আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
শুনেছি, অতি চর্চায় যৌনক্ষমতা পর্যন্ত হ্রাস পায়। কথাটা চিকিৎসাবিজ্ঞান সমর্থন করে কিনা কে জানে! তবে এটা সত্যি যে, অতি চর্চায় আমার ডিভিডি রমটার কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ডিভিডি ঢুকিয়ে শুরুটা দেখার পর শেষটা দেখতে পারবো কিনা- এ নিয়ে নিত্যই থাকি আতঙ্কে। এই আতঙ্ক থেকে তৈরি হওয়া ক্ষুধা সামাল দিতে উচ্চগতির ইন্টারনেটের শরণাপন্ন হই শেষমেশ। এরপর এটুকু শুধু বলতে পারি- স্টেজভ্যুর ওপর একটা প্রবল ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
সেই ঝড়ের তোড়ে কিংবা ছবির ভারে হার্ডডিস্কের রীতিমতো বিদ্রোহ করার অবস্থা। সম্ভাব্য বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে শুরু হল ছবি দেখা এবং দেখামাত্র পোর্টেবল হার্ডডিস্কে চালান দিয়ে মূল হার্ডডিস্কের ভার কমানো।
যাউগ্গা, তালিকা থেকে আমেরিকান গৃহযুদ্ধ নিয়ে তৈরি ছবিগুলো বাদ দিয়েছি যত্নের সঙ্গে। বেশি পুরনো মুভিগুলোও, গন উইথ দ্য উইন্ডসহ। প্রথম ও বিশ্বযুদ্ধকে এই তালিকায় অগ্রাহ্য করেছি পুরোপুরি, এমনকি আমার অতিপ্রিয় ভিয়েতনাম যুদ্ধও।
বলে রাখা ভালো, তালিকার বেশিরভাগই প্রপাগাণ্ডা মুভি- যেখানে আমেরিকা কখনোই পরাজয় বরণ করে না। আর মুভিগুলোর ছাঁচও এমনই যে, দর্শকরাও আমেরিকার বিজয় কামনা করতে বাধ্য হন! বলাবাহুল্য, নিচের ছবিগুলো প্রায় সবকটিই ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে দেখেছি, কিছু ছবি ডিভিডিতে দেখা। এবং এটা 'সেরা' গোছের কোনো তালিকা নয়।
১. দ্য কিলিং ফিল্ডস
ছবি মুক্তি : নভেম্বর, ১৯৮৪ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী, ঐতিহাসিক।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কম্বোডিয়ান গৃহযুদ্ধ কভার করে পুলিৎজার পুরস্কার পান।
কিন্তু যে কম্বোডিয়ান সহযোগীর জন্য এমন সম্মান পাওয়া তার জন্য সহজতর হয়েছিল, কম্বোডিয়ায় খেমাররুজ বাহিনীর প্রতাপের মুখে সেই বন্ধুর জীবন তখন সুতোর ওপর ঝুলছিল। যুদ্ধ ও ভালোবাসার ছবি।
২. মিসিং
ছবি মুক্তি : ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | ধরন : ড্রামা, থ্রিলার, ঐতিহাসিক।
ডাউনলোড পার্ট ১ | ডাউনলোড পার্ট ২ | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : চিলিতে সালভাদর আলেন্দেকে হটিয়ে সেনানায়ক পিনোশে ক্ষমতা দখলের পর পরই নিখোঁজ হয়ে যান এক মার্কিন সাংবাদিক। কেউ তার খোঁজ দিতে পারে না, এমনকি মার্কিন দূতাবাসও।
ছেলের খোঁজে আমেরিকা থেকে উড়ে আসেন বাবা। সঙ্গে যোগ দেন পুত্রবধূ। শুরু হয় অনুসন্ধান। একপর্যায়ে তারা আবিষ্কার করেন, নিখোঁজ হওয়ার ওই ঘটনায় খোদ মার্কিন সরকার এবং সিআইএর হাত আছে।
সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবিটি ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত চিলিতে প্রদর্শন নিষিদ্ধ ছিল।
চিলির সেই সময়কার মার্কিন অ্যাম্বাসেডর নাথানিয়াল ডেভিস ছবিটির পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছিলেন। অবশ্য ডেভিস সেই মামলায় হেরে যান।
৩. হোটেল রুয়ান্ডা
ছবি মুক্তি : ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী, থ্রিলার, ঐতিহাসিক।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত
ঘটনাক্রম : রুয়ান্ডার এক হোটেল ম্যানেজার, হুটু ও টুটসিদের মধ্যকার জাতিগত সংঘাতের সময় তার হোটেলে আশ্রয় দিয়েছিলেন সহস্রাধিক টুটসি শরণার্থীকে, হুটু বাহিনীর প্রবল প্রতাপের মুখে সেই ম্যানেজারের হৃদয়স্পর্শী ভূমিকা ছবির মূল উপজীব্য। ছবিটি একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেয় আমাদের একাত্তরের কথাও।
সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এক অসাধারণ ছবি।
৪. ব্ল্যাক হক ডাউন
ছবি মুক্তি : ১৮ জানুয়ারি ২০০২ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর সোমালিয়ায় এক বিপজ্জনক মিশনের গল্প। এদিন হেলিকপ্টারযোগে আসা ১০০ ইউএস আর্মি রেঞ্জারকে নামিয়ে দেওয়া হয় রাজধানী মোগাদিসুতে। লক্ষ্য সোমালি যুদ্ধবাজদের হাত থেকে দুই শীর্ষ লেফটেন্যান্টকে উদ্ধার করে আনা।
শুরু হয় সোমালি যুদ্ধবাজ এবং রেঞ্জারদের মরণপণ লড়াই।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের স্মৃতিকথা 'ইন দ্য লাইন অফ ফায়ার'-এ দেখলাম ছবিটির উল্লেখ আছে। সেখানে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মোগাদিসুতে কর্তব্যরত পাকিস্তানি সেনারা সেদিন ধৃত মার্কিন সেনাদের উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও 'ব্ল্যাক হক ডাউন' ছবিতে সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
৫. ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন চায়না
ছবি মুক্তি : আগস্ট, ১৯৯১ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী, ঐতিহাসিক।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত
ঘটনাক্রম : ১৯ শতকে চীনে ব্রিটিশ-ফরাসি-আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিংবদন্তীর মার্শাল আর্ট যোদ্ধা উং ফেই-হাংয়ের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বন্দুকের সঙ্গে কুংফুর অসম যুদ্ধ - ছবিটির বিষয়।
৬. দ্য ওয়ারলর্ডস (চীনা ভাষায় - টো মিং চোং)
ছবি মুক্তি : এপ্রিল, ২০১০ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী, ঐতিহাসিক।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত
ঘটনাক্রম : তিন চীনা জেনারেলের বীরত্বগাঁথা এবং নিরন্তর সংগ্রাম ছবির বিষয়বস্তু। চীনা জেনারেল মা জিনি হত্যাকাণ্ডের ওপর লেখা "অ্যাসাসিনেশন অফ মা" বইয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবির প্রধান এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেট লি।
৭. স্যাভিওর
ছবি মুক্তি : নভেম্বর, ১৯৯৮ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : সাবেক এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা প্যারিসে মুসলমান সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তার স্ত্রী নিহত হওয়ার পর ফরাসি মিলিটারি ইউনিটের হয়ে বসনিয়ান সার্ব আর্মির পক্ষে যুদ্ধ করতে যান।
যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে করে তোলে হৃদয়হীন, কিন্তু এক সার্ব নারী ও তার সদ্যোজাত সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে ভাড়াটে ওই সৈনিক তার মনে মানবিকতা খুঁজে পান। ছবিতে ট্রাজেডির সঙ্গে মিলেছে মানবিক আবেদনও। রুদ্ধশ্বাসে দেখার মতো।
৮. বিহাইণ্ড এনিমি লাইন্স কলম্বিয়া
ছবি মুক্তি : ৬ জানুয়ারি ২০০৯ | ধরন : অ্যাকশন, থ্রিলার, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : কলম্বিয়ান সরকার ও বিদ্রোহী ফার্ক গেরিলাদের সংঘাত বিশ্বজুড়ে আলোচনার পুরনো বিষয়।
সেই সূত্রে কলম্বিয়ায় স্থাপিত মার্কিন ঘাঁটি খোদ হুগো শাভেজেরও নিত্য মাথাব্যাথার কারণ । ইউএস নেভির একটি গোপন মিশন ঘটনাচক্রে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শক্তিমান ফার্ক গেরিলাদের সঙ্গে। ছবির কাহিনী সেটা নিয়েই, তবে গৃহযুদ্ধের চিত্রও উঠে এসেছে ফাঁকে ফাঁকে।
৯. বিহাইণ্ড এনিমি লাইন্স বসনিয়া
ছবি মুক্তি : ৩০ নভেম্বর ২০০১ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : বসনিয়ায় এক মিশনে গিয়ে ইউএস নেভির একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়।
ঘটনাচক্রে পাইলট বেঁচে গেলেও শত্রুর মাটিতে সার্ব বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য শুরু হয় তার প্রতি মুহূর্তের যুদ্ধ। সব চেষ্টা যখন প্রায় শেষ, শত্রু যখন নিশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের ওপর, ন্যাটো কর্তাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ করে উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন পাইলটের কমান্ডিং অফিসার।
১০. এক্সিস অফ ইভিল
ছবি মুক্তি : ১৭ অক্টোবর ২০০৬ | ধরন : অ্যাকশন, থ্রিলার, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ইউএস নেভির একটি বিশেষ মিশনের ওপর দায়িত্ব পড়ে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলা নস্যাৎ করে দেওয়ার। কিন্তু মিশনের শুরুতেই ঘটে বিপত্তি।
শুরু হয় অস্তিত্ব রক্ষার স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই।
১১. আ মাইটি হার্ট
ছবি মুক্তি : ২২ জুন ২০০৭ | ধরন : ঐতিহাসিক, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ২০০২ সালে তালেবান জঙ্গিদের হাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক ড্যানিয়েল পার্ল অপহরণ এবং পরবর্তীতে তাকে শিরচ্ছেদের মর্মন্তুদ কাহিনী- ছবিটির বিষয়বস্তু। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে ড্যানিয়েল পার্লের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবিটির চিত্রায়ন প্রধানত ভারতেই, তবে কিছু অংশ পাকিস্তান ও ফ্রান্সেও হয়েছে।
১২. দ্য কাইট রানার
ছবি মুক্তি : ২৬ ডিসেম্বর ২০০৭ | ধরন : ড্রামা, রোমান্স, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ক্যালিফোর্নিয়ায় দীর্ঘকাল কাটিয়ে আমির একসময় তার মাতৃভূমি আফগানিস্তানে ফেরেন। সেখানে তার বন্ধুপুত্র তখন চরম বিপদের মুখে। জড়িয়ে পড়েন আমির নিজেও।
১৩. দ্য হার্ট লকার
ছবি মুক্তি : ১০ অক্টোবর ২০০৮ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ঘটনাস্থল ইরাক। এলিট এক আর্মি বম্ব স্কোয়াড ইউনিট এমন এক শহরে ঢোকে, যেখানে প্রতিটি মানুষই শত্রু, যেখানে প্রতিটি বস্তুই বিপজ্জনক বোমা! ছবিটি চলতি বছর ছয় ছয়টি অস্কার পেয়েছে।
১৪. লায়ন্স ফর ল্যাম্বস
ছবি মুক্তি : ৯ নভেম্বর ২০০৭ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : এই ছবির উপজীব্য আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্র। নব্বই মিনিটের ছবিতে আছে তিন তিনটি গল্প- এক মার্কিন কংগ্রেসম্যান, একজন সাংবাদিক এবং একজন অধ্যাপকের।
১৫. ডেল্টা ফোর্স
ছবি মুক্তি : ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড পার্ট ১ | ডাউনলোড পার্ট ২ | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : লেবাননভিত্তিক জঙ্গিদের একটি দল একটি আমেরিকান বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মার্কিন সরকারকে জানিয়ে দেয়, তাদের দাবি মানা না হলে জিম্মি যাত্রীদের হত্যা করা হবে। সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ, মার্কিন সরকার তখন সন্ত্রাসবিরোধী এক অভিজাত ইউনিট 'ডেল্টা ফোর্স'কে পাঠায় জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু কাজটা সহজ ছিল না। ছবিটি ১৯৮৫ সালের ২৪ জুলাইয়ের একটি সত্যি ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
১৬. বর্ডার
ছবি মুক্তি : ১৩ জুলাই ১৯৯৭ | ধরন : অ্যাকশন, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : ছবিটির বিষয় ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, যা কিনা আসলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালায় সংঘটিত এক সত্যিকারের ঘটনা নিয়ে নির্মিত বলিউডের এই ছবিকে 'ব্লকবাস্টার' হিসেবে গণ্য করা হয়।
১৭. মিশন কাশ্মীর
ছবি মুক্তি : ২৭ অক্টোবর ২০০০ | ধরন : ড্রামা, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : আলতাফ নামের এক তরুণের ট্রাজিক জীবনের গল্প।
শৈশবে ভারতীয় পুলিশের হাতে তার পুরো পরিবার খুন হওয়ার পর সেই পুলিশেরই এক কর্মকর্তা তাকে দত্তক নেন। বড়ো হয়ে আলতাফ যখন তার পরিচয় জানতে পারে, তখন সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ছবিটিতে উঠে এসেছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, বিশেষ করে যুদ্ধজাত নিষ্ঠুরতার শিকার শিশুদের করুণ জীবনের কাহিনী।
১৮. মাচিস
ছবি মুক্তি : আগস্ট, ১৯৯১ | ধরন : অ্যাকশন, ড্রামা, থ্রিলার, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত
ঘটনাক্রম : ১৯৮৪ সালে ভারতের পাঞ্জাবে ভয়াবহ রায়টের পর সন্ত্রাসবাদের বিস্তার এবং পাঞ্জাবি তরুণদের মানসিক টানাপড়েনের কাহিনী উঠে এসেছে বাস্তবধর্মী এই ছবিতে।
গুলজার পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমপুরী, টাবু, চন্দ্রচূড় সিং।
১৯. রেড স্যান্ডস
ছবি মুক্তি : ন | ধরন :অ্যাকশন, ড্রামা, ভৌতিক, যুদ্ধাশ্রয়ী।
ডাউনলোড লিংক | ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : রেড স্যান্ডস যতোটা না যুদ্ধাশ্রয়ী ছবি, ততোটাই ভৌতিক। আফগানিস্তানের কাহিনী।
২০. রেম্বো ফোর
ছবি মুক্তি : ২৫ জানুয়ারি ১৯৮৮ | ধরন : অ্যাকশন, থ্রিলার।
ডাউনলোড লিংক | [link|http://www.imdb.com/title/tt0462499/ছবি সম্পর্কে - আইএমডিবি] | ছবি সম্পর্কে - উইকিপিডিয়া
ঘটনাক্রম : মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি থাইল্যান্ডে নিরুপদ্রব জীবন কাটাচ্ছিলেন ভিয়েতনামফেরত জন রেম্বো। মিয়ানমারের ভেতরে অত্যাচারিত লোকজনকে মানবিক সেবা দিতে যাওয়া একদল খ্রিস্টান মিশনারী হঠাৎ বর্মী সেনাদের কবলে পড়লে রেম্বোর ওপর দায়িত্ব পড়ে তাদের উদ্ধার করার। তার সঙ্গে যোগ দেয় কারেন বিদ্রোহীরাও। মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি ছবিটির চিত্রায়নের সময় সিলভেস্টার স্ট্যালোন এবং কয়েকজন সহ-অভিনেতা সত্যি সত্যিই অল্পের জন্য মিয়ানমার সেনাদের কবল থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। স্ট্যালোন পরে বলেছেন, এই ছবির মাধ্যমে তারা মিয়ানমার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন।
ছবিটি মুক্তির পরপরই মিয়ানমারে নিষিদ্ধ করে সামরিক জান্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।