আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষিত যুবক এবং ভিখারী !!!!!

জীবন ,সে তো পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু"

শিক্ষিত কোন এক যুবক। অনেকগুলা ডিগ্রীর অধিকারী। তবে সমস্যা হল, সে যা জানে, অন্যরা তা জানেনা। এরকম একটা আত্মম্ভরী ভাব তার মাঝে সবসময় বিরাজ করে। যাই হোক, একদিন কোন এক কারনে সে একটু আর্থিক সংকটে পড়লো।

পকেটে ৫০ টাকা আছে। অথচ তার আরো ২০ টাকার দরকার। কোনভাবে ম্যানেজ করতে পারছেনা। কেউ ধার ও দিচ্ছেনা। তো, এ নিয়ে ট্রেন স্টেশনের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্য্যন্ত হাটছে আর ভাবছে কিভাবে টাকাটা যোগাড় করা যায়।

হঠাৎ খেয়াল হল..বয়স্ক এক ভিক্ষুক, মানুষের দেয়া টাকাগুলো গুনে গুনে বসে থাকা ম্যাটের ভিতর ঢুকাচ্ছে। এটা দেখে যুবকটি ফন্দি আটলো যদি এই বুড়োকে কোনভাবে বোকা বানানো যায় তাহলে হয়তো ২০টাকা রুজি করতে কোন বেগ পেতে হবেনা। সে বুড়োর কাছে গেল এবং টুকটাক কথাবার্তা বলে বুড়োর সাথে অনেকটা ফ্রেন্ডলি হল। তারপর হঠাৎ বলল " চাচা মিয়া ! চল, একটা বাজী ধরা যাক'। বুড়ো বললো "কিসের বাজী? এই যেমন, আমি তোমাকে কয়েকটা প্রশ্ন করবো ।

যদি তুমি উত্তর দিতে না পারো, তাহলে প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য তোমাকে ১০ টাকা করে দিতে হবে। আমি তোমাকে বড়জোর ২/৩ টা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো, এর বেশী না। পক্ষান্তরে তুমি আমাকে মাত্র ১টি প্রশ্ন করতে পারবে। যদি উত্তর দিতে না পারি তাহলে আমি তোমাকে ৫০ টাকা পে- করবো। প্রস্তাব শুনে বুড়ো রাজী হল।

তখন যুবক বললো.."আচ্ছা ! প্রথম প্রশ্ন...বলতো, পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দুরত্ব কতটুকু?" বুড়ো খানিক্ষন ভেবে বললো "আমি জানিনা বাবাজী ! এই নাও তোমার দশ টাকা। " আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন.... বলোতো পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশটির নাম কি? ..এবার ও বুড়ো উত্তর দিতে পারলোনা। বললো.."আমি জানিনা বাবাজী..। এই নাও তোমার দশ টাকা "। যাইহোক, যে ২০ টাকার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছিলো তা সে পেয়ে গেছে।

আর প্রশ্ন করার প্রয়োজন নাই। এই ভেবে সে বললো, "চাচা মিয়া তুমি তো শুধু হারতেই আছো। আমি তোমাকে আর প্রশ্ন করছিনা। এক কাজ কর ! তুমি বরং তোমার প্রশ্নটি করে ফেল। আমি উত্তরটা দিয়ে চলে যাই।

" বুড়ো ভাবলো "শিক্ষিত ছেলে ! আমি কি এমন প্রশ্ন করবো? যা জিজ্ঞেস করবো তা-ই তো সে বলে দেবে। তখন যুবক বললো, কই! কি ভাবছো? প্রশ্নটা করনা?" সম্বিৎ ফিরে পেয়ে বুড়ো মুখে যা আসে একটা কিছু বলে বসলো..."বলতো বাবাজী ! কোন প্রাণী পাহাড়ে উঠার সময় ৫ পা দিয়ে উঠে। আর নামার সময় ১৬ পা দিয়ে নামে?" প্রশ্ন শুনে যুবকের আক্কেল গুড়ুম অবস্হা। ভাবলো.." শালার ! এতো ডিগ্রী অর্জন করলাম, কিন্তু এরকম কোন প্রাণী যে আছে তা তো কোথাও পড়ি নাই? চিন্তা করতে করতে শেষ পর্য্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়ে বললো..." চাচা মিয়া ! আমি পারলাম না। ....এই নাও তোমার ৫০ টাকা।

এবার এর উত্তরটা কি, আমাকে বলতো !" ......."উত্তরটা বাবাজী আমি নিজেও জানিনা। এই নাও তোমার দশ টাকা। " বলে বুড়ো চম্পট দিলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.