আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেসিসের কর্মশালা

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

কয়েকদিন আগে বেসিসের উদ্যোগে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দিয়েছলাম। সেটি ছিল সি‌-লেবেলের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত বেসিস কর্মশালার শেষ দিন। বেসিসের কর্মশালাটি পরিচালনা করার জন্য ভারত থেকে এসেছিলেন প্রফেসর ড. স্বগত রায়। তিনি কোলকাতার লোক।

শেষ দুইবছর ইনফোসিসের হেড অব ইনোভেশন ছিলেন। এখন আইআইএমে পড়ান। তার সেশণগুলোতেও যাওয়ার আমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু হোম মিনিস্টারের ভয়ে আর সেখানে যায়নি! ২ তারিখে সকাল থেকে কর্মশালার শেষ অংশ আর সাড়ে এগারোটা থেকে গোলটেবিল বৈঠক। মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ও যোগ দেন ১১টার দিকেঅ আমি গিয়েছি ১০টার দিকে।

তখন সেখানে আলাপ শুরু হয়েছে। আলোচনার একটি থিম ছিল - ডিজিটাল বাংলাদেশ : সরকার ও শিল্পের সহযোগিতা আলোচনাটা নানাভাবে হয়েছে, শুরুটা যদিও আমি জানি না। তবে, আমি গিয়েছি যখন তখন আলোচনায় ছিল স্পেকট্রামের ফোরকান। আর একটি অভিজ্ঞতার কথা সে বলছিল যাতে বোঝা যাচ্ছিল যে তার যে সরকারি কাউন্টারপার্ট তার আইসিটি জ্ঞানের অভাবের কারণে তার সমস্যা হচ্ছিল। তার কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরো অনেকে একই ধরণের কথা বলেছেন।

এর মধ্যে দোহাটেকের দোহাভাই পরে সুনির্দষ্ট করে প্রস্তাব দিলেন যাতে আইটি প্রজেক্টে কেনাকাটার বিষয়টা যেন সরকার মাথায় রাখে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যেন প্রশিক্সণ দেওয়া হয়। অন্যরাও বললেন যে, কেবল লোয়েস্ট থেকে কেনার বিষয়টি মোটেই সুখকার নয়। দোহা ভাই এবং আরো একজন এসআইসিটি প্রকল্পের কথা বলে বললেন সেখানে এমন সব পরামর্শকরা ছিলেন যারা বাংলাদেশে কীভাবে কেনা কাটা হয় তাই জানতেন না। ফলে, দেখা গেল কম দর দিয়ে এমন সব প্রতিষ্টানকে কাজ দেওয়া হয়েছে যারা কাজটি শেষ করতে পারেনি। এটা একটা ভাল অবজার্ভেশন।

তবে, যে কথাটি কেহ বললেন না সেটা হলো আমাদের দেশে দরপত্র দিয়েই হাজার হাজার ভাল কাজের অভিজ্ঞতা আছে। সেখানে কিন্তু এমন কথা আসে না। যেমন ধরা যাক অবকাঠামো নির্মান ‌। সেখানে একটি প্রাক্কলন থাকে। ইচ্ছে করলে ঠিকাদাররা প্রাক্কলনের একটি সার্টেন পারসেন্টেজের চেয়ে কম দর প্রস্তাব করতে পারে না।

করলে তার সে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয় না। আমার মনে আছে আমার একটি প্রকল্পে একটি সংস্থা বিনে পয়সায় সম্পূর্ণ করে দিতে চেয়েছিল। আমরা সেটি গ্রহণ করেনি। সেই প্রকল্পটি সম্ভবত সর্বোচ্চ দরদাতা পেয়েছিল কারণ তার প্রস্থাবটিই ছিল যৌক্তিক এবং সংগত। আমি যখন বুয়েট কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করি তখন আমার প্রথম পরিচালক ছিলেন মুজিবুর রহমান স্যার (ড. মুজিবুর রহমান, এখন কানাডা প্রবাসী)।

তিনি বলতেন কেহ যদি অসম্ভব কম দর অফার করে তখন বুঝতে হবে ঐ ব্যাটার কোন খারাপ মতলব আছে। কারণ প্রকল্পের কারো তো শালী নাই যে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে! তাইলে সে কম টাকায় করতে চাই কেন!!! কাজেই প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এই প্রস্তাব করতে পারতেন যে, প্রাক্কলিত দরের চেয় ২০% কমে যদি কেহ কোন সফটওয়্যার বানায় দেবে বললে সে প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে যতদূর সম্ভব নির্মাতার সকল বিষয় বুঝতে হবে। যেমন তাদের প্রসেস কেমন, সফটওয়্যার সাইকেলের সবখানি তারা মানে কীনা, কোয়ালিটি এসুরেন্স টিমের খবর কী ইত্যাদি (এই ফাঁকে একটা মজার খবর দেই। চট্টগ্রামের একটি হাসপাতাল প্রজেক্টের জন্য একটি ইনফরমেশন সিস্টেম সংগ্রহ করার দায়িত্ব পড়েছে আমার ওপর। ভালমতো খোঁজনিয়ে দেখলাম একটি বিখ্যাত প্রোডাক্টের শুরু সময় তাদের কোন কিউসি টিমই ছিল না!!!) ।

সে সব খরচ দিয়ে যদি সে কাজটি করতে পারে তাহলে ভাল। সেক্ষেত্রে বুছতে হবে প্রাক্কলনকারীকে পুনরায় কোন কোর্সে পাঠাতে হবে। এভাবে বাজার মূল্য ও চাহিদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তারও একটি লেসন লার্নিং হবে। আমি যাবার পরে ডেটা সফট-এর মাহবুব জামান ভাই কযেকটা কথা বললেন। যেমন তিনি বললেন এতোদিন যে ভাবে উদ্যোক্তারা এই ইন্ডাস্ট্রিকে দেখেছেন সেভাবে দেখলে হবে না।

নতুন ভাবে দেখতে হবে। বললেন সম্পর্কটা পাল্টাতে হবে। কেবল ভেন্ডর-ক্রেতা সম্পর্ক থাকলে হবে না, অংশিদার হয়ে উঠতে হবে। সেজন্য একটা বড়ো কাজ হবে ক্রেতাকে শিক্ষিত করা। আর অংশিদার হলে কী হয় তার একটি উদাহরণও তিনি দিলেন।

বললেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে যখনই কোন ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। কারণ, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ডেটাসফট কেবল ভেন্ডর নয়, পার্টনার। একটি জরুরী কথাও তিনি বললেন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে, বিল্ট ওউন অপারেট ও ট্রান্সফার ফরমে কাজ করলে একটি রেগুলার রাজস্ব প্রাপ্তির ব্যাপারও থাকে। ফলে, মাস শেষে কর্মীদের বেতন নিয়ে চিন্তা করে মাথার চুল সাদা করতে হয় না।

জামান ভাই অবশ্য একথা বলতে পারেন। কারণ পিপিপির একটি সার্থক গল্প রচনার কাজটি তিনি ও তার সংস্থা করেছে। এমন গল্প হয়তো সামনে আরো হবে। পুরোনো গল্পগুলোর মধ্যে রেলের টিকেট অটোমেশনের কাজটিও কিন্তু একই মডেলে হয়েছে। ফলে, আজকে প্রায় ১৬ বছর ধরে এই কাজটি নিখুত ভাবে হচ্ছে।

মাঝে কয়েকজন বললেন সরকারি সহায়তার কথা। বললেন একসেস টু ফাইন্যান্স দরকার। আমি ইন্ডাস্ট্রির লোক নই। কাজে আমি আমার মতো করে আমি কয়েকটা প্রস্তাব দিয়েছি‌ ১. পুজির জন্য কেবল ব্যাংকের ওপর নির্ভর না করে দেশের ২০ লক্ষাধিক বিনিয়োগকারীর ওপর আস্তা রাখা, স্টক মার্কেট থেকে পুজি সংগ্রহ করা, ২. স্টক মার্কেটে ছোট ছোট কোম্পানির পক্ষে যাওয়াটা কঠিন। কাজেই একাধিক কোম্পানি মিলে একটি কোম্পানি হয়ে গেলে হয়।

৫০ লক্ষ টাকার দুইটি কোম্পানি একীভুত হলে এক কোটি টাকার কোম্পানি হয না, কয়েক কোটি টাকার কোম্পানি হয়। তখন তাদের পক্ষে স্টক মার্কেটে যাওয়াটা সহজ হবে। ৩. দেশে মনে হয় এখন আইসিটি খাতের উদ্যোক্তদের ১০টিরও বেশি এসোসিয়েশন আছে। কোনটির সদস্য সংখ্যা ৭ জন, কোনটির ৭০০। তারা প্রত্যকেই আলাদা আলাদাভাবে কাজ করছেন।

অথচ তাদের এজেন্ডার মধ্যে কিন্ত ব্যাপক মিল আছে। আজকে অনেক এসোসিয়েশন থাকর ফলে আমাদের ডজনখানেক সভাপতি ও মহাসচিব আছেন, কিন্ত তাতে কোন ফায়দা নেই। আমি বলেছি সংগঠনগুলোর একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন হওয়া দরকার। ভারতে ওরা শুরু করেছির নাসকম দিয়ে। শ্রীরংকায় ওরা আলাদা ছিল, কিন্তু এখন একত্রিত হয়ে স্ল্যাসকম গঠন করেছে।

সেরকম বাসকম গড়তে হবে। যেহেতু এটা রাতারাতি করা যাবে না, তাই আমি একটি রোডম্যাপও বলেছি। প্রথমে এই ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি ফেডারেশন করা হোক। এই ফেডারেশনের কাজ এগোতে থাকলে একসময় সবাই কাছাকাছি আসবেন। আমি বলেছি শুরুতে যদি কোন ঝামেলা হয় তাহলে আমরা ফেডারেশনের অনেকগুলো সহ‌সভাপতি পদ তৈরি করবো যেমন সহ‌সভাপতি (হার্ডওয়্যার), সহসভাপতি (সফওয়্যার), .. আইএসপি, মোবাইল, কোয়াব ইত্যাদি।

যদি এই বছরের জুনের মধ্যে এই কাজটি শুরু করা যায়, তাহলে বেশ এক লহমায় আমরা অনেকখানি এগোতে পারবো। কারণ তখন ফেডারেশনের সক্ষমতা বাড়বে অনেকখানি। সেক্টরের মান উন্নয়নের জন্য নিজেরাই অনেক কিছু করে ফেলতে পারবে। সামান্য একটি ১০ লাখ টাকা খরচের সার্ভে করার জন্য বিশ্বব্যাংক বা অন্য দাতাদের পেছনে দৌড়াতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাপ করার সময় সকল আলাপ একসঙ্গে করতে পারবে।

স্টক মার্কেটের বিসয়টা দেখলাম প্রফেসর রায় কঠিন ভাবে বললেন। সেই সঙ্গে মার্জিং‌এর কথাও বললেন। বললেন ইনফোসিসের সাতজন যদি সাতটা কোম্পানি করতেন তাহলে আ সেটি ২৫বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হতে পারতো না। আম্বানির কথা বললেন। কোন ব্যাংক তাকে ৫০ হাজা রুপী লোন দিতে রাজী হয়নি দেখে তিনি শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা তুলে আজকে রিলায়েন্স গ্রুপ গড়ে তুলেছেন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ কথাও বললেন। স্টা মার্কেটে গেলে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার একটি প্রবণতা তৈরি হয়। সেটি নিজেই একটি তখন প্রনোদনা হিসাবে কাজ করে। তার বক্তব্যে প্রফেসর রায় আরো জোর দিলেন ফোকাস একটিভিটিতে। দু:খ করে বললেন আমাদের ইন্টাস্ট্রিতে সবারই জ্যাক অব অল ট্রেড হওয়ার প্রবণতা।

ফলে, সবাই সবকিছু করতে চায়। এবং সবাই সবার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। অথচ পাই টা অেক বড়। এই বিষয়টি খুবই দরকারি। আমাদের এখানে কর্মী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে কাজের বেলায় “নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের” অনেক উদাহরণ আছে।

অথচ এখন দরকার নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা। সবুর ভাই (সবুর খান, ড্যাফোডিল) দুইটি কথা বললেন। তিনি বললেন স্টক মার্কেটে তার অভিজ্ঞতা কেহ কোনদিন শুনতে চায়নি। বেসিস বা বিসিএস কখনো তাকে ডেকে বলেনি, স্টক মার্কেটে তোমার অভিজ্ঞতা আমাদের বল। আমরাও তাহলে সেখানে যাওয়ার কথা ভাবি।

(এর মানে হল কারো মাথায় স্টক মার্কেট নেই!!!)। আর একটি কথা উনি বললেন ইউনিভার্সিটির লোক হিসাবে। বললেন ঠিকমতো চাহিদা আর সিলেবাস তৈরিতে সহায়তা করলে ইউনিভার্সিটিগুলো সেই মোতাবেক নিজেদের পরিবর্তন করতে পারবে। ফাহিম মাসরুর (বিডিজবস) বললেন ছোট কোম্পানির পক্ষে স্টক মার্কেটে যাওযার সুযোগ নেই কারণ ৩০ কোটি টাকার কোম্পানি না হলে সেখানে হয়তো ঢুকতেই দেবে না। প্রফেসরের মূল আলোচনায় আর একটি দু:খবোধ প্রবল হয়েছে।

তিনি বলেছেন গত এক বছরে সরকার আইসিটি খাতে ৫ মাইল এগিয়েছে কিন্ত আইসিটি শিল্প‌-উদ্যোক্তারা পাঁচফুট এগিয়েছেন মাত্র। এজন্য তিনি তাদের রিএকটিভ ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। প্রফেসর রায় খুব সরাসরি কথা বলেন। আইবিসিএক প্রাইমেক্সের তারিক যখন সরকারের কাছে তার দাবী দাওয়া পেশ করছিলেন তখন তিনি বললেন = বলছেন না কেন যে, সরকার আপনার ব্যবসাটাও করে দেবে!!! প্রতিমন্ত্রী মহোদয় মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সবারই মন-মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নতুবা কিছুই হবে না।

আর বলেছেন, তাদের প্রোডাক্ট লাইনে যেন জনগণ থাকে । থাকে যেন আরএন্ডডির ব্যাপারও। অনেকে সেখানে আরো কথা বলেছেন। আমার সব কথা মনে নেই। বেসিস নিম্চয়ই এই গোলটেবিল বৈঠকের প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

তখন সেটা পড়ে নেবো। তবে, আমার মোবাইলে আমি সবার প্রস্তাব, পরামর্শগুলো টুকে নিয়েছিলাম, সেটা এখানে দিয়ে দিলাম। ১. সরকারি ক্রয় কর্মকর্তাদের আইসিটি কেনাকাটায় প্রশিক্সণ দিতে হবে ২. কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং ব্যবস্থা দূর্বল, এগুলো সবল হওয়া দরকার ৩. সরকারকে এখাতে ভাল বিনিয়োগ করতে হবে ৪. প্রকিউরমেন্ট প্রসেসটাকে বদলাতে পারলে ভাল হয় ৫, নতুনভাবে এই খাতকে দেখতে হবে ৬. বড় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে ৭. ইন্ডাস্ট্রিকে দায়িত্ব নিতে হবে, কেবল দাবী-দাওয়ার কথা বললেই হবে না ৮. বিশ্ববাজারের উপযোগী মানসম্মত প্রোডাক্ট বানাতে হবে ৯. মানসম্মত শিক্ষা দরকার ১০. ব্যবসা স্কিল বাড়াতে হবে ১১. সফল গল্পগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ১২. পরস্পরের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে হবে যাতে একজনের ভুল থেকে আর একজন শিক্ষা নিতে পারে ১৩. শিল্প-উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে ১৪. ভারত আমাদের চেয়ে কমপক্ষে ২০ বছর এগিয়ে, কাজে ভারতীয় পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে কোন লাভ হবে না, ১৫. দেশে ব্যবসা করার খরচ বেশি (doing business cost) এটা কমাতে পারলে ভাল ১৬. রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ভাবতে হবে ১৭. কোম্পানিগুলো একীভূত হলে ভাল হয়। সম্ভবত আরো কিছু সুপারিশ ছিল যদিও আমি সেগুলি লিখতে পারি নাই। কাজে বেসিসের প্রতিবেদনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.