কবিতা ভালোবাসি ।
আমার কোনো শোক নেই, আমার কোনো বিষাদ নেই
হে কুরুবৃদ্ধগণ ! আপনাদের নীরবতায় আমার কোনো শোক নেই
পিতামহ ভীস্ম ! ক্ষমা করবেন, আপনাকে প্রনতি জানাবার স্থিরতা আজ নেই
আর কর্ণ, তোমার জন্য ঘৃণাও বড় বেশি মনে হয়
আর হে আমার পণ্চস্বমী ! আর্যাবর্ত বিজয়ী বীরশ্রেষ্ঠ অর্জুন
শক্তিমান ভীম, নকুল , সহদেব, আর আপনি ধর্মপুত্র
আপনারা আমার কৃতজ্জ্ণ অভিবাদন গ্রহন করুন।
আমি সর্বাজ্ঝা নই। যগ্গভূমের অগ্নি থেকে আমার জণ্ম
ধর্মাধর্মের খুরধার পথ আমার অজানিত
আর্যপুত্র, আপনার বিচার তাই আমার পক্ষে ধৃষ্ঠতা ।
আপনার কোনো বিচলন নেই ,
আপনার ধর্ম আপনাকে রক্ষা করেছে বীকার থেকে
কৃতজ্জতা জানান সেই ধর্মকে ।
ভীমসেন, তোমাকে আমি ভালোবাসা দেইনি কখনও
তাই তা ফিরেও চাইনি
শুধু তোমাকে আমার জিজ্জাসা ছিলো ফাল্গুনী
ঊর্ধচারী মৎসের ছায়ালীন চোখের থেকেও দু্র্লক্ষ্য কি দু্র্যোধন এর বুক?
বলো সত্য করে, প্রেম নয়
শুধু পৌরষের আষ্ফালন ই ছিলো পাণ্চালী বিজয়ের পটভূমি?
কিন্ত মিথ্যা প্রশ্ন, আমি জানি তোমার কোনো উত্তর নেই,
যেমন নেই কোনো ভালোবাসা ।
কৈশর থেকে তুমি জেনে এসেছো, বীর ভোগ্যা পৃীথিবী
আর রূপ মুগ্ধা নারী
জেনেছ , একদিন ধৃতরাষ্ঠ্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে হবে কৌরব উৎরাধিকার
জেনে এসেছ, যেখানে যা কিছু সর্বোত্তম সেই খানেই পৌঁছতে হবে তোমাকে ।
শুধু এই কুমারি লক্ষ্যর দিকেই তোমার দৃষ্টি ধন্জয়
তাই তুমি অনায়াসেই সরে যাও , এক নারী থেকে অন্য রমনীতে
তোমার পূর্বপুরুষেরা যেমন একদা এক তৃণ প্রান্তর কে নিঃশেষ করে চলে যেতেন
বনান্তরে.............
এই দূ্ত সভায় দাঁড়িয়ে আমাকে জানতে হল
নারী শুধু কয়েক প্রহরের বিলাস-সণ্গীনি ।
মনিময় হার, শত সহস্র তরুনী-দাসী,দান্ত মাতণ্গ,
গান্ধর্বপ্রেরিত অশ্বযূথ আর আমি পান্ডুপুত্রবধু-
এক পংক্তিতে দাঁড়িয়ে আমরা সবাই অপেক্ষায় ;
পিতৃগৃহে যেমন দেখেছিলাম, আহিরিনীরা দূর গ্রাম থেকে
নিয়ে আসে তাদের পসরা- আর তার উপর ঝুঁকে পড়ে
লুব্দ্ধ ক্রেতার দল- আমাদের ব্যবহার করার জন্য
তেমনই উন্মূখ হয়ে আছে, যাঁরা আমার পতির আত্মী্য;
আর আমাকে , আমাদের বিলিয়ে দিচ্ছেন যাঁরা,
তাঁরা আমার পঞ্চস্বামী-বিবাহের মণ্গলসূত্র হাতে বেঁধে যাঁরা
একদিন আমার উপর নিয়মসিদ্ধ করেছিলেন তাঁদের অধিকার।
না, শুধু এই রত্মমন্ডিত সভা গৃহেই নয়-
আরও আগে আমাকে জানতে হয়েছিল
আমার কোন বাসনা নেই, নেই কোন নিজস্ব ইচ্ছা ।
অজুর্ন, প্রথম দেখার মুহুর্তে আমার হৃদয় দিয়েছিলাম তোমাকে;
অথচ আমার শরীরকে প্রথম আলিণ্গন করলেন
ঐ মহাভাগ, যাঁর খ্যাতি ধর্মপুত্র বলে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।