একজন জামাতের দালাল আমাকে খুর ক্রোধ ওপুলিশের পোশাক পরে নকল পুলিশের গাড়ি চুরি চলছেইকষ্টের সাথে বলল,ভাই এই জালিম সরকার নাস্তিক সরকার হেফাজতের অনেক কর্মীকে হত্যা করেছে
পাকস্তিানে কারন্টেরে দাম বাংলাদশেরেে চয়েে বশেি এই খবর কি সুখ দতিে পারে ভাই? আমাদরে কারন্টে চাই। পরিবেশ দূষণ করছে কম্পিউটার বর্জ্য
শেখ আনোয়ার
আপনার ই মেইল একাউন্টে আগত জাঙ্ক মেইলের সমস্যা হয়তো আপনি মাউসের এক কিকেই সমাধান করতে পারেন। কিন্তু ভূত যখন সর্ষেতেই দেখা দেয় অর্থাৎ কম্পিউটার নিজেই যখন জাঙ্কের পরিণত হয়, তখন এর সমাধান কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আধুনিক জীবনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলছি কম্পিউটার, মোবাইল, টেলিভিশন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্যাক্সসহ নানা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি যখন অকার্যর হয়ে যাচ্ছে তখন আমরা এগুলো ফেলে দিচ্ছি যত্রতত্র বা এগুলো হয়ে যাচ্ছে শিশুদের খেলার উপকরণ। এসব পরিত্যক্ত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতিকেই বলা হয় ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট বা ই-বর্জ্য।
আর এই আবর্জনার একটি অংশ জুড়ে রয়েছে কম্পিউটার থেকে সৃষ্ট বর্জ্য। একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার পিসি মনিটর, সিপিইউ, উফার আর আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আপনার টেবিলের উপর কি পরিমাণ জায়গা দখল করে আছে? এই জায়গাকে ৬৩ মিলিয়ন দিয়ে গুণ দিন। হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিলের মতো ঠিক এই পরিমাণ জায়গা দখলকারী ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে কম্পিউটার থেকে গত বছর সেদেশে। আমাদের দেশে কি পরিমাণ ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে পরিমাণটি নেহায়েৎ কম হবে না এবং তা ক্রমবর্ধমান।
কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়ার পর দেশের যে একটি বড় অংশ কম্পিউটার কিনেছে তাদের অনেকের কম্পিউটারের লাইফটাইম বা জীবনকাল শেষ হয়েছে বা হওয়ার পথে। তাই দেখা যাচ্ছে পুরো সিস্টেম না হলেও বিভিন্ন যন্ত্রাশ প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ, আধুনিককালের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কম্পিউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্য কমানোর জন্য মূল্যবান ধাতুর ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে, যার ফলে কম্পিউটারের লাইফটাইমও কমে আসছে দিন দিন। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধানত দুটি কারণে প্রয়োজন। প্রথমত: এর তিকর প্রভাব থেকে রা পেতে ও দ্বিতীয়ত, সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট বা লাগসই উন্নয়নের জন্য।
তিকর প্রভাব
কম্পিউটারে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের তিকর প্রভাব সম্পর্কে এবার জানব। দেখা যাক কোন ধরনের বর্জ্যে কি পরিমাণ পদার্থ থাকে। একটি ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে প্রাপ্ত সম্ভাব্য পদার্থের পরিমাণ- পদার্থ পাউন্ড/ টন
পাস্টিক ৬০০
কপার ২৮৬
আয়রন ৯০
ব্রোমিন ৫৬
লেড ৫৪
টিন ৪৪
নিকেল ৪০
এন্টিমনি ২২
সিলভার ১
ক্যাডমিয়াম ০.৭৯
অলিবডেনাম ০.৩১
বেরিয়াম ০.১৮
কোবাল্ট ০.১৭
সেরিয়াম ০.১০
পাটিনাম ০.০৭
মারকারি ০.০২
সূত্র: টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডেনমার্ক
লেড বা সিসা কি তি করে: কম্পিউটারের একটি মনিটরের ক্যাথোড রে টিউবে (সিআরটি) সাধারণত ৭-৮ পাউন্ড লেড থাকে। এই লেড মানুষের স্নায়ুতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র এবং কিডনির তি করে থাকে। শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশ ব্যাহত করে।
আমাদের দেশেও যে বিপদটি বেড়েই চলেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ক্যাডমিয়াম: ইলেক্ট্রনিক সার্কিটে চিপ রেসিস্টর, সেমিকন্ডাকটর, ইনফ্রারেড ডিটেক্টর ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়। এই ক্যাডমিয়াম কিডনির তি করে থাকে।
মারকারি বা পারদ: গোটা পৃথিবীতে বার্ষিক যে পরিমাণ মারকারি ব্যবহার করা হয় তার ২২% ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রপাতিতে। এই মারকারি মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটিয়ে থাকে।
১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ পাউন্ড মারকারি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে শুধু কম্পিউটার থেকে।
পাস্টিক: একটি কম্পিউটারে সাধারণত প্রায় ১৩.৪ পাউণ্ড পাস্টিক থাকে। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৪ বিলিয়ন পাউণ্ড পাস্টিক তৈরি হয়েছে পরিত্যক্ত কম্পিউটার থেকে। এই পাস্টিকের ব্যাপক পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত নানা বিপর্যয় সৃষ্টির কারণ বলে দায়ী করা হয়।
ব্রোমিন: ব্রোমিন সাধারণত বিভিন্ন যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় অগ্নি প্রতিরোধকরূপে।
এটি পাকস্থলি ও লিভারে ক্যান্সার তৈরি করে থাকে।
লাগসই উন্নয়নের জন্য: বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একটি ২৪ কেজি ওজনের পিসি মনিটরসহ তৈরি করতে প্রায় ২৪০ কেজি জীবাশ্ম জ্বালানী প্রয়োজন যা এর ওজনের ১০ গুণ। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানিকে গোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এছাড়া এটি তৈরিতে ২২ কেজি বিভিন্ন রাসায়নিক (সম্ভাব্য রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার বিপদ) পদার্থ ও ১.৫ টন পানি (পানির স্বল্পতার সমস্যা বৃদ্ধি) প্রয়োজন। অথচ একটি গাড়ি বা রেফ্রিজারেটর তৈরি করতে এর ওজনের দ্বিগুণের বেশি জ্বালানি লাগে না।
প্রতি বছর ১৩০ মিলিয়নের মতো কম্পিউটার প্রয়োজন পৃথিবী জুড়ে। একটি পিসি উৎপাদনের যদি এই পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন হয় তবে প্রতি বছর ১৩০ মিলিয়ন কম্পিউটার তৈরি করতে কি বিশাল পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন তা সহজেই অনুমান করা যায়। আর এই উৎপাদনের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট বা লাগসই উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
করণীয়: আপনি হয়তো ফপিতে করে কোনো ডকুমেন্ট নিয়ে যাচ্ছেন প্রিন্ট আউট নেওয়ার জন্য।
দোকানে গিয়ে দেখলেন ফাইলটি খুলছে না, বুঝলেন ফপিটি নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর এটি কি করবেন? সোজা উত্তর ফেলে দেবেন। কিন্তু কোথায়? সেটা আমাদের কারো জানা নেই। এেেত্র আমরা অনেকেই আউট অব সাইট, আউট অব মাইন্ড, পদ্ধতি অবলম্বন করছি। অর্থাৎ চোখের আড়াল হলেই হলো।
এগুলো কোথায় যাচ্ছে কি হচ্ছে তা আমাদের আর বিবেচ্য বিষয় থাকছে না কিন্তু উপরের বর্ণনা থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি এ বিষয়ে ভাবা কতটা জরুর্ িএ বিষয়ে সম্ভাব্য করণীয় হলো-
বিক্রি: অনেকে কম্পিউটার আপগ্রেড করার জন্য পুরনো যন্ত্রপাতি খুলে ফেলেন। এগুলো পুন:ব্যবহারের জন্য বিক্রি করে দেওয়া যেতে পারে।
মেরামত: অনেক সময় অনেক যন্ত্র মেরামত করলেই চলে। তবে আমাদের দেশে ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ঠিক করার মতো সেরকম দ প্রতিষ্ঠান নেই।
ই-বর্জ্য সমস্যা আগে এতটা প্রকট ছিল না।
এর উৎপত্তি হয়েছে তথ্য প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী যে ‘বুম’ সৃষ্টি হয়েছে তারপর থেকে। আমাদের দেশ এমনিতেই নানা দূষণে জর্জরিত। তাই ই-বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওযার আগেই এবং লাগসই উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে এখনই দ্রুত পদপে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও সংশিষ্ট সবার ত্বরিত ও কার্যকর পদপে একান্ত কাম্য
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।