কোন কিছু করতে গেলেই কেমনকরে জানি আমার মত করে হয়ে যায়, এমনকি চেনা গানের সূর কিঞ্চিত না পাল্টিয়ে আমি গাইতে পারি না। পরাজিতের দলে সহজেই ভিড়ে যাই, সংগ্রাম করার লোভে......
ইদানিং নিজেকে কাতুকুতু দিয়েও লাভ হচ্ছেনা।
ক্রমশঃ কেমন জানি অনুভুতি শূন্য পাথর টাইপ মানুষ হয়ে যাচ্ছি। ভয় লাগে কবে যে লেকের ধারে আমায় বসে থাকতে দেখে লোকেরা বলে উঠবে- আহা কি করুণ ভাষ্কর্য !!
উৎসুক জনতা আমায় দেখতে আসবে, প্রথম আলো পত্রিকার ১ নম্বর কলামে পাথর মানবের খবর ছাপা হবে। অনেকদিন অপেক্ষার পর ইত্যাদিতে হানিফ সংকেত হাসি হাসি মুখ নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলবেনঃ ‘কথায় বলে অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর; দর্শক মন্ডলি আজ আমাদের স্টুডিওতে হাজির হয়েছেন এমনি এক মানুষ যে পাথরও না, আবার মানুষও না।
এমনি এক মানুষের জন্য সজরে করতালি...(ব্যাক রাঊন্ডে বাজতে থাকবে মিউজিক-ইত্যাদি(প্যাও,প্যাও)ইত্যাদি...)
তারপর তথ্য বহুল কিছু প্রশ্ন করে, অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে কেয়া কস্মেটিক্সের সৌজন্যে মহামূল্যবান বই। বিদায় নেয়ার সময় আমি বলে উঠবোঃ যেহেতু আমি পাথর মানব, আমি কি আশা করতে পারি না যে আমাকে ক্রেনে করে পৌছে দেয়া হবে?
ক্রেনের বদলে রাজউকের গাছ কাটা গাড়ি আসবে, আমি সেই গাড়ির বালতির মত যায়গায় চেয়ার পেতে মুঘল সম্রাটের মত বসে থাকব। মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে একটা পান আর সিগ্রেট কিনে ফেলব। রাস্তায় ফুল বিক্রি করা বস্তির শিশুদের কাছ থেকে একটা টকটকে লাল গোলাপও কেনা যেতে পারে। কিন্তু সেই গোলাপ লুকিয়ে রাখলে চলবে নাহ, মিঃ বিনের মত বার বার সেটা বের করে মানুষকে দেখাতে হবে।
রাস্তার সুন্দরীরা আমার দিকে চেয়ে থাকবে, আমি স্মিত হেসে তাদেরকে সম্ভাষন জানাবো।
ভাবতেই ভাল্লাগছে।
তবে একটা ব্যাপার নিয়ে বিশেষ চিন্তা যুক্ত আছি- পাথরের কি কখনো প্রচন্ড জলতেষ্টা পায়? এমন কি মনে হয় পৃথিবীর সব মহাসাগরের পানি একটা কাগজি লেবুর রস দিয়ে গুলিয়ে খেয়ে ফেলা যাবে?
পাথরেরা কি কখনো ক্লান্ত হয়, লেজে টিনের কৌটা বেঁধে দেয়া কুকুরের মত??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।