"নব্য রাজাকার গোষ্ঠির প্রবেশ নিষেধ"
ইমেজ হল দ্বিমাত্রিক এ্যারে। ডিজিটাল ইমেজ কিছু ইনফরমেশন ছাড়া কিছুই নয় , সারি আর কলামে এই তথ্য গুলো সাজানো। একটা কালার ইমেজের তিনটি মৌলিক তথ্য থাকে। সেগুলো হল লাল,সবুজ,নীল। ইমেজের বিভিন্ন পয়েন্টে কালার লেভেলের লাল সবুজ নীল এর ইনফরমেশন গুলো থাকে।
একটি ৮ বিট ইমেজের লেভেল হতে পারে ০ থেকে ২৫৫। ইমেজের এই লেভেল গুলো কে পিক্সেল ভ্যলুও বলা হয়। পিক্সেল হল ইমেজের ক্ষুদ্রতম একক বা বিন্দু, যে গুলোর সমন্বয়ে ইমেজ তৈরী হয়।
ধরা যাক (x,y) কোন পয়েন্টে লাল পিক্সেলের মান ৬০, সবুজের ২০০, নীলের মান ২৫৫। এই মান গুলো সমন্বয়ে নতুন ধরনের কালার তৈরী হবে।
সম্পূর্ন ইমেজে এই ধরনের বিভিন্ন ইনফরমেশন থাকে প্রত্যেকটা পিক্সেলের জন্য। সবাই হয়ত এটা খেয়াল করেছেন ডিজিটাল ইমেজের ক্ষেত্রে, যখন ইমেজ কে খুব জুম করা হয় তখন ইমেজ ফেটে যায় এবং বিভিন্ন কালারের চৌকোনা বক্স দেখা যায় সবখানে। এই চৌকোন বক্স গুলো হল বিভিন্ন ভ্যালুর পিক্সেল।
সাদা কালো ইমেজের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ইনফরমেশনের পরিবর্তে শুধু এক ধরনের তথ্য থাকে।
এক্ষেত্রে সাদার লেভেল ২৫৫ আর কালো হল ০ এবং এর মধ্যবর্তী লেভেলের সমন্বয়ে সম্পুর্ন ইমেজ তৈরী হয়।
এই ধরনের ইমেজ কে গ্রেই স্কেল ইমেজও বলা হয়।
ইমেজ প্রসেসিং কম্পিউটিং এর জন্য বিভিন্ন সময় বাইনারী ইমেজ ব্যবহার করা হয়। বাইনারী ইমেজে শুধু মাত্র দুইটি লেভেল থাকে ০ এবং ২৫৫। অন্য কথায় ০ এবং ১।
এখানে একটা কনফিউশন তৈরী হতে পারে ২৫৫ কে কেন ১ বললাম।
এক্ষেত্রে বলা যায় ডিজিটাল ভোল্টেজ নিয়ে যখন আমরা কাজ করি তখন ০ ভোল্টেজ কে ০ এবং +৫ ভোল্টকে ১ ধরে নিই। ২৫৫ এর ব্যাপারটাও সে রকম।
একটি গ্রেই স্কেল ইমেজকে খুব সহজে বাইনারি ইমেজে পরিবর্তন করা যায়। এলগরিদম টি হল ১২৭ এর নিচে পিক্সেল যেগুলো আছে তাদের ০ বানিয়ে দেয়া, আর ১২৭ এর উপরের পিক্সেল গুলোকে ২৫৫ করে দেয়া।
কালার,গ্রেই স্কেল এবং বাইনারী ইমেজের উদাহরন দেখুন...
কালার ইমেজ
গ্রেই স্কেল ইমেজ
বাইনারী ইমেজ
ছবির মেয়েটির নাম লেনা।
ডিজিটাল ইমেজ প্রসেসিং এ বহুল ব্যবহৃত মডেল। মজার ব্যাপার হল এই ছবিটি ১৯৭২ সালের প্লে বয় ম্যাগাজিন থেকে নেয়া।
এক্ষেত্রে মজার একটা ঘটনা ঘটেছিল ক্লাসে, শেয়ার না করে পারছি না...
আমাদের টিচার যার কাছ থেকে ইমেজ প্রসেসিং এর ধারনা গুলো পেয়েছি, উনি একদিন ক্লাস নিচ্ছিলেন প্রজেক্টরে। তো প্রাথমিক জিনিস গুলো নিয়ে বলছিলেন। হঠাৎ কি হল একটা মেয়ের ছবি খুলে ফেললেন ।
আমরা তখনো লেনা সম্পর্কে জানি না। উনি কি করলেন সাথে সাথে উইনডো টি বন্ধ করে দিলেন । সামনে মেয়েরা বসা ছিল। একটা অস্তিকর অবস্হা
স্যার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আবার লেনার ছবিটি খুললেন। তার পর বললেন এই মেয়েটির নাম লেনা, একটা স্ট্যান্ডার্ড ইমেজ।
এখানে তো পুরো ছবিটি দেখা যাচ্ছে না। নেটে সার্চ দিলে পুরোটা দেখতে পারবে
এরপর দিলাম সার্চ...যা দেখলাম
সেই যাই হোক...
ইমেজ প্রসেসিং এর প্রয়োগ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে ছিলাম অনেক আগে। চাইলে পড়তে পারেন
Click This Link
আর এখানে ওপেন সিভি ব্যবহার করা হয়েছে ইমেজ প্রসেসিং টুল হিসাবে।
OpenCV ( Intel® Open Source Computer Vision Library)
এটা একটা সি ল্যানগুয়েজের ইমেজ প্রসেসিং ফাংশনের কালেকশন। এই ফাংশন গুলো ব্যবহার করে সি এন্ভাইরোনমেন্টে ইমেজ প্রসেস করা যায়।
ওপেন সিভি নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা আছে......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।