আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ইলেক্ট্রনিক্স মেলা কঠিন: বিশ্বাস না হইলে পইড়া দেখেন!-ধূসর গাংচিলের পোস্ট পইড়া এক্সাপায়ারড হইলাম!
প্রিয় ভাই আমার এবং বোইন আপনের
আবারও আইলাম আপনেগো কানে মশার মতো প্যান প্যান করতে যদিও আইজকা আমার মুখ ভর্তি পান। এই পান কিনতে গিয়া একখান ঘটনা ইয়াদ আইলো, এই ঘটনা দিয়াই শুরু করি দ্বিতীয় পর্ব। ঘটনা হইলো রাস্তায় হাটতে হাটতে দেখলাম এক দুকানে পানের পুস্টার। তখন কেমুন জানি একখান পান খাওনের জন্য মনখান আকুপাকু করতাছিলো।
যাই হোউক, মন বইলা কথা, দুকানের পিচকারে যাইয়া কইলাম,' বাবা নন্দুদুলাল, একখান পানের খিলি জর্দা মাইরা জুস্ত কইরা লাগাও তো দেখিনিকি!' হেই পুলা আমার কথা শুইনা গলার গামছা একখান ঝাড়া দিয়া কি কয় জানেন, কয়,' পরথম বাত হইলো আমি আপনের কুনো রিসতার বাপ হইনা, দিরতিয় কথা আমার নাম নন্দুদুলাল না, নায়ক মান্নার নামে নাম, তৃতীয় কথা, এই চা বিস্কুটের দুকানে পানের বজরা দেখলেন কই?'
- কও কি মিয়া, দুকানের সামনে এত্ত বড় খিলি ওয়ালা পানের পুস্টার, কও দুকানে পান নাই? এই চিটিংবাজী কবে থিকা?
- চক্কু কি মিয়া পকেট রাইখা ঘুরেন নাকি? কুন মসজিদ কমিটির নাকি নির্বাচন হইবো সেইটা নিয়া পুরা এলাকায় মাতামাতি!'
- কও কি মিয়া! (একটু ভালা কইরা যখন দেখলাম) আরে এতো দেখি আমার পুস্টার! মাগার ফটুকে মুছ আকলো কেডা?
- আপনেও খাড়াইছেন নাকি? ঐ এলাকার কিছু পুলাপান গতকাইল কইতাছইিলো ছবিতে মুছ আকতে আকতে, বাটপার পাবলিক পকেটে সূতা হইলেই নির্বাচন করবার চায়, অখন দেখি মসজিদের ত হবিলেও নজর দিছে!
আমার একখান খাকারী দিয়া হাটা দিলাম আর মনে মনে কইলাম, দেশের পুলাপান কি সব বেয়াদ্দব হইয়া গেলো?
(অডিয়েন্স থিকা এক চ্যাংড়া খাড়াইয়া: হালার এইখানেও মামদোবাজী, আইলাম জ্ঞানের নিতে, শুরু করছে নিজের ভুটের কাহিনী, চাচাজান, পানে কি জর্দ্দা বেশী মারছে নাকি?
যাই হোক, আমরা গতকাইল তিন ঠ্যাং এর ট্রানজিস্টর নিয়া বাতচিত করতাছিলাম। আসলে একখান কথা কই, ইলেক্ট্রনিক্স পুরাটাই সিগন্যাল নিয়া কাম কাইজ। যখন এইটা বিভিন্ন এ্যাকটিভ আর প্যাসিভ কম্পোনেন্ট এর ভিতর দিয়া যায় তখন দেখা যায় সিগন্যালের কোনো না কোনো বিকৃতি, কম জোড়ি, উল্টাপাল্টা নয়েজ মানে আলগা সিগন্যাল লাইগা যায়। ফলে সিগন্যালডারে একটু বড় কইরা দেখতে হয়। অনেক সময় ইনফোরমেশন যুক্ত সিগন্যালের পাওয়ার বা এ্যামপ্লিচুড থাকে কম, তখন এইটারে নিয়া কাজ করতে গেলে মিনিমাম লেভেলে বাড়াইতে হয়।
এইটারে বলে এ্যামপ্লিফিকেশন। এই ট্রানজিস্টরের একটা প্রধান কাম হইলো এ্যামপ্লিফিকেশন। এর দ্বারা আরো একটা পরজনীয় কাম হইলো সুইচিং যেইটা কমু সেইটাই পাঠাইবো অন্য টাইম অফ যাইবো! কিন্তু ডিজাইনের জন্য ন্যুনতম যা জানা দরকার সেটাই চেস্টা করুম বাকিটা ডাটা শীট থিকা কেমনে বুঝবেন তারউপর ছোট্ট একখান আলোকপাত করুম যেদি ঐ আলোকপাত করনের জন্য ব্যাটারীতে চার্জ থাকে!
(অডিয়েন্স থিকা ব্যাপক ঘুমের শব্দ, কি করুম বুঝতাছি না, স্ট্যাটিক এক্স এর উইসকিনসন ডেথট্রিপ বাজাই দিলে কেমুন হয়?)
১)গঠন প্রনালী অনুযায়ী দুই প্রকার: এনপিএন আর পিএনপি। কানেকশন, ঠ্যাং, সব ফটুকে আছে। পার্থক্য খান ধরতে পারছেনতো? খালি বেজ কারেন্ট আর পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কানেকশন!
২) ভালা কথা, এই তিনখান ঠ্যাং এর নাম হইলো এমিটার, বেজ আর কালেকটর।
৩) দুই ধরনের কানেকশন আছে একটা হইলো ফরওয়ার্ড বায়াস আর একটা হইলো রিভার্স বায়াস। এখন যদি কন বায়াস কি, তাইলে কইতো হয় ধরেন বাজার থিকা আপনি কুড়কা কিন্না আনছেন, অখন এই কুড়কা তো বাড়িত আইনাই কামড়া কামড়ি করবেন না, তারে আগে খোদার নামে জবাই করতে হইবো তারপর নেংটা কইরা পিস করতে হইবো তারপর চুলায় বসাইয়া শাক সব্জী বেগুন কাইটা ঐটারে পাকাইতে হইবো, তারপরই খানা। অখন পাকাইতে গন্ডগোল হইলে আমরা যেমুন কামের লোকরে ডাইকা কই,' বুয়া, রান্ধনের সময় তুমার মন কি পাশের বাড়ির জয়নালের কাছে গেছিলো নাকি যে তরকারীতে নুনের বদলে চিনি দিয়া দিবা?' যাই হোউক এইটারে কয় বায়াসিং টেকনিক্যাল ডিটেলসে পরে আইতাছি।
৪) সার্কিটে ট্রানজিসটরের তিনরকম কানেকশন হয়:
ক) কমন বেস কনফিগরেশন: ভোল্টেজ গেইন আছে মাগার কারেন্ট গেইন নাই
খ) কমন এমিটার কনফিগারেশন: কারেন্ট ভোল্টেজ দুইমামারই গেইন আছে
গ) কমন কালেকটর কনফিগারেশন: কারেন্ট গেইন আছে মাগার ভোল্টেজ গেইন নাই
(অডিয়েন্স থিকা এক চশমা ওয়ালা পিচকি: এই চাচা ভুল বলছে, চাচা বিজেটি নিয়া কথা বলছে কিন্তু সেটার উল্লেখ না কইরা পুরা ট্রানজিস্টর ধরে কথা বলছে। ট্রানজিস্টর অনেক রকম যেমন ফ্যাট, জেফ্যাট ...)
পিচকি দেখি আমার ঘাম ছুটায় দিলো।
এই মহান পিচকির জন্য একখান তালিয়া মারনের দরকার। আসলে এই পোস্টে এত ডিটেলস কওনের টাইম নাই, কারন এত ডিটেলসে কথা কইতে গেলে একখান বই লিখতে হইবো মাগার আমরা শর্টকাটে ইলেক্ট্রনিক্স শিখুম এইটাই কথা!
যাই হোক, আপনে যখন কিনবার যাইবেন তখন আপনের এত কিছু চিন্তা কইরা একটু স্টেপ বাই স্টেপ চিন্তা করেন, যেমন কি বানাইবেন, এ্যামপ্লিফায়ার না সুইচ, কত এ্যামপ্লিফিকেশন দরকার!
যাই হোউক, আজকা আর বড় করবার চাই না, তয় আমার নেক্সট পোস্ট পড়নের আগে এই পিডিএফ লিংকু দুইখান একটু পইড়া নিবেন। যদিও আধুনিক জামায় ট্রানজিস্ট দিয়া ডিজাইনের টাইম চইলা গেছে তয় বেসিক কিছু ব্যাপার না জানলেই না। পরের পোস্টে এই পিডিএফ দুইটা নিয়া আলোলুচনা করুম। পিডিএফ দুইখান কুইনস ইউনিভার্সিটির লেকচার।
এইটা পড়লে শর্টকাটে আর তেমন দরকার নাই, বেশি জানতে চাইলে তাইলে ভাই থেরাজা পড়বার পারেন!
১) ট্রানজিস্টর বেসিক
২) কনফিগারেশন আর এ্যামপ্লিফিকেশন আর সুইচিং
ভালা থাকেন ভাই সকল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।