বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মুজিব ১) বৌদ্ধরা এতই ভাগ্যবান যে তাদেরকে জন্মের পর থেকেই ‘কেউনা’ নামক কোন অশরীরি শক্তির দির্দেশ, আদেশ অথবা কোন প্রেরিত বা নাজেলকৃত মতবাদকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে জীবন পরিচালনা করতে হয়না।
- ভে. প্রফেসর আনন্দ কৌশল্যায়না
২)যদি মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে মহৎ ব্যক্তিকে দেখতে চান তাহলে ভিক্ষুকের আবরণে ঐ রাজপুত্রের দিকে তাকান- যার সাধুতাই মানুষের মাঝে অতি মহান।
-আব্দুল আতাহিয়া, “ এক মুসলিম কবি”
৩)পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম বুদ্ধই মুক্তির বারতা ঘোষণা করলেন। ব্যক্তিক ঈশ্বর কিংবা দেব-দেবীর এতটুকুও সাহায্য ব্যতিরেকেই যে কোন ব্যক্তি স্বচেষ্টায় এ মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম। তিনি সবাইকে আত্ননির্ভরতা, সাধুতা, শিষ্টাচার, বোধি, শান্তি ও সর্বজনীন প্রেম ও মৈত্রীর মতবাদকে গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন।
তিনি জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশী জোর দেন, কারণ প্রজ্ঞা ব্যতীত মুক্তি অসম্ভব।
-প্রফেসর ইলিয়ট, “বুড্ডিজম এন্ড হিন্দুইজম”
৪)যদি কোন ধর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সমান তালে চলে, তা হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্ম।
- আলবার্ট আইনস্টাইন
৫)বৌদ্ধধর্ম মূলতঃ একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন যাহা ধর্মে গণতন্ত্র, সমাজে গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে তুলে ধরেছিল।
-ড. আহম্মেদ কর
৬)বৌদ্ধধর্মে অন্ধবিশ্বাসের স্থান নেই। ঔদার্যের দিক দিয়ে অতীতে যেমন এটা দুর্লভ ধর্ম ছিল এখনও তাই।
এস-দেখ তর্ক করে ধর্মগ্রহণ করা না করার উদার মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন বুদ্ধ। অসহিষ্ণুতাকে তিনি পরম শত্রু মনে করতেন।
-ড. এস রাধাক্রষ্ণ “গৌতম দি বুদ্ধ”
৭)বুদ্ধকে যদি আদৌ ত্রাণকর্তা বলা হয়- ইহা শুধু এই অর্থে যে তিনি মানুষের মুক্তির পথ “নির্ব্বাণ” আবিস্কার করেছেন। কিন্তু সে পথ ধরে চলার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের।
-ভেন. ড. ডব্লিউ. রাহুলা, “হোয়াট দি বুদ্ধ টট”
৮)বৌদ্ধধর্ম নিয়তই জানার ও দেখার ধর্ম।
না জেনে না বুঝে বিশ্বাস স্থাপন করার ধর্ম নহে। বুদ্ধের ধর্ম এহি-পসসিকো গুণে গুণান্বিত অর্থাৎ এস দেখ আহ্বানের যোগ্য তবে না জেনে না বুঝে বিচার বিশ্লেষণ না করে কেবল বিশ্বাস স্থাপন করার ধর্ম নহে।
--ভেন. ড. ডব্লিউ. রাহুলা, “হোয়াট দি বুদ্ধ টট”
৯)আমি অনেক বার বলেছি এবং আবারো বলতে চাই যে, “বৌদ্ধ ধর্ম ও আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে পারস্পরিক প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের এক গভীর বন্ধন রয়েছে।
-স্যার এডউইন আরনল্ড
সবাইকে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা ।
তথ্যসূত্রঃ "Info on Bodhgaya"।
Buddhanet.net। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।