আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালয়েশিয়ায় বিদেশী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার

তর্ক করে কি লাভ হবে আপসেতে যুক্তি চলে

প্রতিশ্রুত বেতন পাচ্ছে না ০ ক্রীতদাসের মত আচরণ করা হয় ইত্তেফাক ডেস্ক মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চলছে। নারী শ্রমিকরা ধর্ষণের শিকার। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিদেশি শ্রমিকরা সেদেশে ঠিকমত কিংবা প্রতিশ্রুত বেতন-ভাত পাচ্ছে না। উপরন্তু নির্যাতন ও অকথ্য গালি-গালাজের শিকার। চরম অমানবিক অবস্থায় তারা ক্রীতদাসের পর্যায়ে নেমে গেছে।

রাজধানী কোয়ালালামপুর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অ্যামনেস্টি এন্টারন্যাশনাল সেদেশে বেদেশি শ্রমজীবী মানুষের এই দুঃসহ দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে গতকাল বুধবার সরকারের কাছে নির্যাতনমুলক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার মারাত্মক রিপোর্টে মালয়েশীয় সরকারের বিরুদ্ধে মানব পাচারে সহায়তা ও সুবিধা করে ফেয়ার অভিযোগ তুলেছে। অ্যামনেস্টি মালয়েশিয়ায় আটক মিয়ানমারের নাগরিকদের থাই সীমান্তে নিয়ে দুর্বত্তদের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা উদঘাটন করেছে। আর একাজে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে অভিসাসন বিভাগের কর্মীও কর্মকর্তারা। এশিয়া বিদেশি শ্রমিক আমদানির অন্যতম প্রধান দেশ মালয়েশিয়া।

এদেশে বিদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা বাইশ লাখ। কিন্তু অ্যামনেস্টি বলছে, এসব বিদেশি নারী-পুরুষ শ্রমিক প্রায়শ নিগ্রহ নির্যাতনের কবলে পড়ছে। তাদেরকে বাড়তি শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে এবং আরো নানাভাবে তারা নিগ্রহীত হচ্ছে। এসব শ্রমিকের বিরাট অংশই যাচ্ছে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া কিংবা নেপালের মত দেশ থেকে। অত্যন্ত প্রতিকূল এমনকি জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।

ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে বিপজ্জনক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। দিনে ১২ ঘন্টারও বেশি সময় তাদের অত্যন্ত কষ্টকর কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। এদের অনেকেরই উপর চলছে অকথ্য গালি-গালাজ এবং শারীরিক ও যৌন নির্যাতন। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি তার রিপোর্টে বলেছে, বেশির ভাগ বিদেশি শ্রমিক বহু অর্থ ঋণ করে রিক্রুটিং এজেন্টকে দিয়ে এখানে এলেও অনেক পরে তারা বুজতে পারে যে, তারা এতারণা কিংবা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শিকার। অতপর দেশে ফিরে যাওয়ার পয়সাও তারা যোগাড় করতে পারে না।

তখন তারা ক্রীতদাসের মত জীবন বেছে নিতে বাধ্য নয়তো পুলিশের হাত হয়ে কারাবন্দী জীবন কাটাতে হয়। দেশের আইন অনুযায়ী নিয়োগকারী সংস্থা কর্মীদের পাসপোর্ট আটক রাখতে পারে। এতে করে এসব কর্মী বা শ্রমিক শত নির্যাতন নিবর্তন সত্ত্বেও সে সব প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে পারে না। কেননা পাসপোর্ট না থাকলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সোজা কারাগারে যেতে হবে। দুই শতাধিক বিদেশি শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় অ্যামনেস্টি তাদের ভয়ঙ্কর কাহিনী জানতে পারে।

তারা নিয়োগকর্তার হত্যার হুমকিরও শিকার।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.