চোখের সামনে অযোধ্যা। রাজা দশরথ তার প্রজাদের নিয়ে সুখেই আছেন। একটাই দুঃখ কোনো ছেলে নেই। তিন স্ত্রী কৌশল্যা, কৈকেয়ী, সুমিত্রারা রাজার জন্য ছেলে দিতে পারছেননা। একটা সময় এক মুনীর কল্যাণে সেই দুঃখও দুর হলো।
রাম, ভরত, লক্ষণ, শত্রুঘ্ন নামে চার চারটি ছেলে হলো। তারপর নানা কাহিনী, ক্রাইমেক্সে চলল রাময়ান। বাক্য শব্দ আর বর্ণে বর্ণে কী জ্বলজ্বলে রামায়ন চোখের সামনে ভাসছে। মুগ্ধতা নিয়ে পড়ছি। অলরেডি স্ক্রীনে এস গেছেন সীতাও।
যাকে নিয়ে অদম্য কৌতুহল সবার। মানুষের অসচেতনতার প্রতীক হিসেবে যার নারীত্ব হুমকীর মুখে পড়ে যায়। প্রচলিত প্রবাদ যার সাক্ষ্যও বহন করে। সারারাত রামায়ন পড়ে সকালে জিগায় সীতা কার বাপ!
আমিও তাই সচেতনতার সাথে পড়ছি। আগ্রহের সাথে পড়ছি।
এই প্রশ্ন ওঠলে শেষ।
আগ্রহের আরো একটি কারণ অবশ্য আছে। সেটা হচ্ছে এই রামায়নের প্রতি একটা আশৈশব ভালোবাসা ছিল। তার অবশ্য উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো কারণ নেই। যেই সাধারণ একটা কারণ আছে সেটা হলো, আজ থেকে অনেক বছর আগে এই রামায়ন এর ঘটনা জানতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হতো।
তখন দূরদর্শনে দেখানো হতো রামায়ন। টিভিতে স্পষ্ট দেখা যেতো না। ঝিরঝির... ঝিরঝির...।
ছোটো আমি কাহিনীর চেয়ে যুদ্ধ দেখতে বেশি আগ্রহী ছিলাম। ঝিরঝিরের মাজে দেখতাম অসংখ্য তীর ছুড়ে ছুড়ে যুদ্ধ চলছে।
কোন তীর কার গায়ে গিয়ে লাগছে তা স্পষ্ট বোঝা যেত না। তবুও আনন্দ হতো। দেখতাম। এর মাঝে আবার কাউকে না কাউকে গিয়ে কষ্ট করতে হতো। যার সবচেয়ে আগ্রহ বেশি সে দৌড়ে গিয়ে এনালগ এন্টেনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভি স্পষ্ট করার চেষ্টা চালাতো।
কোনো ফলাফল না হলেও একটা ফল হতো, অতি আগ্রহী সেইজন শেসমেষ আর দেখতে পেতোনা।
এদিকে রাম লক্ষণ আর রাবনের চিৎকার আর অন্য দিকে এন্টেনা ধরে তার চিৎকার, দেখা যায়? একটু স্পষ্ট হইছে?
না বুঝেও দেখতাম। ভালো লাগতো। ভালো লাগাটা এখনও আছে।
সেই ভালো লাগা থেকেও বইটা এখন পড়ছি।
তবে রামায়ন এর বইটিও কেন যেন মনের ভুলে মাঝে মাঝে ঘুরিয়ে ফেলি।
হয়তো ঘটনা আরেকটু স্পষ্ট করে দেখার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।