আমি কি অপ্রয়োজনীয় কোন পোষ্ট করছি কিনা জানিনা,তবে আমার ধারণা এইমুহুর্তে টাইগার শার্ক ব্যতীত আর কোন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকতে পারে বলে মনে হয়না।
কে যেন বলেছিল আমেরিকা যার বন্ধু তার আর শত্রুর দরকার নেই, আর আমাদের মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর আচরণে এটা স্পষ্ট যে আমেরিকার চেয়ে ভাল বন্ধু আমাদের আর দ্বিতীয়টি নেই। কারণ আমেরিকার পরিকল্পিত বাংলাদেশ আগমণে তাদের কারো কোন অভিযোগ তো নেইই বরং আমেরিকার উপপররাষ্ট্রমণ্ত্রীর সফরে তাদেরকে অত্যন্ত আহ্লাদিত মনে হয়েছে। এটা তো পানির চেয়ে পরিষ্কার যে আমেরিকা বিনা স্বার্থে টাইগার শার্ক ১,২,৩,৪ এর নামে বারবার বাংলাদেশে আসছে না। কেউ যদি তার বাড়ীর দরজা খুলে ডাকাতকে আমণ্ত্রণ করে আর ঘরে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় আর ভাবে দেখিনা কি করে?তবে তার মতো বুদ্ধিমান জগতে খুবই বিরল।
আপনারা কি এমন কোন উদাহরণ দিতে পারবেন যে দেশে আমেরিকা গিয়েছে এবং সে দেশের লোক ভালো আছে। জানি পারবেননা। তবুও আমরা আমেরিকাকে আমাদের দেশে স্বাগত জানিয়েছি। কি উদার আমরা!ইতিহাস থেকে যে শিক্ষা নেয়না সময় তাকে উপহাস করে।
একটু সচেতন যারা খেয়াল করে থাকবেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন জানিনা আমেরিকা ভারতের স্বার্থ সংরক্ষণে সদা ততপর।
আর বিরোধীদল জিয়ার নাম আর খালেদা জিয়ার বাড়ী নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন আমেরিকার আগমণে তার সিকিভাগও নয় বরং তারাও সরকারী দলের মতো প্রভুভক্তির চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে চলেছে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ জলান্জলি দিয়ে।
উপরিঅন্তু এদেশীয় বাম ঘরানার দল গুলোও যারা কিনা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার তারাও এখন পুজিবাদীদের পকেটগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে, কারণ আমেরিকার সশরীরে উপস্থিতিও তাদেরকে নাড়া দেয়না বরং নিরব দর্শকের ভূমিকায় তারা নির্বিঘ্ন!হায়রে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সমাজতন্ত্রীর দল সাবাস!
তদুপরি আমাদের দেশীয় পত্রপত্রিকা গুলোও এ ব্যাপারে একদম নিশ্চুপ!
হায়রে দেশপ্রেম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।