বহুদিন ঘরছাড়া, তাই দেশে যখন আসলাম তখন দেখা গেল, আমার একমাত্র ফুপাতো ভাইয়ের সাথে আমার প্রায় ২১ বছর পরে দেখা হল। বহুদিন পরে দেখা আর এর মধ্যে আমরা দুজনই বহু পালটে গেছি। যেহেতু ছোকরাকে টিপলেই ডলার ঝরে, তাই তারে নিয়ে যাওয়া হল কেএফসি তে।
বিশ্ববিখ্যাত ফুড চেইনগুলো অনেক বড়লোক দেশেই ছড়াছড়ি। আর ওইখানে সত্যি কথা হল, ম্যাক বা কেএফসিতে খাওয়া হল, আমাদের রাস্তায় দৌড়ের ওপর দুইটা সিঙ্গারা খাবার মত।
মতলব, আম পাবলিকের খাদ্য। পয়সার জলাঞ্জলি দিতে গেলে তখন হোটেলে গিয়ে খাইদাই হয়। ঘটনা হল, যেকদিন বৈদেশ ছিলাম, এই কেএফসিতে ঢুকা হয়নি। হালাল নাইক্কা তাই।
বঙ্গদেশে ঢুকে দেখি ফুটানি করে সর্বত্র নববর্ষের ছাপ।
আর এক কোনায় বড়বড় করে লেখা ১০০% হালাল। আমি অনেক চিন্তা করে বের করার চেষ্টা করলাম ৯০% বা ৮০% কোন খাবার কখনো খেয়েছি কিনা। মতলব একগ্লাস মিনারেল ওয়াটারের সাথে তিনফোঁটা ড্রেনের পানি মিশালে যা হয় আরকি। পুরোই গোল্লা। এইটার মাঝে পার্সেন্টেজ দেয়ার কোন সিস্টেম আমার জানা নাই।
আধুনিক পাবলিকের কাছে থাকতে পারে।
গলা পর্যন্ত চোর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় ( ঘুরায়ে ফিরায়ে মুরগীর ঠ্যাং) সাঁটানোর পরে হালকা যেই ভাবের উদয় হল, সেগুলো হল এইঃ
১) খেতে আসলেই বেশ মজা। চেহারা দেখে আমি যদিও প্রথমে মোটামুটি বমি করে দিচ্ছিলাম, ফির এখন থেকে দোকানের সামনে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে কিছুটা আফসোসই লাগবে।
২) দাম বৈদেশের তুলনায় অল্প কিছু কম। মতলব, লন্দনে যেই বেকুব ফ্লোর মুছে তারেও ঘন্টায় প্রায় ৮০০ টাকা দিতে হয়, আর এইখানের বেতনের স্কেল তো জানাই আছে।
তাই কামাই ফাটাফাটি, খরচা সামান্য মতলব ধুম প্রফিট। প্রভূরা অনুগ্রহপূর্বক পদার্পণ করিয়াছেন তাতেই আমরা ধন্য। হোক নাহয় আড়াইশো টাকায় একটা বার্গার।
৩) য্যায়সা দেশ ওয়াসা ভেস, খুব ভালমতই শিখেছেন তেনারা।
৪) ফাস্টফুড সম্রাটদের মধ্যে এদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সবচেয়ে বেশী।
এন্টি কেএফসি বা ক্রুয়েলিটি কেএফসি এইধরণের টপিকে সার্চ দিলে একবস্তা মেটিরিয়াল পাবেন। যদিও ঝকঝকে দোকানে ঢুকে মজদার খানা খেলে, সেগুলো পড়ার ইচ্ছা বা আগ্রহ কারো থাকবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।