কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের একথা জানান।
প্রতিবেদন পেয়ে সরকারে পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এক মাসের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক মিশন শেষ করবে সরকার। ”
তবে সময়ের অভাবে অসংখ্য অনিয়মের নিষ্পত্তি হবে না, একথাও বলেন অর্থমন্ত্রী।
গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সদস্য আজমালুল হোসেন কিউসি গত শনিবার তাদের প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে জমা দেন।
এরপর গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের চেয়ারম্যান মামুন উর রশিদের সঙ্গে আলোচনা করেন মুহিত।
এরপরই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মুহিত জানান, গ্রামীণ ব্যাংক যে অধ্যাদেশে প্রতিষ্ঠিত সে অনুযায়ী ‘গ্রামীণ’ নামটি আর কেউ ব্যবহার করতে পারে না বলে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
“কিন্তু ইউনূস সাহেব এটা করেছেন। কারণ উনি-ই গ্রামীণ। ”
তাহলে ‘গ্রামীণফোন’ নামটি বৈধ কি না- প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, “সিম্পল।
সেই জন্যই তো এই ঝগড়াটা, ক্লেইমটা। ইউনূস সাহেব বলেন, গ্রামীণফোনের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমরা বলি, আছে।
“ইউনূস সাহেব তার নোবেল বক্তৃতাতেও বলেছেন, গ্রামীণফোনের মাধ্যমে নারীরা প্রযুক্তি শিখবে, তাদের ক্ষমতায়ন হবে। কিন্তু কী হয়েছে, তা তো আপনারা জানেন।
”
গ্রামীণ ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গ্রামীণফোন থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের যে টাকা পাওয়ার কথা বলেছিলেন সে প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা হয়ত পাওয়া যেত। এজন্য আরো কিছু এডিশনাল ওয়ার্ক করা দরকার। ”
“সেটা হচ্ছে ওদের একাউন্টস একটু পরীক্ষা করা, উইথ অডিটরস। পরীক্ষা করলে এই কেসটা অনেক ভালো হতো। সেটা করার সময় ছিল না।
মুহিত এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, “সেই টাকার হিসাব ইউনূস সাহেবের কাছে আছে। তার কোম্পানির কাছে আছে। তবে এটা জানতে পারাটা কিছু না। এটা পাবলিক ডমেইনে আছে।
“আমার কাছে মনে হয়েছে যে, দি হোল সিস্টেম অব ফিন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশন হ্যাজ বিন মেইড ডিফিক্যাল্ট।
এবং ইউনূস সাহেব এটা ইচ্ছে করেই করেছেন। একটা কোম্পানির হিসেব আরেকটা কোম্পানির মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছেন। ”
এক্ষেত্রে রীতি-নীতি-আইন সবই ড. ইউনূস লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের অপসারণের ১৪ মাস পর ২০১২ সালের মে মাসে গ্রামীণ ব্যাংকের ‘ভবিষ্যৎ নির্ধারণে' কমিশন গঠন করে সরকার।
ওই কমিশন গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলেন অর্থমন্ত্রী।
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও বাধাগুলো খুঁজে বের করা, এই প্রতিষ্ঠানে সুশাসন, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও আইনি কাঠামো এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা এবং কিভাবে এই ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অধীনে নেয়া যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক সচিব মো. মামুনুর রশিদ নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের এই কমিশনকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।