...জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কী ভুল, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে।
আবার তোমাকে দেখতে চাই আমি-
কোন এক শুভ্র সৌম্য সকালে,
যখন থাকবেনা কোন কোলাহল এই নগরিতে
যখন গাছের পাতায় পাতায় লতায় লতায় শিশিরের আলিঙ্গনে
সবজ আরো সবুজ হবে, সবুজ আরো গাঢ় হবে...
পাখিরা যখন ঘুম ভাঙানোর গান গাইবে-সুর ছড়িয়ে, সুর হারিয়ে
তুমি জানালার ফাঁক গলে আসা
ভোরের প্রথম আলোর মতো আমার ঘুম ভাঙাবে...
আবার তোমাকে দেখতে চাই আমি-
কোন এক উজ্জ্বল ঝলমলে দুপুরে,
সূর্যের স্নেহমাখা রোদ্দুরে যখন পথের ধুলি-কণা রঙ ছড়াবে সোনার মত
যখন স্কুল শেষে আইসক্রিম খেতে খেতে ঘরে ফিরে যাবে বালিকার দল
উত্তেজিত গল্পে, উচ্ছ্বল হাসিতে
যখন একলা ঘরে মাছির বিরক্তিকর একঘেয়ে গান শুনে ক্লান্ত হব আমি,
তন্দ্রায় জড়িয়ে আসবে চোখ-
তুমি দমকা হাওয়ার মতো এসে আমাকে চমকে দেবে...
আবার তোমাকে দেখতে চাই আমি-
কোন এক নিঝুম অপরাহ্নে,
সুনসান নিস্তব্ধতা যখন এক পৃথিবীর শূণ্যতা-
শূণ্যতা যখন সফেদ কাগজ কিম্বা কবিতার খাতা;
কবিতার খাতায় যখন নতুন কবিতা
লিখা হবে আবেগের আতিশয্যে, ভালোবাসার উৎসাহে
তুমি সেই কবিতার শেষ লাইনের মত
হঠাৎ এসে আমার অশ্রু হবে।
আবার তোমাকে দেখতে চাই আমি-
দিরা রাত্রির কো্ন এক সন্ধিক্ষণে।
অস্তমিত সূর্যের লালিমা যখন মুছে দিবে আকাশের চিরায়ত নীলিমা
সেই অচেনা আকাশে নীড় ফেরা পাখিদের ভীষণ ভিড়ে
যখন কিছু পাখি পথ হারিয়ে একলা হয়ে আমার মত
সন্ধ্যার বিষন্নতার সাথে মিলে-মিশে একাকার হবে নিরব কান্নায়;
তুমি নবোদিত চন্দ্রের মতো
বাঁকা হাসিতে আমার জ্যোছনার ফুল হবে।
আবার তোমাকে দেখতে চাই আমি-
কালবৈশাখী ঝড়ের মতো অতর্কিত
শ্রাবণের প্রথম বৃষ্টির মতো নন্দিত
ফাল্গুনের ফুলের আগুনের মতো আলোকিত
তোমাকে দেখতে চাই আমি আবার...বার বার...সহস্র বার...লক্ষ-নিযুত-কোটি বার...।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।