গেল তা কি আমার সাখে শেয়ার করা যায়। উনি বলতে শুরু করলেন, আমি তখন চট্টগ্রামেই থাকতাম।

অফিসিয়াল কাজে অনেক সময় আমাকে শহরে আসতে হত। একদিন শহরের আগ্রাবাদে এসেছিলাম একটা কাজে। কাজ শেষ করে ভাবলাম চুলটা ছাঁট দিয়ে ও দাড়িটা কামিয়ে যায়। গেলাম একটা সেলুনে। সেলুনের নাপিত লোকটির সাথে চুল কাটাতে কাটাতে কথা হচ্ছিল।

দাড়ি কামিয়ে উঠার সময় নাপিত ভদ্রলোক বললেন, দাদা আপনার বাড়ি কোথায়? আমি বললাম, পাবনা। সাথেই সাথেই দেখি সেলুনের নাপিত লোকটি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন আর কাদঁতে শুরু করলেন। আমি কিছু বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম। পরে তিনি কোক, কেক আনালেন, খাওয়ালেন, এমনকি আমার বিলটি পর্যন্ত নিলেন না। পরে জানালেন, পাবনা আমার প্রভুর জন্মস্থান।

কতবার ভেবেছি সময় করে যাব একবার সেই পবিত্র ভূমি দর্শন করে আসব কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সময় আর হলনা। শুনেছি সরকার নাকি ঠাকুরের আশ্রম দখল করেছে। আমি আর কিছুই বলিনি। শুধু অবাক হয়ে ভেবেছিলাম কি মহান পুরুষ যার জন্মভূমির কথা শুনেই তার একজন সাধারন শিষ্যের এমন ব্যাকুলতা। আরো ভেবেছিলাম কেনও এমন এক মহাপুরুষের জন্মভূমি সরকার দখল করল।

এরপর আর ঘটনাটা নিয়ে তেমন কিছুই ভাবিনি। আমি এতক্ষন তন্ময় হয়ে কামাল সাহেবের ঘটনা শুনছিলাম। হঠাৎ কামাল সাহেবকে লক্ষ্য করে বললাম, ধন্য আপনারা, দূর্ভাগাও। উনি বললেন, এরকম বলছেন কেন? আমি বললাম, আপনারা সৌভাগ্যবান কারন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মতো এত বড় সাধক, মহাপুরুষ, সমাজ সংস্কারক, বিজ্ঞানী, ছড়াকার কি পরিচয় তাঁর তুলে ধরব। এত বড় মানুষের জন্মভূমির লোক আপনি।

আর দূর্ভাগা এ কারণে এমন পরশ পাথর পেয়েও হেলায় হারালেন। আজো তার যথাযোগ্য মূল্যায়ন করতে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। তখন কামাল সাহেব কিছুটা নিচু স্বরে বললেন, আপনি অহেতুক কেন উত্তেজিত হচ্ছেন তা আমি বুঝতে পারছি না আর একটা কথা আচ্ছা এতক্ষণ তন্ময় হয়ে আপনি কি পড়ছিলেন? আমি বললাম, এই বইটার নাম নানা প্রসঙ্গে, তৎকালীন ভারতের বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী কৃষ্ণ প্রসন্ন ভট্টাচার্যের সাথে শ্রীশ্রীঠাকুরের কথোপকথন। এই গ্রন্থটি পড়ে দেখুন না, কি দিয়ে গেছেন তিনি। এরপর আমার হাত থেকে নিয়ে বইটা প্রায় ২০ মিনিটের মত পড়লেন।

তারপর আমাকে বই ফেরত দিলেন আর মুখে বললেন, অসাধারন। আমি বললাম, শ্রীশ্রীঠাকুর আরো অসাধারন ছিলেন। আরো বললাম, আমাদের দেশে কত গোল টেবিল, স্কয়ার টেবিল মিটিং হয়, সেমিনার সিম্পোজিয়াম হয় কিভাবে সমাজের উন্নয়ন হবে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু এ বইয়ে সব বলা আছে, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো আছে আমাদের ভূলগুলো কোথায়, তার সমাধান কি। এ বাঙ্গালী জাতি যদি শ্রীশ্রীঠাকুরের শুধুমাত্র ৯০ খানা বাংলা বইয়ের কদর করতে পারত, এ বাংলা আজ সোনার বাংলায় পরিণত হত।

শ্রীশ্রীঠাকুর খুবই ভালবাসতেন এ সুজলা সুফলা , শস্য শ্যামলা বাংলাকে। কামাল সাহেব বললেন, আমি আসলে এগুলো কিছুই জানতাম না। আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভালই হলো। অনেক কিছুই জানলাম। তারপর হাঁসতে হাসঁতে বললেন, অবশ্যই নিজের বাড়ির কথা পরের বাড়ির লোকের মুখে।

আমি বললাম, তাতে আমার আপনার তেমন কোন লাভ হবে না যদি না ঠাকুরের কথাগুলো আমরা বাস্তব জীবনে ফুটিয়ে তুলতে না পার্। ি জানেন কামাল সাহেব ঠাকুর এ বিষয়ে একটি সুন্দর ছড়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিখলে যে তুই কত শত বোধতো কিছুই ফুটলনা স্মৃতির বলদ হলিই শুধু এক মুটো ভাত জুটলো না। কামাল সাহেব বললেন,কত কঠিন কথা কত সহজ ছড়াই। দেখলেন তো ভাই আমাদের পাবনার মেধা কি রকম।

আমি বললাম তাই তো পাবনা আমাদের কাছে প্রণম্য। সবচেয়ে বেশি এ মুহুর্ত্বে দরকার হল শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মভূমি আর বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে অবমুক্ত করা। আসুন না আমরা সবাই মিলে জনমত গঠন করি। শ্রীশ্রীঠাকুরের গড়া আর্ত মানবতার প্রতিষ্ঠান সৎসঙ্গ বাংলাদেশ এ কাজে ব্রতী হয়েছে। আমরা তাদের হাতকে শক্ত করি।

মানবতার সরকার, অসা¤প্রদায়িক চেতনার সরকার তার যথার্থ মূল্যায়ন করবে। কামাল সাহেব বললেন, রিন্টু ভাই আমি আজ প্রতিজ্ঞা করছি আমার পক্ষে যা করা সম্ভব সবই আমি করব। আপনি আমাকে শ্রীশ্রীঠাকুরের তৎকালীন সৎসঙ্গ আশ্রম সম্পর্কে আরো কিছু বলেন। আমি যেন মনের মধ্যে এক অজানা শিহরন অনুভব করছি। পুরো শরীর যেন সুপার প্লেনের বেগে ছুটে যেতে চাইছে।

আমি সোৎসাহে বলতে শুরু করলাম,... শ্রীশ্রীঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ আশ্রম হেমায়েতপুরে। তিনি বলতেন, সৎসঙ্গ মানে সৎ এর সঙ্গ করা, মানুষের সেবা করা, মানুষের অবগুনগুলোকে অগ্রাহ্য করে তার মধ্যে যে কিছু সদ্ গুন আছে আছে সেগুলোকে পালন পোষণ করে বাড়িয়ে তোলা। তিনি প্রতিষ্টা করেছিলেন বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র। বলেনতো কামাল সাহেব এ যাবৎ কালে আপনার জানার মধ্যে এমন কোন সাধক আছেন যিনি নিভৃত পল্লী গ্রামে ধর্ম চর্চ্চার সাথে বিজ্ঞান চর্চ্চা করেছেন। কোন সাধারন সাধকের মাধ্যমে তা কি সম্ভব।

শ্রীশ্রীঠাকুরের বিদেশী শিষ্য রে আর্চার হাউজারম্যান শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনী লিখেছিলেন যার নাম ছিল ঙপবধহ রহ ধ ঃবধ পঁঢ় প্রকাশিত হয়েছিল আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ওয়ানার বাদার্স থেকে। শুনেছি তিনি যখন ছাপানোর যখন ওয়ানার বাদার্সে পান্ডুলিপি জমা দিয়েছিলেন, তখন এ পান্ডুলিপি পড়ে ওয়ানার বাদার্সের সত্ত্বাধিকারী ইউজিন এক্সম্যান মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং সন্দেহ হয়েছিল হয়তো বাড়িয়ে লেখা হয়েছে। তিনি যখন হাউজারম্যানকে এ কথা বলেন তখন তিনি তাকে শ্রীশ্রীঠাকুরের দশর্ন লাভের অনুরোধ জানান। ইউজিন এক্সম্যান এ রকম এক মহা সাধকের দশর্ন লাভের জন্য ছুটে এসেছিলেন পাবনায়। ঠাকুর দর্শন করে মুগ্ধ হন এবং শ্রীশ্রীঠাকুরের শিষ্যত্ব গ্রহন করেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাশ্চাত্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী প্রচার করেছেন। ভাবেন কামাল সাহেব কেন আপনাকে আগ্রাবাদে (সেলুনের লোক) এত আবেগ আপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেছিল। আপনি সেই পবিত্র পাবনার লোক। তিনি বললেন, আমি সত্যিই লজ্জিত, কিন্তু আপনারা তাঁর ভক্ত অনুরাগীরা এতদিন কি করলেন? তার আগে পাবনার সেই সুবর্ন যুগের কথা আরো কিছু বলেন। শুনতে খুবই ভাল লাগে।

মনে এক ধরনের গর্ব অনুভব করি আমি সেই পাবনার লোক। যেখান থেকে একদিন মানবতার জয়গান উৎসারিত হয়েছিল। আমি আবার দিব্য স্রোতে ভাসতে শুরু করলাম। কি বলব তার মহিমার কথা, তার মানব প্রেমের কথা, তার অতিন্দ্রীয় ভালবাসার কথা। সেই সাধ্য কি আমার আছে।

যাই বলি মনে হয় যেন তাকে ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারছিনা। তখন আমার মনে ভেসে উঠল সত্যানুসরণ গ্রন্থের সেই বাণী ”স্মরন রেখো, তুমি সাহসী, স্মরন রেখো, তুমি শক্তির তনয়, স্মরন রেখো, তুমি পরম পিতার সন্তান। ” আমি আবার বলতে শুরু করলাম। তিনি প্রতিষ্টা করেছিলেন সৎসঙ্গ তপোবন বিদ্যালয়। তৎকালীন বাংলার গভর্নরের প্রতিনিধিরা যে তপোবন বিদ্যালয়ের শিক্ষা দান পদ্ধতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

তারা মন্তব্য করেছিলেন এ ধরনের বাস্তব ভিত্তিক ্িশক্ষা পদ্ধতি পাশ্চাত্য দেশেও বিরল। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ রসৈষনা মন্দির, সৎসঙ্গ ইলেকট্রিক হাউজ, সৎসঙ্গ ক্যামিকেল ওয়ার্কস, সৎসঙ্গ প্রেস আর কতো বলব বলেন কামাল সাহেব। আমরা আমাদের অযোগ্যতা হয়তো আপনার কাছে ঢাকতে পারি কিন্তু পরমপিতার কাছে ঢাকব কি করে। এতদিনেও উদ্ধার করতে পারিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মভূমি। দায়ভারটা আমাদেরই বেশী।

হয়তো রাষ্ট্র প্রশাসনকে আমরাই বুঝাতে পারি নি। জানাতে পারিনি আপনাদের মতো সাধারণ জনগোষ্ঠীকে। তবু সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনও সবাই উঠে পরে লাগলে সব হবে। কামাল সাহেব হাঁসলেন আর অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে দেখছেন।

কিছুক্ষন পরে বললেন, এত বড় মহাপুরুষের কথাগুলোকে ছড়ানো উচিত। আমি বললাম, আসুন না আমরা সবাই মিলে সেই কাজটা করি। কামাল সাহেবের সাথে এরপর আর দেখা হয়নি ঠিকানা হারিয়ে ফেলার কারণে। কিন্তু জাতিকে শোনাতে ইচ্ছা করে সেই কথা, “ যে দেশে গুনির কদর নেই সেই দেশে গুনিরা জন্ম নেয় না ” শ্রীশ্রীঠাকুরের যুগোধর্মী সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনৈতিক দর্শন পাল্টে দিতে পারে আমাদের স্বার্থপর, আত্মমূখী দৃষ্টিভঙ্গি। শুরু করতে পারে এক নব অধ্যায়।

কালস্রোতে সবকিছুই হারিয়ে যাবে কিন্তু কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হবে। পাবনা, হেমায়েতপুর ১২৯৫ বাংলা, ৩০শে ভাদ্র এ তারিখটি দাগ কেটে থাকবে এ পৃথিবীর সকল মানবতাবাদী, মুক্তবুদ্ধির চর্চ্চাকারী, অসা¤প্রদায়িকতার মন্ত্রে জাগ্রত সৈনিকদের অন্তরে। তাই সকলকে এ আহবান জানাই আসুন এ রকম একজন বিশ্বপ্রেমিকের জন্মভূমি অবমুক্ত করতে সোচ্চার হই। আগামী ১৬ ই সেপ্টেম্বর এ মানব প্রেমিকের ১২২ তম শুভ জন্মদিন। এ উপলক্ষে পাবনায় আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

আসুন না জাতি, বর্ণ, স¤প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে সম্মান জানাতে উপস্থিত হই পূণ্য জন্মস্থান পাবনার হিমায়েতপুরে। তাঁর আধুনিক চিন্তাভাবনাগুলির ভিত্তিতে এ বিশ্ব সাজায়। বাড়িয়ে তুলি ভ্রাতৃত্ববোধ। পরিশেষে, বলি তাঁর’ই মহাবানী “ সৎসঙ্গ চাই মানুষ ঈশ্বরই বল, খোদাই বল ভগবান বা এড়ফ-ই বল, অস্তিত্বই বল সে হিন্দু হোক, মুসলমানই হোক খ্রীষ্টানই হোক বা আর যা কিছুই হোক সে বোঝে প্রতি প্রত্যেকেই তাঁরই সন্তান। সে আনত করে তুলতে চায় সকলকে সেই একে।

” লেখক: বৃন্দদ্যূতি চৌধুরী রিন্টু। পরিচালক, েশ্রয় অেন্বষা


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।