মঙ্গলবার রাশিয়া সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা জানান।
বিপুল সংখ্যক লোকক্ষয়ের মধ্যে যুদ্ধের আগুন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মুখে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দুই দেশ।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইসরায়েলের বোমা হামলা ও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে কেরির এই রাশিয়া সফর।
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মধ্যপ্রাচ্য। এই এলাকায় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ও ইতোমধ্যে সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেন, “সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সমাধান হওয়া ওই অঞ্চলে বৃহৎ শক্তিগুলোর সাধারণ স্বার্থের জন্যই জরুরি।
”
পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন কেরি। এই সম্মেলনে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে দুপক্ষের একমত হওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না করা গেলে সিরিয়া গভীর গহ্বরে পড়ে যাবে। এই গহ্বরে পড়া এড়ানো না গেলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ”
“এতে মানবিক সঙ্কট আরো বাড়বে, এতে এমনকি সিরিয়া ভেঙেও যেতে পারে,” বলেন তিনি।
কেরি জানান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার বিরোধীদের নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সম্ভব হলে চলতি মাসেই একটি সম্মেলন আয়োজন করার চেষ্টা করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ার দুই বছর ধরে চলা সঙ্কট প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরস্পরবিরোধী অবস্থান সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের নেওয়া উদ্যোগকে অচল করে রেখেছে। এখন নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতাধারী এই দুই শক্তি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে সহমত হলে সিরিয়ার সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকরী আন্তর্জাতিক পক্ষ তৈরি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
গত দুই বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।