১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেট খেলা দেখি। যে লোকটিকে আমি খেলা দেখার আগে থেকেই পছন্দ করি, তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি। হয়তো তিনি বাঙালি বলেই।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটারের তালিকা করলে গাঙ্গুলির নাম হয়তো প্রথম দিকেই থাকবে। এই সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলে যখন নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু হলো বাংলাদেশের পত্রিকার পাতাগুলোতে তখন সৌরভ বন্দনায় ভরা থাকত।
আর সৌরভ? মহারাজা শব্দটি যার জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলছি, রাজকীয় ভঙ্গিতেই জবাব দিত বারবার। রান খরার অজুহাতে তাকে দল থেকে বাদ দেয়ার কোন সুযোগই তিনি দেননি। দল থেকে বাদ দিলেই দেখা যেত তিনি সেঞ্চুরি হাকিয়ে দিয়েছেন। দলে ফিরেও তা ই।
দল থেকে নানা কূটচালে তাকে বাদ দিলেও রাজকীয় ভঙ্গিতেই বারবার ফিরে এসেছেন জাতীয় দলে।
অবশেষে অবসরও নিলেন রাজকীয় ভঙ্গিতেই।
আইপিএল এর খেলা দেখি মূলত গাঙ্গুলিকে ভালো লাগে বলেই। শচীনের ও ভক্ত আমি। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফ্যান। গত দুটো আইপিএলে কলকাতা দল খারাপ খেললেও সৌরভের পারফরমেন্স যথেষ্ট নজরকাড়া ছিল।
দ্বিতীয় আসরে অধিনায়কত্ব হারানো সৌরভ অনুজ্জ্বলই ছিল বলা চলে। হয়তো অভিমান।
এবার দুটো হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল। গত রাতের খেলায় যেভাবে তার রাজকী য়প্রত্যাবর্তন হল, তাতে লড়াকু ক্রিকেটার হিসেবে তার এক নম্বর জায়গাটা হয়তো কেনাই হয়ে গেল। ্এর পর কোন ক্রিকেটার দলে ফেরার জন্য লড়াই করলে নিশ্চিত করেই তার আদর্শ হবেন সৌরভ গাঙ্গুলি, আমাদের দাদা।
এই বয়সে, ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরও নয়টা চার আর পাচটা ছক্কার মাধ্যমে ৫৪ বলে ৮৮ রান করা একমাত্র মহারাজ দাদার পক্ষেই হয়তো সম্ভব।
দাদাকে সালাম। আমার প্রিয় দাদা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।