যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
হু শ্রমিক তো বেজন্মারই জাতই হবে। তাদের জন্ম নেবার কি দরকার ছিল? সড়ক, সড়কদ্বীপে, গাড়ীর গ্লাসে নগ্ন, ঘিনঘিনে মানুষগুলো পড়ে থাকে। দিনভর কাজ করে উদোম নিশিযাপন। একশটাকা/দুইশোটাকায় গা খাটিয়ে মরার মত ঘুমায় আর হাগে। এদের কোন সিভিক সেন্স নাই।
নাই রাজনৈতিক সচেতনতা। পঞ্চাশ টাকা দিলে মিছিলে যায়, একশটাকা দিলে ভোট বিক্রি করে। আনপড়, আনকালচারড।
ওদের জন্ম হবারই কথা নয়। তাদের জন্য আছে লাইগেশন, ভ্যাসেকটমী।
সালারা লাগিয়ে মারা, কিন্তু নো প্রোডাকশন। খেতে না দিতে পারলে আবার কিসের লাগালাগি!
বেজন্মার জাত তো বটেই। ওদের চোদ্দগুষ্টি বেজন্মা। ওরা আমার হেগে ভরিয়ে ফেলা সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করে, শক্ত হইল ধরে ঘন্টার পরে ঘন্টা বহন করে, পোষাক ধুয়ে চকচকে করে, মাথার উপরে ছাদের ব্যবস্থা করে। খাদ্য বহন করে, বর্জ্য পরিষ্কার করে।
এইসব কুৎসিত কাজ করার মত জঘন্য প্রানীগুলোতো বেজন্মা হবেই। ওদের বুকের রক্তে স্নাত রাজপথে, দেহ দিয়ে বানানো কার্পেটে আমাদের সদম্ভ পদচারণা। আমাদের দুইটা বিচি নিয়ে শ্রমিককে দেখাবো এই দ্যাখ আমরা বিচিওয়ালা জাত! শ্রমিকের মুখের গহবরে কিছু বিচি/ছুড়ে দেয়া নোট ঈদের ফেতরা হিসাবে তুলে দিয়ে আমরা ক্রমশ আরো জাতবান হই।
আসুন শ্রমিকদের চোদ্দগুষ্টি তুলে গালমন্দের একটা আন্তর্জাতিক দিবস পালন করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।