আমি বাংলাদেশের বাঙ্গাল ।
একদা এক গভীর রাতে এক দানব ফেইসবুক, সামু আর ইয়াহু মেসেঞ্জার নিয়া ব্যস্ত ছিল। দানবের মাথার উপ্রে এক বিশালাকায় ঘুর্ণন যন্ত্র তীব্র বেগে ঘুরিয়া বাতাস প্রদান করিতেছিল। হঠাৎ দানবের রুমে এক টুনটুনি ভুলক্রমে ঢুকিয়া পড়িল। ঢুকিল তো ঢুকিলই, এক্কেবারে ঘুর্নন যন্ত্রে তীব্র ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হইল।
দানব কিঞ্চিত বিরক্ত হইল। কারন দানব কিঞ্চিত ভীতু ছিল, সে ভাবিয়াছে " গৃহে বাদুর/প্যাচা ঢুকিয়া পড়ে নাই তো " ! কিন্তু ক্ষীণকায় টুন্টুনি দেখিয়া সে আশ্বস্ত হইল। টুন্টুনি তখন গা ঝাড়া দিয়া পুনরায় ঊড়াল মারিবার চেষ্টা করিতেছে। দানব ভাবিল টুন্টুনি হয়ত আর ঊড়িতে সক্ষম হইবে না। কিন্তু দানবকে অবাক করিয়া দিয়া ওই টুন্টুনি কক্ষে ঊড়িয়া বেড়াইতে লাগিল।
দানব অতি দ্রুততার সহিত ঘুর্ণন যন্ত্রর ঘুর্ণন রহিত করিল। এরপর দানব অনেক কষ্টেসৃষ্টে রাগ দমন করিয়া অই টুন্টুনি কে ধরিতে উদ্যত হইল। টুন্টুনি তাহার আপন ভাষায় চিৎকার করিয়া তীব্র প্রতিবাদ জানাইল। অনেক কাঠখড় পোড়াইয়া দানব ওই টুন্টুনিকে ধরিতে সক্ষম হইল। দানব অবলোকন করিল, টুন্টুনি ঘুর্ণন যন্ত্রের আঘাতে সামান্য পালক খসিয়া যাওয়া ব্যতিরেকে আর কোন ক্ষতি হয় নাই।
দানব তাহার মুঠোফোন দিয়া ওই আর্তচিৎকার রত টুন্টুনির কিছু ছবি তুলিল! ফটোসেশন সমাপ্ত হইবার পর দানব টুন্টুনির সুমধুর আর্তচিৎকারে যারপরনাই আমোদিত হইল এবং তাহার মনে আকস্ম্যাত দয়ার উদ্রেক হইল । তাই দানব ওই মুঠোবন্দি টুন্টুনিকে জানালার মধ্যখান দিয়া হাত গলাইয়া রাতের গভীর আঁধারে ছাড়িয়া দিল। এরপর হইতে দানব নিজেকে "মহাপুরুষ " , " সাধু " ... ভাবিতে ভাবিতে সামু, ফেইসবুক, ইয়াহু মেসেঞ্জার... এ এই অসাধারন ঘটনা বৃত্তান্ত বর্ণনা করিতে লাগিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।