অনেক প্রতিকূলতা, অনেক সমস্যা। তবু স্বপ্ন দেখি, স্বপ্নকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাই, স্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।
ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছি অস্ট্রেলিয়া খেলবে পাকিস্তানের সাথে আর শ্রীলংকা খেলবে ইংল্যান্ডের সাথে।
দুটা খেলাই হবে সেন্ট লুসিয়ায়, যেখানে পিচ হচ্ছে ধীরগতির এবং স্পিন সহায়ক। তাই এশিয়ার দুটি দেশ পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার ভালো কিছু করার সম্ভবনা আছে।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া এই টুর্ণামেন্টে দূর্দান্ত খেলেছে এবং তারাই একমাত্র দল যারা এখনও হারেনি। এশিয়ার সবকটি দলকে তারা ইতিমধ্যেই হারিয়েছে। তবু আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া যদি হারে তবে সেমিফাইনালেই পাকিস্তানের কাছে হারতে পারে। অন্যথায় বার্বাডোজের বাঊন্সি পিচে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো খুবই কঠিন একটা কাজ হবে। এটাও মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া বরাবরই ফাইনালে ভালো করে।
সাথে আছে টুর্ণামেন্টের দুর্দান্ত পেস এটাক।
পাকিস্তান
পাকিস্তান বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল। আর খোঁড়াতে খোঁড়াতে তারা কোনো টুর্ণামেন্টের নকআউট পর্যায়ে গেলে তাদের খেলার মান বেড়ে যায়। যদি তারা ফাইনালে যেতে পারে তবে তাদের বিশ্বকাপ জেতার ভালো সম্ভবনা আছে। পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব লাভ করার চেষ্টা হয়তো তারা করবে।
ইংল্যান্ড
তারা এখনও কোনো আইসিসি টুর্ণামেন্ট জিততে পারিনি, যদিও তারা এবার ভালো খেলেছে। তবু আমার মনে হয় তারা সেমিফাইনালে শ্রীলংকার সাথে পেরে উঠবে না। কারন তারা স্পিনে দুর্বল আর খেলাটা সেন্ট লুসিয়ায়, যেখানে পিচ হচ্ছে ধীরগতির এবং স্পিন সহায়ক।
শ্রীলংকা
আগেই বলেছি, সেমিফাইনালে তারাই ফেভারিট। তাই তাদের ভালোই সম্ভাবনা আছে ফাইনালে যাওয়ার।
তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে(যদি তারা ফাইনালে উঠে) হারানো অনেকটাই অসম্ভব কারন তাদের চিরায়ত শর্টবল খেলার দুর্বলতা যা অস্ট্রেলিয়া এই টুর্ণামেন্টে এশিয়ার দলগুলোর বিপক্ষে এ পর্যন্ত ভালোই কাজে লাগিয়েছে। আর পাকিস্তান উঠলে ৫০-৫০ সম্ভবনা।
সবশেষে ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা। উপরের যা কিছু লিখলাম তা এ পর্যন্ত দলগুলোর খেলা এবং ইতিহাস দেখে সম্ভবনার কথা লিখলাম।
দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি হয়!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।