মূল প্রতিপাদ্য জলবায়ু পরিবর্তনকে সামনে রেখে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে আজ শুরু হচ্ছে ষোড়শ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। এবারই প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে দেশটি। এবারের ঘোষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। থিম্পুর গ্র্যান্ড অ্যাসেম্বলি হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সার্কের বর্তমান চেয়ারপারসন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। উদ্বোধনের পর তিনি স্বাগতিক ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লিওনচেন জিগমি ওয়াই থিনলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
এবারের সম্মেলনে সার্কের ৯টি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য দেবেন। সার্কের পর্যবেক্ষক দেশ বা সংস্থাগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার, ইরান, মরিশাস ও চীন। সার্ক অঞ্চলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় কিয়োটো তহবিল থেকে অর্থপ্রাপ্তির জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ক ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) পর্যবেক্ষক হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। শীর্ষ সম্মেলন শেষে 'থিম্পু সিলভার জুবিলি ডিক্লারেশন'-এর পাশাপাশি জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা বিষয়ে আলাদা ঘোষণা আসবে। 'থিম্পু স্টেটমেন্ট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ' নামে এই ঘোষণাপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে।
সার্ক অঞ্চলের মধ্যে কানেক্টিভিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী দশককে 'ডিকেড অব ইন্টার রিজিওনাল কানেক্টিভিটি ইন সার্ক' ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সার্কের যাত্রা শুরু। এরপর গত ২৫ বছরে ১৫টি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ দমন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কানেক্টিভিটি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৌশল প্রণয়ন, শিক্ষা সহযোগিতা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে শীর্ষ নেতারা আলোচনা করবেন। তবে এবারে পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার বিষয় প্রাধান্য পাবে।
আশা করি এ সম্মেলন সফল হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।