আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
' বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম'
নামাযের গুণ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল কথা এবং
আপত্তিকর কাজ থেকে বিরত রাখে । " সূরা আনকাবুত ৪৫ আয়াত।
এ আয়াতটির ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে নাবী (সঃ) বলেন, 'যার নামায
তাকে অশ্লীল এবং আপত্তিকর কথা ও কাজ থেকে বিরত রাখেনা তার নামাযই হয় না। " ইবনে আবী হাতিম, তাফসির ইবনে কাসির ৩য় খঃ ৪১৫ পৃঃ ।
অন্য একটি হাদিসে এসেছে রসুল (সঃ) বলেন , ' যে ব্যক্তি নামায পড়ে অথচ তার নামায তাকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় না এবং মন্দ ও জঘন্য বিষয় থেকে তাকে বিরত রাখেনা ঐ নামায দ্বারা সে আল্লাহ থেকে দূরেই সরে যেতে থাকে । " বায়হাকীর শু'আবুল ঈমান, কানযুল উম্মাল ৭ম খঃ
পৃঃ৩৭৩ ।
বর্তমান যুগে সারা পৃথিবীর মুসলমান সংখ্যা একশো কোটিও বেশী ।
এদের মধ্যে ৩৫ কোটি নামাযী পাওয়া যাবে কীনা সন্দেহ । তারপর যারা
নামায পড়েন তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ নামায়ীর উপরে নামাযের ঐ
প্রভাব পড়তে দেখা যায় না , যা উপরের আয়াতটিতে বর্ণনা করা হয়েছে ।
তাহলে আল্লাহর দাবী কী ভুল ? নাউযুবিল্লাহ । না আজকের নামাযীদের
নামাযই ঠিক হচ্ছে না ?
এ বিষয়টি নিয়ে একটু মাথা ঘামালে দেখা যাবে যে, আজকের যুগের
অধিকাংশ নামাযীদের নামায হয়না । যার কারনে ওর ফল দেখতে পাওয়া যায় না । এর একটা কারন এ হতে পারে যে, আমরা রুকু ও সিজদা ঠিকমত পালন করিনা এবং কিরাআতও শুদ্ধভাবে পড়িনা । বরং দায়সারা ভাবে রুকু ও সিজদা দিয়ে নামায শেষ করে পালাই ।
একটি হাদিসে রয়েছে যে, একজন লোক ৬০ বছর নামায পড়বে অথচ তার নামায হবে না। কেউ একজন জিজ্ঞেস করলো, তা কেমন করে? তিনি (সঃ) বললেন,
সে রুকু পুরো করে তো সিজদা পুরো করে না এবং সিজদা ঠিক দেয় তো রুকু ঠিক দেয় না । অন্য হাদিসে আছে, একদা বিখ্যাত সহাবী হুযায়ফা
(রাঃ) ঐরুপ নামাযে রুকু-সিজদা পুরো না কারী একজন মুসল্লীকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি ঐরুপ নামায কত বছর ধরে পড়ছো? সে বলল , ৪০ বছর ।
হুযায়ফা(রাঃ) বললেন , তাহলে তুমি নামাযই পড়নি । অতএব তুমি যদি
ঐ অবস্থায় মরতে তাহলে ইসলামী প্রকৃতির বিপরীত প্রকৃতিতে নিশ্চয়ই মরতে ।
কিতাবুস সলাত ওয়ামা-য়্যালযামু ফীহা ৫ম পৃঃ ।
সুতরাং মুরগীর কুড়ো খাওয়ার মত নামায পড়লে নামাযের সুফল পাওয়া যাবে না। তাই ধীরে সুস্থে ও ভীত-বিনয়চিত্তে(খুশূ-খুযু সহকারে) নামায পড়তে হবে। এ খুশু বা ভীতচিত্তের গুরুত্ব সম্পর্কে ইমাম সুফয়্যান সওরী (রঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি নামাযে খুশু করেনা এবং আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়না
তার নামায নষ্ট হয়ে যায় । এব্যাপারে হাসান বাসরী (রঃ) বলেন, যে নামাযে মন হাজির থাকেনা তা পূণ্যের তুলনায় শাস্তিকেই দ্রুত টেনে আনে ।
আততা'লিকুস সাবীহ ১ম খঃ ২৬৬ পৃঃ ।
চলমান............... ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।