রাজনীতির আবর্জনাগুলো বাদ দিলে আপনার সাথে আমার দ্বিমত খুবই সামান্য।
আমাদের সমাজে যে অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলেছে তা আজ সুস্পষ্ট।
অসামাজিক কার্যকলাপ দিন দিন বেড়েই চলছে। news
বখাটেদের উৎপাতের নতুন রুপ নিয়েছে, ওদের অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে মিলি, তৃষ্ণা ও পিংকির মতো ইলোরাও আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে.source এ আর নতুন কি?
কিছু দিন আগে কলাবাগান-গুলশানে পরিবারে মেয়ের সামনে বাবা-মা কে জখম খুন এর ঘটনা সবার জানা। এজাতীয় ঘটনা কি বিচ্ছিন্ন? না..তাহলে এর কারনইবা কি আর এর প্রতিকারই বা কি?
কয়েকদিন আগে কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম দেখলাম যে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের মধ্যে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে...সমাজের মানুষগুলো অতিমাত্রায় materialistic হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, অর্থের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে নিজের পরিবারের দিকে খেয়াল করার সময়ইবা কোথায়।
যার কারনে এই শুন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে সমাজে। ডিশের বদৌলতে ছোট ছেলে-মেয়েদের সুরসুরি জাগানো,ফ্যান্টাসি তৈরির অনেক উপাদান আজ আপনার-আমার ঘরেই আছে। আমাদেরই এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবি আছেন যারা নতুন প্রজন্মকে বলছেন জীবনে উন্নতি করতে হলে পাশ্চাত্যের সাথে এগিয়ে চল। কিন্তু পাশ্চাত্যের উন্নতির আড়ালে যে সামাজিক শুন্যতা তৈরী হয়েছে তা থেকে উত্তরনের জন্য স্বয়ং পাশ্চাত্য সমাজও আজ গবেষনায় মত্ত।
কয়েকটা ঘটনা উদাহরন হিসেবে দিচ্ছি;
ওয়েলস এর ৬ বছরের একটি মেয়েকে তারই ক্লাসের ২৩ জন বাচ্চা ছেলে মিলে একমাস যৌন হয়রানী করেছে।
See for details
এই বাচ্চা ছেলেরা যৌনতার কি বুযে আপনারা বলতে পারেন। কিন্তু এই বৃটেনেই দেখেছি স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বড় একটা অংশ প্র্যাগনেন্ট!
কয়েক বছর আগের একটা ঘটনা,এক বৃটিশ নাগরিকের জেল হয়েছিল যে কিনা নিজের ২ মেয়েকে ধর্ষন করে ২৭ বছরে ১৯ বার pregnant করেছিল। details
অস্ট্রিয়ান জোসেফ ফ্রিটজল এর কথাতো বাংলাদেশের পত্রিকায়ও এসেছিল যে লোক ২৪ বছর ধরে নিজের মেয়েকে সেলের ভিতর আটকে রেখে ৭ সন্তানের মা বানিয়েছিল। এ জাতীয় ঘটনা পাশ্চাত্য বিশ্বে নতুন নয়, অনেক ঘটনাতো প্রকাশই পায়না। বৃটেনে সরকার মিলিয়নস পাউন্ড খরচ করছে এসবের প্রতিকারের জন্য কিন্তু আশানুরুপ হচ্ছে বলে মনে হয়না।
পাশ্চাত্য সমাজ ধর্মকে ওদের প্রতিদ্বন্ধি মনে করে যখনই সমাজকে স্যাকুলার ঘোষনা দিল তখন থেকেই এই বিপর্যয় শুরু হয়েছিল। ওদের চার্চগুলো আজ ফাঁকা,কিছু কিছু জায়গায় মুসলমানরা ঐগুলো কিনে মসজিদ বানাচ্ছে। যাক, আলোচনা অন্যদিকে নিতে চাইনা।
আমাদের সমাজও আজ গুটি গুটি করে পাশ্চাত্যের পদাংক অনুসরন করছে বলে মনে হচ্ছে। যে দেশে মানুষের মৌলিক জিনিসেরই কোন নিরাপত্তা নাই সেখানে আমরা কি ওদের মত অত টাকা বাজেট করতে পারব ঐ বিষয়ে গবেষনা করে কারন বের করার? ধর্মীয় রাজনীতির বিরুধিতা করতে গিয়ে অনেকে আজ-কাল ধর্ম নিয়ে মস্করা করছেন, কিছুক্ষেত্র ধর্মকেই অনেকে সব সমস্যার মূল হিসেবে দেখাতে ব্যস্ত।
কিন্তু আমার মতে একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষাই হতে পারে সামাজিক অবক্ষয় মোকাবেলার সবচেয়ে কমদামি effective ঔষধ। মেয়েদেরকে পর্দা হিজাব নিকাবের আড়ালে আটকে রাখা মানেই ধর্মীয় শিক্ষা নয়। নিকাব করেও চুরি করে বলে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে!ধর্মীয় শিক্ষার মুল হল পরকালে বিশ্বাস যা মানুষকে অনেক অন্যায় থেকে বিরত রাখে। পরকালে বিশ্বাস ব্যাতীত কোন নৈতিক শিক্ষা যে ভাল ভাবে কাজ করবেনা তার উদাহরন পাশ্চাত্যের দিকে তাকালেই দেখা যায়।
ধর্মীয় শিক্ষা সহ স্কুল লেভেলে নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হলে আরো ইফেকটিভ হবে বলে মনে করি।
এর বিকল্প কিছু আপনাদের জানা আছে কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।