mamun.press@gmail.com
আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
নাইকো রিসোর্সেস ফেনী ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন ও জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রোবাংলা গ্যাসের বিল পরিশোধ না করায় ১ মে থেকে নাইকো গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। ক্ষতিপূরণ মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পেট্রোবাংলা বিদেশি কোম্পানিটিকে বিল শোধ বন্ধ রেখেছে।
সূত্র জানায়, প্রান্তিক ওই ত্রেটি থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছিল। তবে কিছু উন্নয়নকাজ করে একাধিক নতুন কূপ খননের মাধ্যমে সেখান থেকে দৈনিক চার কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা সম্ভব।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নাইকোর গ্যাসের দাম পরিশোধ করা হয়নি। এখন নাইকোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নির্ধারণের জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হবে। মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্র জানায়, নাইকো পরিচালিত ছাতক (পূর্ব) গ্যাসেেক্ষত্র ২০০৫ সালে দুবার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনার জন্য ১১ কোটি ডলার তিপূরণ দাবি করে সরকার দেশের আদালতে একটি মামলা করে।
ওই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নাইকোকে ফেনী ক্ষেেত্রর গ্যাসের দাম পরিশোধ না করার একটি আদেশ রয়েছে। নাইকো পেট্রোবাংলার কাছে প্রায় ২৪৩ কোটি টাকা (সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার) পাবে। নাইকোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফেনী েেত্রর গ্যাসের দাম পরিশোধের বিষয়টি মীমাংসার জন্য সম্প্রতি নাইকো আন্তর্জাতিক আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউট—আইসিএসআইডি) একটি মামলাও করেছে। ফেনী েেত্রর গ্যাস কেনাবেচার ব্যাপারে পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর চুক্তির মেয়াদ গত নভেম্বর মাসে শেষ হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।