পেবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদীর ভুমিকা অপরিসীম। নদী নালা খাল বিল আছে বলে আমরা এখনো সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে বসবাস করতে পারছি। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় দেশের অনেক স্থান মরুভুমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এরকম হতে থাকলে আমাদের অস্থিত্ব রক্ষা করা এক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। নদীর নাব্যতা গকমার পাশাপাশি ইদানিং যে বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তেলেছে তা হলো নদীতে কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ফেলার কারণে নদীর পানি দুষিত হয়ে আশপাশের পরিবেশকে দুষিত করছে।
পানিতে মাছ থাকাতো দুরের কথা কোন ধরণের জলজ প্রাণী বাস করতে পারছেনা। এ পানি কৃষির জন্য খুবই অনুপযোগি। প্রকৃতি নির্ভর আমাদের এ কৃষি প্রধান দেশে নদনদীর পানির কী যে গুরুত্ব তা একমাত্র ঐ কৃষক ছাড়া আর কেউ বুঝবেন না। মাত্র কতিপয় সুবিধাভোগী মুনাফা লোভী কারখানার মালিক যারা কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামাল ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করছেন তারা আমাদের এ বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনায় না এনে আইন অমান্য করে নদীতে তাদের কারখানার বর্জ্য ফেলে পানি দুষিত করছেন। শুধু আইন করেই নয়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে এর প্রতিকার করতে হবে।
তাছাড়া এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে সামাজিক আনোদালন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ধরণী গড়ে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টিতে পত্রপত্রিকা, রেডিও, টিভি সহ সংষ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে আমাদের নদনদীগুলোকে দুষণ মুক্ত রাখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।