একজন জামাতের দালাল আমাকে খুর ক্রোধ ওপুলিশের পোশাক পরে নকল পুলিশের গাড়ি চুরি চলছেইকষ্টের সাথে বলল,ভাই এই জালিম সরকার নাস্তিক সরকার হেফাজতের অনেক কর্মীকে হত্যা করেছে
চামড়ার নিচে
গোয়েন্দা যন্ত্র
শে খ আ নো য়া র
জনবহুল ব্যস্ত ও বিশাল পৃথিবীতে কে কার খোঁজ রাখে? আপনি ব্যস্ত আছেন আপনাকে নিয়ে। অফিসের কাজে ব্যস্ত আছেন। ওদিকে আপনার বৃদ্ধা মা হার্টের রোগী হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। কি সাংঘাতিক টেনশান তাই না? যদি এমন হতো দুটো কাজ এক সঙ্গে সারতে পারতেন? অফিসে বসে থেকেও ফোনে কথা না বলেও আপনি দেখতে পারতেন আপনার মাকে! জানতে পারতেন আপনার মায়ের শরীরের সর্বশেষ খোঁজ খবর। যদি দরকার মতো প্রতিবিধানও দিতে পারতেন অফিসে বসেই।
ভারী মজা হতো তাইনা।
জী হ্যা। এমনটাই এসে গেলো। আপনার প্রিয়জন যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁর অবস্থান এবং কর্মতৎপরতা,নিজ চোখেই এখন দেখতে পাবেন। সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে আপনাকে আর আশঙ্কা , উদ্বিগ্নতার মধ্যে থাকতে হবে না।
ছিনতাইকারী , সন্ত্রাসীর হাত থেকে মুক্তি পেতে নগদ টাকা, ক্রেডিট কার্ড সাথে না নিয়েও সারতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। শধু তাই নয়।
বর্তমানে প্রচলিত আপনার নিরাপত্তা , পরিচিতির জন্য যে পাসপোর্ট, আইডি কার্ড রয়েছে তা আপনার কাছে না থাকলেও চলবে। রোগীকে আর যেতে হবে না চিকিৎসকের কাছে। নিজ বাসায় নিজ বিছানায় শুয়ে থাকবেন রোগী।
ওদিকে ডাক্তার নিজের চেম্বারে বসেই জেনে নেবেন তার রোগীর শারীরিক অব্স্থা। শুধু কি তাই? চিকিৎসক নিজ চেম্বারে বসেই বাসায় শুয়ে থাকা তার রোগীর প্রয়োজনীয় প্রতিবিধানও দেবেন দূর থেকেই। এ কোন ভেলকি জাদু নয় । একদমই সত্যি। দূরে বসেও মানুষের ব্যাক্তিগত খোঁজ খবর , নজর দারীর কাজটি এতদিন ছিল খুবই কঠিন।
এ সমস্যার সহজ সমাধান এনে দিলো একটি ুদ্রাকার মাইক্রোচিপ আর সেলুলার স্কিন। যার সাহায্যে অপহৃত বা হারানো মানুষকেও তাৎনিক খুঁজে বের করা সম্ভব।
কেমন মাইক্রোচিপ?
চালের দানার মতো ছোট আকারের এই মাইক্রোচিপ হাত বা পায়ের চামড়ার নীচে এমনিতেই বসানো সম্ভব। এতে থাকা বারকোডে রয়েছে কম্পিউটারের সাহায্যে উদ্ধারযোগ্য তথ্য। এ তথ্য সেলুলার স্কিন স্ক্যানারের সাহায্যে পড়া যায়।
এই মাইক্রোচিপের প্রস্তুতকারক কর্তৃপ জানান, এটি আপাতত: ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হবে মানুষের ব্যবহৃত ওষুধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া তদারকী, হৃৎপিন্ড, কিডনী, রক্ত, অ্যালার্জি, বা ডায়াবেটিস আছে এমন লোকের শরীরে স্থাপন করে তাদের দেখভাল করার কাজের জন্য। কারণ, জরুরি অবস্থায় মাইক্রোচিপের তথ্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এতদিন এই প্রযুক্তি গ্রহণে নীতিগত বাঁধা থাকলেও মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন জানিয়েছে, চামড়ার নিচে প্রবেশ করানো যায় এমন একটি কৌশলকে গ্রহণ করার নীতিগত বাঁধা এখন আর নেই। এই মাইক্রোচিপ ব্যবহার নিরাপদ বলে পরীতি হওয়ায় ব্যাপক ভিত্তিতে এখন ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিরাপত্তার কাজে মাইক্রোচিপ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে সাধারণত: কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়।
এই মাইক্রোচিপ বহন কারী কাউকে শনাক্ত করা বা নজরে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রেই যুৎসই জায়গা হতে পারে বলে মার্কিন প্রশাসন মনে করছে। যে সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সশস্ত্র বাহিনীর ঘাটি, কেন্দীয় অফিস সমূহ, কারাগার, ও পারমানবিক স্থাপনা। এই মাইক্রোচিপের সাহায্যে কোন জায়গার নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে । বিশেষ স্থানে প্রবেশ করতে দেয়ার আগে এই মাইক্রোচিপে অভ্যন্তরীণ বিষয়াদী পরীা করা হবে। ঢোকার পর পুরো জায়গা জুড়ে রাখা স্ক্যানারের সাহায্যে প্রত্যেকের গতিবিধি ল্য করা যাবে।
চামড়ার নীচে রাখা অদৃশ্য মাইক্রোচিপ যাবতীয় তথ্য উপাত্ত , ছবি, সরবরাহ করবে।
মেক্সিকোতে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তায় রতি অপরাধ সংক্রান্ত ডাটাবেজে কেবল সীমিত সংখ্যক কর্মচারী ঢুকতে পারে। তাদের শনাক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে তাদের চামড়ার নিচে এই মাইক্রোচিপ ঢুকানো হয়েছে। শুধু তাই নয়। সুপার মার্কেটের পণ্য সামগ্রীর সঙ্গে বেতার তরঙ্গ শনাক্তকারী চিপ লাগানো হয়েছে।
এছাড়া জাপাানের কতিপয় স্কুলে এই চিপের কার্যকারিতা পরীা করার জন্য শিশু অপহরণ রোধে এই চিপ ব্যবহার করা হচ্ছে । কর্তৃপ ছাত্র ছাত্রীদের পোষাকে এই মাইক্রোচিপ রেখে তাদের গতিবিধি ল্য করছেন।
গোপন কথাটি রইলো না গোপনে
মাইক্রোচিপের অপব্যাবহার মানুষের জীবনে কি রকম বিরুপ প্রভাব ফেলবে? তা নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে এখন। আমেরিকার নাগরিক স্বাধীনতা সমিতির প্রশ্ন হচ্ছে এই ুদে চিপ মানুষের শরীরে গোয়েন্দার মতো বসে থেকে মানুষের নিরাপত্তা কমাবে নাকি বাড়াবে? এই ুদে চিপ ব্যবহারের ফলে কারও কি মনে হতে পারে তাকে অপরাধীর মতো সার্বনিকভাবে নজর দারীতে রাখা হয়েছে? যদি এমনটি হয় , তাহলে মানুষের নৈতিকতার প্রতিবন্ধক হবে এই চিপ। কারণ কোথায় আছি , কোথায় যাচ্ছি , কি করছি, এসব বিষয় প্রকাশ হয়ে যাওয়া মানেই তো মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা , নাগরিক স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকছে না।
ব্রিটেনের রাজ্য প্রশাসন এ কারণেই ঘোষণা দিয়েছে, কেউ যদি এ ধরনের পদ্ধতি শুরু করতে ইচ্ছুক হয়, তাহলে শর্ত হলো , তাকে প্রথমে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে হবে যে, এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য সুস্পষ্ট ভাবে উল্লিখিত ত্রে ছাড়া অন্য কোন েেত্র ব্যবহৃত হবে না। যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশন জানায়, শুধুমাত্র প্রযুক্তির কথা চিন্তা না করে কেন এট ব্যবহার করা হবে তা জরুরি ভিত্তিতে চিন্তা করতে হবে।
সাধু সাবধান!
জীবন রাকারী ও মানুষকে অনুসরণকারী এই চিপ মানুষের মৌলিক কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও অপরাধীরা এই চিপের অপব্যবহারে কসুর করবে না একথা নিশ্চিত। দূস্কৃতিকারীরা তথ্য প্রকাশ করে হীন স্বার্থে ব্যবহার করবে। আইন শৃঙ্কলা রাকারী কর্তৃপরে উপর পাল্টা এই মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে নজর রাখবে এবং নিজেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে।
আর যাই হোক। বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কার , উদ্ভাবনের বিপরীত অপব্যবহার ,বিপরীত প্রতিক্রিয়া একটি সাধারণ ব্যাপার মাত্র। এেেত্র অনেকটুকু সমাধান আমাদের ব্যক্তিগত ব্যবহার , অভ্যাস নীতিবোধ ও সচেতনতার উপর নির্ভর করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।