আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছিনতাইকারীর নীতিকথা।

িনেজেক সবার িবিলেয় েদয়ার মত সুখ অন্য িকছুেত েনই।

রাত ১:১৫ মিনিটে উত্তরবঙ্গের নাইট কোচ থেকে নামলাম সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে,আমার সাথে আমার ছোট ভাই। বাসা ব্যাংক কলোনীতে তাই রানা প্লাজার সামন দিয়ে রোড ডিভাইডার পার হয়ে পশ্চিম পাশে এসে চিন্তা করলাম রাজালাখ ফার্ম দিয়ে ব্যাংক কলোনীতে গেলে ছিনতাইকারী নামক মামাদের সাথে সাক্ষাত হইতে পারে,তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বাজার রোড দিয়ে ব্যাংক কলোনীতে যাবো। কিন্তু বাঁধ সাধলো প্রকৃতি। আমার অবস্থা এমন চড়মে, মনে হলো এক্ষুনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিলে আমাকে বেশামাল হইতে হইবে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মনে মনে ঠিক করলাম রাজালাখ ফার্মের উল্টোদিকে বাগানের ভিতর পুকুর পাড়ে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সেরে ব্যাংক কলোনী যাবো।

ব্যাগটা ছোট ভাইয়ের হাতে দিয়ে রাজালাখ ফার্মের গেটের কাছে রাস্তায় দাড় করিয়ে রেখে আমি বাগানের ভিতর পুকুড়পাড়ে (১০০-১১০ গজ দূড়ে)গিয়ে যখন আমি প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছি, ঠিক তখনি একটি পালসার হোন্ডা এসে দাড়ালো ছোট ভাইয়ের নিকট। মনে মনে ভাবলাম ছোট মিয়ার দামী মোবাইল,স্বর্ণের চেইন,নগদ বেশ কিছু টাকা সব চলে যাচ্ছে মামীর ঘরে। ছোট ভাই এবং মামাদের মধ্যে কথোপকথন আমি পুরোপুরিই শুনতে পাচ্ছি। প্রথম কথা জিজ্ঞাসা করলো- এখানে দাড়িয়ে কেন? ছোট ভাই উত্তর দিলো- বড় ভাই ভিতরে আছে, তাই দাড়িয়ে আছি। দ্বিতীয় কথা জিজ্ঞাসা করলো- ব্যাগে কী? ছোট ভাই উত্তর দিলো- তেমন কিছু না শুধু অফিসিয়াল কাগজ-পত্র।

অন্য এক মামা ব্যাগটা হাতে নিয়ে ওজনটা চেক করে আবার ছোট ভাইয়ের হাতে ব্যাগটা ফেরত দিলো। আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে শুধু বললো- ভদ্রলোক দেখে ছেড়ে দিলাম। এবার নীতিবাক্য উচ্চারণ করতে লাগলো- এই জায়গাটা ভালো না, এখানে ছিনতাই-টিনতাই হয়,এখানে দাড়িয়ে থাকা ঠিক না, এক্ষুনি চলে যান এই বলে হোন্ডার ক্লাচ্ চেপে এক্সেলেটর টেনে সাঁ------ করে চলে গেলো রাজালাখ ফার্মের দক্ষিন দিকে তথা পাকিজার দিকে। আমি নিঃশব্দে নিজ কর্মে মনোনিবেশ করতঃ সমাপ্ত করলাম,ভাবলাম আগ বাড়িয়ে আমি নিজে উপস্থিত হলে নিশ্চই আমারও সবকিছু খোয়াইতে হইবে। ছোট ভাইয়ের কাছে কিন্তু দামী মোবাইল সহ বেশ কিছু টাকাও ছিল,যাহা চাহিবা মাত্রই ছোটভাই দিতে বাধ্য।

মামারা শুধুমাত্র চাইলেই বিনাশ্রমে হস্তগত করতে পারতো দামী মোবাইল এবং বেশ কিছু টাকা। আমার শুধুই মনে পড়ে সে রাতের কথা, কেন মামারা ছোট ভাইয়ের কাছে মোবাইল চাইলো না এবং চাইলো না টাকা-পয়সাও? কী সেই কারণ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.