আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্ণেল তাহের আজো প্রাসঙ্গিক ১: কর্ণেল তাহেরের পিপলস আর্মি - মন্তব্য



একটি লেখার উপর আমার মন্তব্য নিয়ে এই লেখা। মনে হল বিষয়গুলোতে হয়ত অনেকের আগ্রহ থাকতে পারে মূল লেখাঃ Click This Link আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তার পরও দু’একটা কথা বলি। সহনশীলতার সাথে শোনার জন্য অনুরোধ। "ক্রাচের কর্ণেল"- বইটি পরা হয়নি, পরার ইচ্ছা রইলো।

তবে আমার পড়া বইগুলোর থেকে জানি, তাহেরকে অবসরে পাঠানো হয়, পঙ্গুত্বের অজুহাতে। পরে তিনি জাসদের গোপন রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। ৭ই নভেম্বরের তথাকথিত সিপাহী-জনতা বিপ্লব এর অন্যতম স্থপতি তিনি, যে বিদ্রোহ প্রথমে অহিংস থাকলেও পরে রক্তাক্ত হয়ে পরে, সৈন্যদের হাতে মারা পরে ১৩ জন অফিসার (ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে বিডিআর এর ঘটনায়। ঘটনার মাত্র ৯ ঘন্টা আগে আমি এ সংক্রান্ত একটি বই পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, এও সম্ভব!! হাতেকলমে প্রমান পেয়ে গেলাম!!) এই বিদ্রোহের ফলে জিয়া বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেলেও প্রায় সাথে সাথে কার্যত বন্দী হন তাহেরের অনুসারীদের হাতে, তারা তাদের বেশকিছু দাবী অস্ত্রের মুখে আদায় করে নেয়, বাকী গুলোও আদায়ের জন্য দুজনের মধ্যে ক্ষমতার রশি টানাটানি চলতে থাকে। তাহের চাইছিলেন জিয়াকে ব্যাবহার করতে, আর জিয়া তাহেরকে ব্যবহার করে মুক্তি পেয়ে ক্ষমতা নিরংকুশ করতে চাইছিলেন।

প্রথমে তাহেরের অবস্থান ভাল থাকলেও সময়ের সাথে জিয়া সেনাবাহিনীতে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। এরপর তিনি আর দেরী করেননি। কঠোর হস্তে সমস্ত বিরোধীদের নির্মূল করার পদক্ষেপ নেন। কর্নেল তাহেরের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, তার বেশীরভাগ দাবী বাস্তবসম্মত, এবং বিবেচনার দাবী রাখে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে উনার পদ্ধতি ভুল ছিল এবং তৎকালীন পরিস্থিতিতে তা জাতীয় জীবনে এক বিপর্যয় ডেকে আনে।

ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় জিয়ার কাছে তার পরাজয় ছিল একরকম অবধারিত, এবং এর পরিনামে তাকে জীবন দিয়ে তার মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এ লেখার উদ্দেশ্য কর্নেল তাহের বা জিয়া কারো সন্মানহানী নয়। আমাদের জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা, তাদের আদর্শ ভিন্ন ছিল, আরো পৃথক ছিল সেটা বাস্তবায়নের পদ্ধতি। ভুল ভ্রান্তি সম্ভবত দুজনেরই ছিল, দুজনেই মানুষ। “দানব আর মহাপুরুষের বিচার তাই ইতিহাসের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভাল”।

ঘটনার বেলায় আমি নিজস্ব মতবাদের চাইতে সমসাময়িক মানুষদের লেখার উপর বেশি নির্ভর করেছি। এ লেখার মূল তথ্য এ বইটি থেকে নেয়া – তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা – লেঃ কর্ণেল(অব) এম এ হামিদ, পি এস সি। সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং +।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.