ভাতের ক্ষুধাগুলো
সরসিজ আলীম
মোগো ভাতের ক্ষুধাগুলো হাঁটতে হাঁটতে
ক্রেতা ললনাদের কোলাহলে নামে,
কোলাহলের ভেতর অযূত ধারার নদী
ললনাদের কোমরের কলসিতে নাচে।
কোলাহলের বুকে তবে প্রান্তরের মাঠ,
অচেনা বুনোঝোপ হঠাৎ এখানে থামে।
ক্ষুধার চোখগুলো ঝোপের আড়ালে
বসতি করে, তখন বসতির ভেতর
দিয়ে হিস হিস করে বাতাস। তৃঞ্চার শ্বাস।
তখন লিপিস্টিক রঙের জুস পান
করে যুবক।
যুবকের সারা শরীর
ঘামে ভেজে, তবে দৌড়ায় নদির কিনার।
সংসদ ভবনের হাটে পছন্দের মেয়েটাকে
সেধে ফুসকা খাওয়ায়। টাকা ছাড়া
রাতের সাথী হতে রাজি হয়না মেয়েটি।
মোগো ভাতের ক্ষুধাগুলো সারারাত গড়ায়
মেয়েটির শরীরে, ক্রেতা ললনাদের
নাভির ঘূর্ণিতে সারারাত ঘুরতে থাকে।
ওয়াসার জলকলের তলে দাঁড়ানো
ছেলেটির শরীর থেকে সব কাপড়
খুলে ভেসে যাচ্ছে পঁচা ড্রেনে, সকালটা
বত্রিশ পাটি দাঁত কেলিয়ে হাসছে।
মোদের ভাতের ক্ষুধাগুলো হাটতে হাটতে
ঢুকে পড়ে মিছিলের শরীরে। তুফান ওড়ে.
বালু ওড়ায়, শূন্য থালা ওড়ে তখন। আর
আছড়ে পড়ে উচ্চ জানালাগুলোতে,
নগরীর গালে পড়ে থাপ্পড়, ধারালো দাঁতের
স্বাস্থ্যবান ইঁদুরগুলো পালাবে এ নগর থেকে!
ভীতুর ডিমগুলো পদতলে পিষ্ট হয়!
পিষ্ট হবে পিষ্ট হোক পিষ্ট হোক পিষ্ট হোক।
০৪.০৫.২০১০, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।