হামলার সময় শহরের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠতে দেখা যায়। কাবুলে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ছয় মার্কিনী ও নয়জন আফগান নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনার আটদিন পর এই হামলা হলো।
আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বাহিনীর বহিস্কার ও ইসলামী আইন প্রবর্তনের জন্য যুদ্ধরত তালেবান এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, জাতিসংঘ অফিসটি সিআইএ’র কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
এ বছরের শেষ নাগাদ ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সিংহভাগই দেশটি ছেড়ে যাবার পর সাড়ে তিন লাখ সদস্যের আফগান নিরাপত্তা বাহিনী কিভাবে জঙ্গিদের সামেলাবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এরই মধ্যে ঘটছে এই রকমের হামলা।
কাবুলের পুলিশপ্রধান আইয়ুব সালাঙ্গি বলছেন, চারজন হামলাকারী শুক্রবার জাতিসংঘের অফিসে প্রবেশ করে।
তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী এদের দুজনকে হত্যা করতে সক্ষম হয় এবং দুজন তৃতীয় তলায় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। ”
তবে হামলার সময় অফিসের ভেতরে অন্য কেউ ছিল কিনা তা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হামলার সময় কমপক্ষে চারটি বড় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
কাবুল পুলিশের প্রধান মুখপাত্র হাসমতুল্লাহ স্তানিকজাই বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি ছিল গাড়িবোমার।
তালেবানদের একজন মুখপাত্র টেলিফোন করে রযটার্সকে হামলায় দায়িত্বের কথা স্বীকার করেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নামের ওই ব্যক্তি বলেন, প্রথম বোমা বিস্ফোরণের পরই তারা অফিসটিতে ঢুকে পড়ে। ভবনটি সিআইএ সদস্যরাই বেশি ব্যবহার করে বলে দাবি করেন তিনি।
তালেবান অবশ্য বরাবরই তাদের হামলার কথা বাড়িয়ে বলে থাকে।
প্রথম বিস্ফোরণের আধঘণ্টা পর গোলাগুলি ও আরো বিস্ফোরণ ঘটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।